ডেস্ক রিপোর্টার,২৯আগস্ট।।
“সংশোধনের মাধ্যমে শক্তিশালী সংগঠন ও জন কল্যাণমুখী সরকার গঠনের জন্য আলোচনা করতেই এই বৈঠকের আয়োজন।”—– বক্তা বিজেপি’র সংস্কারপন্থী বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের।রবিবার আগরতলার মহারানী তুলসীবতী স্কুলের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের বক্তব্য, শক্তিশালী সংগঠন ও জন কল্যাণমুখী সরকার গঠনের জন্য এই বৈঠক থেকে প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে।এই গৃহীত প্রস্তাব তুলে ধরা হবে দল ও সরকারের কাছে। শাসক দলের হেভি ওয়েট বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন আক্ষেপের সুরে বলেন,”যাদের শুনার কথা ছিলো, তারা শুনছেন না।এই কারণেই দলের নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিজেপি’র অনেক পুরনো কার্যকর্তা রয়েছেন যারা দল থেকে বঞ্চিত।তাদের কথা কেউ শুনছেন না।স্বাভাবিক ভাবেই তারা ক্ষুব্ধ।
সুদীপের স্পস্ট জবাব,”আমরা তাদের কথা শুনবো। এরপর বিক্ষোব্ধ নেতা-কর্মী-সমর্থকদের কথা সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরবো দল ও সরকারের কাছে। পরবর্তী সময়ে দল ও সরকারের থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক তা নিয়ে অবশ্যই পর্যালোচনা করবে।বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন প্রকারন্তে ঘুরিয়ে হলেও বর্তমানে শাসক দলের ব্যাটন হাতে থাকা নেতাদের সুনিপুন ভাবে আক্রমণ করেছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সুদীপ রায় বর্মন বলেন,” রাজ্য এবং কলকাতার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।মিডিয়া লিখতেই পারে।তবে এই বিষয়ে আমার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই।” তিনি বুঝতে চেয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ হয়নি।
বিজেপি’র সংস্কারপন্থী বিধায়কদের মধ্যে এদিন সুদীপ রায় বর্মন ছাড়াও বৈঠকে ছিলেন বিধায়ক আশীষ সাহা, আশীষ দাস,দিবাচন্দ্র রাংখল ও বুর্বমোহন ত্রিপুরা।এছাড়া প্রদেশ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রণজয় দেব, বর্তমান রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি অশোক দেববর্মা,পশ্চিম জেলার প্রাক্তন সভাপতি মানিক দাস সহ আরো কিছু বিক্ষোব্ধ নেতা।এদিন রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে পাঁচ থেকে ছয় জন করে প্রতিনিধি যোগ দিয়েছে বৈঠকে। এখন দেখার বিষয় সংস্কারপন্থী বিধায়কদের বৈঠকের উপপাদ্য দল ও সরকারের কাছে পাঠানোর পর তা পর্যালোচনা করে দলের থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক কি সিদ্ধান্ত নেয়। বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন আগেই সামাজিক মাধ্যমে কর্মী সমর্থকদের শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী অত্যন্ত ঠান্ডা মস্তিষ্কে এদিন দলের বিক্ষোব্ধ গোষ্ঠীর বিধায়ক,নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *