
ডেস্ক রিপোর্টার,২ডিসেম্বর।।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতীয় জনতা পার্টির বিভিন্ন মোর্চা ও জেলা সভাপতি পরিবর্তন করা হবে।কারণ, বর্তমানে এই সমস্ত পদে থাকা নেতাদের মধ্যে অনেকেই জড়িয়ে গিয়েছেন দুর্নীতির সঙ্গে।আবার কেউ একই পদে দুই বা তিন টাম ধরে আকড়ে রেখেছেন। এই কারণেই তাদেরকে সংশ্লিষ্ট পদ থেকে সরিয়ে নতুন মুখ আনার পরিকল্পনা নিয়েছে দলের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। এই নতুন মুখ গুলিকে নিয়েই ২৪- র ভোটে ঝাঁপিয়ে পড়বে বিজেপি।ইতিমধ্যে প্রদেশ বিজেপির শাখা সংগঠনগুলিতে নতুন মুখ আনার ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দিয়েছে দিল্লি নেতৃত্ব।

প্রদেশ বিজেপির অন্দর মহলে তথ্য বলছে, পরিবর্তন হবে প্রদেশ বিজেপির যুবমোর্চার সভাপতি। বর্তমান সভাপতি নবাদল বণিককে সরিয়ে দেওয়া হবে।তিনি একই সঙ্গে টিআইডিসির চেয়ারম্যানও। যুব মোর্চার নতুন সভাপতির দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন ভিকি প্রসাদ। মহিলা মোর্চার বর্তমান সভানেত্রী ঝর্না দেববর্মা। তিনি একই সঙ্গে মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন। ঝর্নাকে সরিয়ে মহিলা মোর্চাতেও আনা হচ্ছে নতুন মুখ। দৌঁড়ে রয়েছেন অজন্তা ভট্টাচার্য। এই চেয়ারে অজন্তার সম্ভবনা প্রবল। ওবিসি মোর্চার সভাপতির দৌঁড়ে এগিয়ে আছেন সুকান্ত ঘোষ।তিনি বর্তমানে স্পোর্টস কাউন্সিলের সচিব। কিষাণ মোর্চার বর্তমান সভাপতি জওহর সাহা। তারকে এই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিষাণ মোর্চাতে জওহর সাহার স্থলাভিসিক্ত হচ্ছেন আগরতলা পুর নিগমের কর্পোরেটর অভিজিৎ মল্লিক। মাইনরিটি মোর্চার দায়িত্বে আসছেন সদ্য কংগ্রেস ত্যাগী নেতা বিল্লাল মিয়া। এস সি মোর্চার সভাপতি দৌঁড়ে শীর্ষে রয়েছেন অরবিন্দ দাস।তিনি বর্তমানে বিজেপির সদর শহরাঞ্চল কমিটির সম্পাদক।জনজাতি মোর্চার সভাপতির দৌঁড়ে রয়েছেন হংস কুমার ত্রিপুরা ও বিপিন দেববর্মা।

বিজেপির জেলা কমিটি গুলির মুখও পরিবর্তন করা হবে। অনেক জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। ঊনকোটি জেলাতে নতুন সভাপতি হয়ে আসতে পারেন প্রাক্তন মন্ত্রী ভগবান দাস।ধলাই জেলার সভাপতি পরিমল দেববর্মাও হারাবেন তার পদ। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে নেতৃত্বের কাছে। খোয়াই জেলার সভাপতি বিধায়ক পিনাকী দাসকে সরিয়ে দেওয়া হবে। কারণ তাকে একটি সংস্থার চেয়ারম্যান করা হয়েছে। তার পরিবর্তে খোয়াই জেলাতে সভাপতির দায়িত্ব পেতে পারেন সামীর দাস। সদর গ্রামীন জেলার সভাপতি অসিত দাসকেও এবার ছেটে ফেলে দেওয়া হবে। তিনি টানা তিন টাম এই পদ সামলেছেন। সদর জেলার সভাপতি অসীম ভট্টাচার্যকেও আর এই পদে রাখা হবে না। সদর জেলার সভাপতির পদে দৌঁড়ে রয়েছেন বাধারঘাট মণ্ডলের প্রাক্তণ সভাপতি বাবুল রায়।সিপাহীজেলার দুই সভাপতি গৌরাঙ্গ ভৌমিক ও দেবব্রত ভট্টাচার্য উভয়কেই সরিয়ে দেওয়া হবে। দক্ষিণ জেলার সভাপতি শঙ্কর রায়কেও ছেটে দেওয়া হবে। ভারতীয় জনতা পার্টির বিভিন্ন মোর্চা ও জেলা কমিটির মুখ পরিবর্তনের পর পরই রাজ্য কমিটিতেও পরিবর্তন করা হবে বলে খবর।