
ডেস্ক রিপোর্টার, ২১আগস্ট।।
বক্সনগর কেন্দ্রের উপ ভোট নিয়ে তপ্ত স্থানীয় রাজনীতি।এই কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত খাতা খুলতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। ১৮ ও ২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলেও বক্সনগরে জয়ের মুখ দেখতে পারেনি। তবে আসন্ন উপ-নির্বাচনে বিজেপির কাছে জয়ের বড় সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতিকরা।

বক্সনগরে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, উপভোটের দিনক্ষণ ঘোষনা হতেই দল ত্যাগের হিড়িক চলছে গোটা বিধানসভা কেন্দ্রে। কংগ্রেস, সিপিআইএম, তিপ্রামথা,তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা- কর্মীরা দলে দলে যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। তাদের স্বাদরে গ্রহণ করছেন বিজেপি প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন সহ বিজেপি নেতৃত্ব।

সম্প্রতি সিপিআইএমের বক্সনগর অঞ্চল সম্পাদক তথা বিভাগীয় কমিটির সদস্য খোরশেদুর রহমান বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সঙ্গে ১৯ জন ভোটার। নিঃসন্দেহে ভোটের মূখে বামেদের জন্য এটা বড় ধাক্কা। অন্য দিকে বিজেপির জন্য প্লাস পয়েন্ট। এছাড়াও প্রতিদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা- কর্মীরা ঝুঁকছেন বিজেপির শিবিরে। এই চিত্র থেকে পরিষ্কার আসন্ন নির্বাচনে পাল্লা ভারি হয়ে উঠছে বিজেপির। উপ ভোটে বরাবর শাসকের জয়ের সম্ভাবনা থাকে ৯০ শতাংশ।

রাজনৈতিক পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৮৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত রাজ্যের অনুষ্ঠিত উপভোট গুলিতে শাসক গোষ্ঠী জয়ী হয়েছে ৯৯ শতাংশ আসনে। কংগ্রেস – টি ইউ জে এস জোট জামানা থেকে শুরু করে দীর্ঘ বাম জামানায় শসকের জয় জয়কার হয়েছে। ব্যতিক্রম ৮- টাউন বড়দোয়ালী কেন্দ্র ও ৬-আগরতলা কেন্দ্র।

রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুধীর রঞ্জন মজুমদারের মৃত্যুর পর ২০০৯ সালে বড়দোয়ালী কেন্দ্রে উপভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। উপ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা। ২০২২ – এ উপ নির্বাচনে ৬- আগরতলা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বক্তব্য, বিভিন্ন সময়ে রাজ্যে অনুষ্ঠিত উপ নির্বাচনের গতি প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করলে শাসক শ্রেণীর আধিপত্যের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। ভোট প্রাজ্ঞদের কথায়, ২৩- র উপ নির্বাচনেও ব্যতিক্রম ঘটবে না। বক্সনগর ও ধনপুর কেন্দ্রে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীদের জয় প্রায় নিশ্চিত।

তবে প্রতিপক্ষ বামেরাও সহজেই মাটি ছেড়ে দেবে না ।কারণ বক্সনগর কেন্দ্রে ১৯৭২ থেকে ২০২৩- র বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত মোট ১০বার জয়ী হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই বক্সনগরের মাটিতে বামেদের মাটিও যথেষ্ট শক্তপুক্ত।

তারপরও শক্তির তুল্য মূল্য বিচারে ভোট প্রাজ্ঞরা এগিয়ে রেখেছেন বিজেপি প্রার্থী তফাজ্জল হোসেনকেই।