ডেস্ক রিপোর্টার,৬আগস্ট:
বরাত জোরে বেঁচে গেলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।মুখ্যমন্ত্রীকে ধাক্কা দেয় এক বেপরোয়া গাড়ি।ঘটনা বৃহস্পতিবার রাতে।মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি আবাসের সামনেই। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
এটা কি নিছক দুর্ঘটনা।নাকি অন্তরালে রয়েছে কোনো ষড়যন্ত্র? অনুসন্ধানকারী পুলিশ এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি। এই প্রেক্ষিতে পুলিশ তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে।করেছে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ।শুক্রবার ধৃত তিন জনকে আদালতে সোপর্দ করে পশ্চিম থানার তদন্তকারী পুলিশ। ধৃতরা হলো আমন সাহা,শুভম সাহা ও গৈরিক ঘোষ।তিনজনের বাড়ি রাজধানীতে।পুলিশ তাদের ব্যবহৃত গাড়ি আটক করেছে।সিজ করেছে মোবাইল সেট।শুক্রবার সকালে ধৃত তিন যুবকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তাদের পরিবারের সদস্যদের।জানিয়েছেন পশ্চিম থানার ওসি জয়ন্ত কর্মকার।
কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব প্রায়শই নৈশ কালীন ভ্রমণে বের হন শহরে।মুখ্যমন্ত্রীর মূল উদ্দেশ্য কোভিড পরিস্থিতিতে রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা।
বৃহস্পতিবার রাতেও মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বেরিয়ে ছিলেন শহরে।তিনি শহর পরিক্রমা করে যখন সরকারি আবাসের প্রায় কাছে গিয়ে পৌঁছান,তখন আইজিএম হাসপাতালের দিক থেকে আসা টি আর ০১-এটি০৩৫৬ নম্বরের একটি গাড়ি সড়কে হাঁটতে থাকা মুখ্যমন্ত্রীর দিকে ছুটে আসে। তখন মুখ্যমন্ত্রী বিপদের আচ বুঝে তৎক্ষণাৎ সরে। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীকে নিজেদের দখলে নিয়ে নেন। চোখের পলকে রকেট গতিতে গাড়িটি বেরিয়ে যায় ঘটনাস্থল থেকে। নিরাপত্তা কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীকে চলে যায় সরকারি আবাসে।

রাজধানীর পুলিশ তৎপর হয়ে আধ ঘন্টার মধ্যে কের চৌমুহনী এলাকা থেকে গাড়িটিকে আটক করে।এবং গাড়িতে থাকা তিন যুবককে নিয়ে আসে পশ্চিম থানায়। পশ্চিম থানা কর্তৃপক্ষ দায়ের করে মামলা।ভারতীয় দণ্ড বিধির ২৭৯,৪২৭,৩৫৩,৩৩২ ও ৩০৭ ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ।
পশ্চিম থানার পুলিশ জানিয়েছে,অভিযুক্ত যুবকরা শিক্ষিত। নিজেদের গাড়ি নিয়ে কারফু চলা কালীন অবস্থায় রাস্তায় বেরিয়েছে।ধৃতদের মধ্যে শুভম সাহা ব্যাঙ্গালুরুতে চাকরি করে।গাড়িতে চালকের ভূমিকায় ছিল গৈরিক ঘোষ। এই ঘটনার তাদনকারী অফিসার পশ্চিম থানার এসআই শ্রীকান্ত গুহ। তদন্তকারী পুলিশ ধৃত তিন যুবকের রিমান্ড চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করছে।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবকে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনা নিয়ে তেজী হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি।বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, এই ঘটনার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র থাকতে পারে।কেননা,বর্তমানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল রাজ্যের শান্তির পরিবেশকে বিষিয়ে তোলার চেষ্টা করছে।এর আগে আন্তর্জাতিক মাদক কারবারীরা মুখ্যমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল।ঘটনা ২০১৮-র ১৭সেপ্টেম্বরের ঘটনা।কেন্দ্রীয় গোয়েন্দার এই খবরের ভিত্তিতে মহাকরণে জরুরি বৈঠকও হয়েছিলো। মাদক কারবারীদের হুমকির পর বাড়ানো হয়েছিলো মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।প্রসঙ্গত, ২০১৯-সালে ঊষাবাজার এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে এক যুবক বাইক নিয়ে প্রবেশ করেছিলো ।
শাসক দলের আশঙ্কা এই ঘটনার সঙ্গে মাদক কারবারীদেরও হাত থাকতে পারে।তবে শেষ কথা বলবে পুলিশ।তদন্ত শেষ করে অনুসন্ধানকারী পুলিশ কি রিপোর্ট পেশ করে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। তবে সব মিলিয়ে গোটা ঘটনা উদ্বেগজনক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *