ডেস্ক রিপোর্টার,২২ সেপ্টেম্বর।।

“ব্যাকইয়ার্ড হাঁস পালন” প্রকল্প চালু করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।প্রকল্পটি চালু করার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন “হাঁস জলাশয়ে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর অতিবিজ্ঞরা নানান প্রশ্ন তুলেছিলেন।
শেষ পর্যন্ত জলাশয়ে হাঁসের অক্সিজেন সরবরাহ সংক্রান্ত বক্তব্য প্রসমানিত হয় বৈজ্ঞানিকভাবেই। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ ফরেস্ট্রি রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশনের বিজ্ঞানী এ দেববর্মা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিতেই অল্প বিদ্যায় ভয়ঙ্করীদের মুখে চুন-কালি পরে যায়।
“ব্যাকইয়ার্ড হাঁস পালন” প্রকল্প চালু করার পরও সমালোচনা শুরু হয়েছিলো। হাঁস পালনের মাধ্যমে কিভাবে বিকাশ ঘটবে গ্রামীন অর্থনীতির? উঠে ছিলো এই প্রশ্ন।তবে আজকের দিনে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাকইয়ার্ড হাঁস পালন” প্রকল্প ব্যাপক ভাবে সফল।
এই প্রকল্পের লক্ষ্য পূরণের জন্য রাজ্য সরকার পঞ্চাশ হাজার হাঁস এক হাজার সুবিধাভোগীর মধ্যে বিতরণের লক্ষ্য মাত্রা নিয়েছিলো।
রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত এক হাজার সুবিধাভোগীদের মধ্যে ৪৮,০২০টি হাঁস বিতরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ে হাঁসের বাচ্চা বিতরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।
রাজ্য প্রাণী সম্পদ বিকাশ দাপ্তরের
দেওয়া তথ্য বলছে, বর্তমানে “ব্যাকইয়ার্ড হাঁস পালন” প্রকল্পে মেলাঘরের রুদিজলা এলাকায় বাড়ছে ডিম উৎপাদন। প্রতিদিন প্রায় ৮হাজার৫০০ থেকে ৯,০০০ ডিম উৎপাদন হয়। প্রতিটি ডিমের বাজার মূল্য ১২টাকা। স্বাভাবিক ভাবেই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের চালু করা এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা সুঠাম হচ্ছে আর্থিক ভাবে।প্রসার ঘটছে গ্রামীন অর্থনীতিরও। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ডিম ফুটিয়ে হাঁসের বাচ্চা উৎপাদন করেও আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে সুবিধাভোগীরা।রুদিজলা এলাকার বহু মানুষের জীবন জীবিকা নির্ভর করছে মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা “ব্যাকইয়ার্ড হাঁস পালন” প্রকল্পের উপর। সরকারি তথ্য বলছে, এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা প্রতি বছর ডিম বিক্রি করে বছরে প্রায় ৪০হাজার টাকা উপার্জন করছে।
প্রাণী সম্পদের সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞরা বলছেন,এই প্রকল্পটিতে শুধু ডিম উৎপাদনই হয় না, বরং রুদ্রসাগরে মাছের উৎপাদনও বৃদ্ধি করেছে। কারণ হাঁস জৈব বায়ু ঝরে পড়া পাখি, যা মাছকে অক্সিজেন সরবরাহে সুবিধা দেয়। প্রকল্পটি ডিম উৎপাদনের কথা বিবেচনা করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে চালু করা হয়েছিলো। মূলত এই প্রকল্পটিতে রুদ্রসাগরের আশপাশের লোকদের সম্পৃক্ত করে রুদ্রসাগর জলাভূমির উন্নয়ন ও পুনরুদ্ধারের জন্য সমন্বিত মাস্টার প্ল্যানের সাথে যুক্ত করেই তৈরি করা হয়েছে। পরিশেষে বলতে গেলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের চালু করা “ব্যাকইয়ার্ড হাঁস পালন” প্রকল্প পুরোপুরি সফল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *