ডেস্ক রিপোর্টার, ২৮সেপ্টেম্বর।।
শারদ উৎসবের পরই রাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে ভিলেজ কমিটির নির্বাচন। ইতিমধ্যে নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ভিলেজ ভোটের খসড়া ভোটার তালিকা। ত্রিপুরা হাইকোর্ট আগেই জানিয়ে দিয়েছে নভেম্বর মাসের মধ্যে ভিলেজ কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন করতে। এই অবস্থায় পাহাড়ে বিচরণ শুরু করে দিয়েছে তিপ্রামথা, সিপিআইএম ও বিজেপি। উৎসবের পর প্রতিটি রাজনৈতিক দল ঝাঁপিয়ে পড়বে নিজেদের সর্বশক্তি নিয়ে।
রাজনীতিকরা বলছেন, এই মুহুর্তে পাহাড়ে অপ্রতিদ্বন্দ্বী তিপ্রামথা। মথার জনপ্রিয়তার ধারে কাছে কেউ নেই। অন্তত পাহাড়ের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমনটাই ইঙ্গিত করছে।এই কারণেই মথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর বলেছেন, একটি ভিলেজ কমিটিও বিরোধীদের দেওয়া হবে না। সবকটি দখল করবে মথা। এটাও বাস্তব শক্তির তুল্যমূল্য বিচারে বিজেপি ও সিপিআইএম থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে রয়েছে তিপ্রামথা। তাই পাহাড় ভোটে আপাতত সবাই ভোটের বাজি ধরছে মথার দিকেই।
আসন্ন ভিলেজ কমিটির নির্বাচনে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএম ও বিজেপি থেকে অনেকটাই এগিয়ে শুরু করবে। ভিলেজ কমিটির দখলের দৌঁড়ে প্রথম নামটি তিপ্রামথা। রাজনীতিকরা বলছেন, ভিলেজ কমিটির ভোটে লড়াই হবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নিয়ে। রাজ্যের শাসক দল বিজেপিকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে চলে আসতে পারে বিরোধী দল সিপিআইএম। কারণ ইতিমধ্যে পাহাড়ে অনেকটাই শক্তি পুনরুদ্ধার করেছে বামেরা।সক্রিয় ভাবে কাজ করছে গণমুক্তি পরিষদ। সম্প্রতি পাহাড়ে বামেদের প্রতিটি মিছিল, মিটিংয়ে ক্রমান্বয়ে শক্তি বাড়িয়ে চলছে বামেরা।
রাজনীতিকদের দাবি, পাহাড়ে তিপ্রামথা ও বিজেপির লড়াইয়ের মাঝে নিজেদের শক্তি বাড়িয়ে নিয়েছে বামেরা। গোকুলেই লাল পাহাড়ে আবার ডাল – পালা মেলে ধরছে কমিউনিস্টরা। বামেদের এই রণকৌশলে তিপ্রামথার সমস্যা তৈরি না হলেও বিপাকে পড়তে পারে শাসক দল বিজেপি।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, পাহাড়ে শক্তির বিচারে বিজেপির তুলনায় এগিয়ে বামেরা। ভিলেজ ভোটে যদি বিজেপিকে টপকে বামেরা এগিয়ে যায় তাহলে বিধানসভা ভোটের ক্লাইম্যাক্স কি হবে? তা নিয়ে অবশ্যই কাগজ- কলম নিয়ে হিসেব কষা শুরু করে দিয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।