
ডেস্ক রিপোর্টার, ১২ নভেম্বর।।
আলোর উৎসব দীপাবলিতে রাজধানী পুলিশের উপহার!পুলিশ অবশেষে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে আইনজীবী গোপাল সিংকে। মুহুরী অমিত আচার্য্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রবিবার পশ্চিম থানার পুলিশ আইনজীবী গোপাল সিংকে জালে তুলে। সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করবে পুলিশ।

এই ঘটনার সঙ্গে গোপাল ছাড়াও অভিযুক্ত অনির্বাণ লোধ, রাজেশ সরকার, বিভাস দেববর্মা এবং মুহুরি শিবজুৎ বড়ুয়া, সুদীপ দেব জড়িত।তাদের বিরুদ্ধে পশ্চিম থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন খুন হওয়া অমিত আচার্যের বাবা দিলীপ আচার্য্য। অমিত হত্যাকাণ্ডে জড়িত কুশিলবদের গ্রেফতারের জন্য রাজ্যের এক মাত্র সংবাদ মাধ্যম “জনতার মশাল” (নিউজ পোর্টাল) ও “JM 24 News” – (নিউজ চ্যানেল) ধারাবাহিক ভাবে খবর সম্প্রচার করেছিলো।

রাজধানী পুলিশ আইনজীবী গোপাল সিংকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে আক্ষরিক অর্থে জয় হয়েছে “জনতার মশাল” ও JM 24 News – র। আবারও প্রমাণ হলো এই দুই সংবাদ মাধ্যম কথা বলে সাধারণ,অসহায় মানুষের প্রতিনিধি হয়ে। তোয়াক্কা করে না কোনো মহলেও তাবেদারী।

জনতার মশাল” ও JM 24 News – র পক্ষ থেকে ধন্যবাদ পশ্চিম জেলা এসপি কিরণ কুমার, সদর এসডিপিও দেবপ্রসাদ রায় ও পশ্চিম থানার ওসি জয়ন্ত দে’কে। প্রসঙ্গত গত ৫সেপ্টেম্বর আগরতলায় জেলা ও দায়রা আদালতে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ের লেনদেন কেন্দ্র করে কয়েকজন আইনজীবী সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে আক্রমণ করেছিলো মুহুরী অমিত আচার্য্যকে। আদালত চত্বরে তাকে রক্তাক্ত করে অর্ধ মৃত করেছিলো।

এরপর আইজিএম, জিবি হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য অমিত আচার্য্যকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে।সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২১ সেপ্টেম্বর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অমিত। মৃত্যু পর অমিত আচার্যের বাবা দিলীপ আচার্য্য পশ্চিম থানার খুনের মামলা দায়ের করেছিলেন।এর আগে ঘটনার দিন,অর্থাৎ ৫সেপ্টেম্বর অমিত আচার্যের স্ত্রী সঞ্চিতা রায় পশ্চিম থানায় পুরো ঘটনা জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।

অবশেষে অমিত আচার্য্যর মৃত্যুর ৫৫দিন পর পুলিশ মূল অভিযুক্ত আইনজীবী গোপাল সিংকে গ্রেফতার করে। বাদবাকি অভিযুক্ত আইনজীবী
রাজেশ সরকার, বিভাস দেববর্মা এবং মুহুরি শিবজুৎ বড়ুয়া ও সুদীপ দেবদের কবে জালে তুলে পুলিশ? তার প্রহর গুনছেন নগরের আম জনতার।

তবে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করলেই পুলিশের দায়িত্ব শেষ হবে না। খুনিদের আইন অনুযায়ী সাজা দিতে পারলেই না ফেরার দেশে চলে যাওয়া অমিত আচার্যের মা, বাবা বাবা স্ত্রী সন্তান- সন্তিরা শান্তিতে নিদ্রা করতে পারবেন।