ডেস্ক রিপোর্টার, ৯সেপ্টেম্বর।।
               সাড়ে চার বছরের শাসনকালের মধ্যেই বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অংশে বইছে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া(!) তা অবশ্যই মানতে রাজি নয় শাসক দলের নেতৃত্ব। কিন্তু বিরোধীরা এটাই বলছে। সাধারন মানুষ এই বক্তব্য নিয়ে দ্বিখণ্ডিত।
               আমজনতার বক্তব্য, তার জন্য দলের একাংশ নেতা বিধায়করা দায়ী। অথচ এই দলটিকেই জিরো থেকে হিরো বানিয়েছে রাজ্যের মানুষ।  দলের একাংশ নেতৃত্ব মানুষের এই ভাবাবেগ নিয়ে আজও ছেলে খেলা করছে। চোখ ঘোরালেই রাজ্যের বহু বিধানসভা কেন্দ্রে একই দৃশ্য ফুটে উঠছে। তার মধ্যে অন্যতম রাজধানীর বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে এখন ধীরে ধীরে বিজেপির মাটি আলগা হচ্ছে। তার জন্য অবশ্যই এলাকার বিধায়ক দিলীপ দাসকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা।
                   আমজনতার অভিযোগে, নিগোসিয়েশন বাণিজ্য থেকে শুরু করে জমির দালালি, তোলা আদায় সহ নানান অপরাধের আখড়া হয়ে উঠেছে বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্র। সিপিডাব্লিউডি অফিস কেন্দ্র করে বড়জলা কেন্দ্রে  গড়ে উঠেছে নিগসিয়েশন বাণিজ্যের আঁতর ঘর। এই নিগসিয়েশন বাণিজ্য নিয়ে বড়জোলা কেন্দ্রের মানুষ বিতশ্রদ্ধ।
                   খোদ  বিজেপির কর্মীদের বক্তব্য, এই কেন্দ্রের বিধায়ক দিলীপ দাস তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের ঢালাও বিজ্ঞাপন করেছিলেন এক সময়। দিলীপ দাস “নিগোসিয়েশন” কথাটির ব্যাখ্যা তুলে ধরেছিলেন তার সোশ্যাল সাইটে। তখন অবশ্যই সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছিলেন বাস্তব অর্থে বিধায়ক কিসের ইঙ্গিত করেছিলেন।পরবর্তী সময় বড়জলার মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায় চিত্র। বাম জমানার  মতোই সিপিডব্লিওডিকে আঁকড়ে ধরে নিগোসিয়েশন বাণিজ্যের ইট লাগাতে শুরু করেছে শাসক দলের কায়েমি স্বার্থ সম্বলিত কয়েকজন নেতৃত্ব।
                    নিগোসিয়েশন বাণিজ্য কেন্দ্র করে বড়জলা কেন্দ্রে ঠিকাদার অপহরণ ও মারধোরের ঘটনাও ঘটেছিল। মামলার তদন্ত বর্তে ছিল রাজ্য পুলিশের ক্রাইম ব্রঞ্চের  উপর। ক্রাইম ব্রাঞ্চ ধাপে ধাপে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল। বড়জলায় লোকমুখে কান পাতলে শোনা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া নিগোসিয়েশন কারবারিদের পুলিশের হাত থেকে ছাড়িয়ে আনতে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন একাকার তাবড় নেতৃত্ব।এমনকি বেশ কয়েকজন দাগি নিগোসিয়েশন কারবারিকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর  আইজিএম হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়েছিল অদৃশ্য এক শক্তির চাপে। স্বাভাবিক ভাবি ভাবেই তখন পাল্টা চাপ বাড়ে তদন্তকারী সংস্থা ক্রাইম ব্রাঞ্চের উপর।যদিও শেষ পর্যন্ত এই সংক্রান্ত মামলার তদন্তের ফল কি বেরিয়েছে তা আজও জানা যায়নি। তবে এটা সম্ভবও না। মামলা এখন পর্যন্ত আদালতে বিচারাধীন।তবে এটা নিশ্চিত অদৃশ্য শক্তির চাপে ক্রাইম ব্রাঞ্চ আদালতে জমা করেছে নড়বড়ে চার্জশিট । আর এই  দুর্বল  চার্জশিট দিয়ে অপরাধীদের আইনের পিঞ্জরাতে ধরে রাখতে পারবেনা । বড়জোলা কেন্দ্রে বোমা বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটেছে । উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র ।রাতের আঁধারে দুষ্কৃতীরা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বোমা বিস্ফোরণ করেছে । অবাক করার মতো ঘটনা দুষ্কৃতীদের ছবি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়লেও আজ  পর্যন্ত তাদের টিকিট নাগাল পাওয়া যায়নি। সব কিছুর পেছনেই অদৃশ্য শক্তির আস্ফালন দেখছে মানুষ। স্থানীয়দের বক্তব্য, এলকার বিধায়ক দিলীপ দাসের রাজনৈতিক অদূরদর্শিতার জন্যই গোটা অঞ্চলে জাকিয়ে বসেছে অপরাধ। মাথা চাড়া দিয়েছে নিগোসিয়েশন বানিজ্য ও জমি দস্যুরা। এরফলে বিষিয়ে উঠেছে গোটা বড়জলা কেন্দ্রের পরিবেশ। এব গোটা অঞ্চলে ধীরে ধীরে আলগা হচ্ছে বিজেপির মাটি। তবে এখনো সময় রয়েছে, শীর্ষ নেতৃত্ব ইচ্ছা করলেই আলগা হাওয়া মাটিকে আবারও জোড়ালো করতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *