ডেস্ক রিপোর্টার,২৯মার্চ।।
২৩-র মহাযুদ্ধকে সামনে রেখে স্পস্ট হয়ে গেলো ভোটের সমীকরণ। আড়াআড়ি ভাবে ভাগ হয়ে গেলো জাতি-জনজাতির ভোট। আপাতত এই চিত্র প্রকট। জনজাতি ভোটের বড় অংশ তিপ্রামথার দিকে ঝুঁকে আছে।পাহাড়ের বর্তমান ভোট আবহ পর্যালোচনা করে এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশারদরা। অর্থাৎ ২৩-র মূল লড়াই হবে ৪০ বনাম ২০-র মধ্যে।
রাজনীতিকদের বক্তব্য, শাসক দল বিজেপি, বিরোধী দল সিপিআইএম এবং কংগ্রেস সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলির পাখির চোখ এখন বাঙালি ভোটের দিকে। এর আগে রাজ্যে অনুষ্ঠিত বিধানসভা ভোটগুলিতে এমন ভাবে জাতি-জনজাতি ভোটের আড়াআড়ি ভাগ দেখা যায়নি।১৮-তেও এই পরিস্থিতি হয়নি।কিন্তু ২৩-র ভোটে রাজনীতির দর্পণে ভেসে উঠছে ভোটের নয়া সমীকরণের চিত্র।
গত ১২ মার্চে স্বামী বিবেকানন্দ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তিপ্রামথার জনসভার পর প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। এই কারণেই শাসক দল বিজেপি তুলে নিয়েছে টিপিএফের পাতাল কন্যাকে।তবে প্রদ্যুতের গতির কাছে পাতাল কন্যা কতটা ফ্যাক্টর হবে তা বলবে সময়েই। প্রদ্যুত কিশোরের তিপ্রামথার জনসভার পর শাসক-বিরোধী উভয় দলই বুঝে গেছে ২৩-র ভোটে পাহাড়ে জমি দখল কষ্ট হবে তাদের। পাহাড়ের “পোস্টার বয়” প্রদ্যুত যে বিজেপি-সিপিআইএমকে বেগ দেবে তাতে কোনো দ্বিমত নেই রাজনীতিকদের।
ভোট বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপি-সিপিআইএমের এখন ফোকাস বাঙালি ভোটের দিকে।একই অবস্থা জুজতে থাকা কংগ্রেসের। বাঙালি ভোট এখন ত্রাতার ভূমিকা পালন করবে এই তিন রাজনৈতিক দলের কাছে। পাহাড় ভোটে খুব বেশি দখল নিতে পারবে না শাসক দল বিজেপি। আপাতত এমনই মনে হচ্ছে।তাই পাতালকে সঙ্গে নিয়ে প্রদ্যুতকে জোর ধাক্কা দিতে চাইছে।অধিক গুরুত্ব দিচ্ছে ৪০টি আসনের দিকে। বিরোধী দল সিপিআইএমের অবস্থা পাহাড় রাজনীতিতে করুন। রাজনীতিকদের ব্যাখ্যা, এতো দিন সিপিআইএমের মূল হাতিয়ার ছিলো পাহাড়।এই কারণেই একসময় ২১ থেকে গণনা শুরু করতো।কিন্তু এখন সেই দিন নেই।২০১৮ সালে পাহাড় বামেদের গড্ডায় ঠেলে দিয়েছে। মাত্র ২টি আসন পেয়েছে কমিউনিস্ট পার্টি। গত বছর এডিসি নির্বাচনে সিপিআইএমের ভোট নেমে আসে মাত্র ১০ শতাংশে। এবারও তিপ্রামথার দাপটে সিপিআইএম ধুঁকছে পাহাড়ে।বামেরা পাহাড়ে যে খুব বেশী সুবিধা করতে পারবে না তার আচ পেয়েছেন বাম নেতৃত্ব।এই কারণেই পাহাড়ের দরদ ছেড়ে সমতলের ৪০আসনের দিকে নজর দিচ্ছে বামেরা। তাদের অঙ্ক পরিষ্কার । অবাম ভোটের কাটাকাটিতে কমিউনিস্টরা ফের দেখছে ক্ষমতার স্বপ্ন। তার জন্য বাঙালি ভোটই তুরুপের তাস বামেদের কাছেও।
বিজেপি-সিপিআইএম বুঝে গেছে পাহাড়ের অল্প সংখ্যক ভোট তাদের দিকে বাঁক নেবে।এই জন্য দুই রাজনৈতিক দলই ৪০টি আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ আসন দখল নেওয়ার চেষ্টা করবে।এবং পাহাড় থেকে আসা আসন হবে তাদের জন্য বোনাস। ভোটের বর্তমান পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তের কথাই জানিয়েছেন রাজনীতির প্রাজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *