
ডেস্ক রিপোর্টার,৮ডিসেম্বর।
রাজ্য রাজনীতিতে বরাবর সফট জনজাতি সম্প্রদায়। ভোটের জন্য সব রাজনৈতিক দল জনজাতিদের খোসামোদ করে থাকে। আবার সময় মতো জনজাতিরা কোনো কোনো রাজনৈতিক দলকে লাথি মেরে দূরে সরিয়ে দেয়। এই দৃষ্টান্তও রয়েছে রাজ্যে। তার প্রথম নাম “সিপিআইএম”।

প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপ্রামথার উত্থানের পর জনজাতি সম্প্রদায় তাদের দাবি নিয়ে রকেট গতিতে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। রাজনীতিকদের কথায়, ভোটের জন্য বিজেপিও বামেদের কায়দায় তিপ্রামথাকে লালন পালন করছে। বাঙালি জন গোষ্ঠীর লোকজনকে প্রদ্যুৎ ও তার অনুগামীরা বিদেশি, অনুপ্রবেশকারী নানান তকমা দিচ্ছে। ঘুরিয়ে হুঙ্কার দিচ্ছে জাতির দাঙ্গার।রাজ্যের গোটা প্রশাসনকে “বাংলাদেশী”দের বলেও আখ্যা দিয়েছে। নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, সূর্য্য সেনদের মতো দেশ প্রেমিকদের মূর্তি স্থাপন নিয়েও নানান মন্তব্য করেছিলেন খোদ প্রদ্যুৎ কিশোর।অর্থাৎ বাঙালিদের চূড়ান্ত অপমান করে বিষ বাষ্প ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন প্রদ্যুৎ।

বাঙালি সমাজের বক্তব্য,রাজ্যে বাঙালিরা সংখ্যা গরিষ্ঠ। এক সময় এই “বাঙালি”র রক্তে লাল হয়ে উঠেছিল রাজ্যের পাহাড়। মান্দাই থেকে কল্যাণ পুর, টাকারজলা থেকে অমরপুর সব জায়গাতেই বাঙালির তাজা রক্তে সিক্ত হয়ে উঠেছিল মা ত্রিপুরেশ্বরীর পূর্নভূমিও।কিন্তু কোনো কালেই সুবিচার পায় নি বাঙালি। অতীতে স্বাধীন ত্রিপুরার স্বপ্ন ফেরী করে যারা পাহাড়ে রক্তের হোলি খেলে ছিলো, আজ তারাই নাকি জনজাতি উন্নয়নের আন্দোলনের অন্যতম মুখ। আসলে জনজাতিদের উন্নয়নের পরিবর্তে তাদেরকে কয়েক শত যোজন পিছিয়ে দিয়েছে স্বাধীন ত্রিপুরার স্বপ্নের ফেরীওয়ালারা।

সম্প্রতি রাজ্যে এসেছিলেন ইন্টারলোকেটর একে মিশ্র। তার কাছ রাজ্যের সমস্ত জনজাতি ভিত্তিক রাজনৈতিক দল গুলি দাবি সনদ তুলে দিয়েছিল, জনজাতি স্বার্থ সম্বলিত বিষয় নিয়ে। কেন্দ্র বা রাজ্য সরকার জনজাতিদের দাবিকে মান্যতা দিলে বাঙালিদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এই দাবী বাঙালি স্বার্থ বিরোধী হলে এক জোটে মাঠে নামবে রাজ্যের বাঙালিদের বিভিন্ন সংগঠন। খবর অনুযায়ী, বিভিন্ন বাঙালি সংগঠনের নেতৃত্ব সাক্ষাৎ করবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। এবং তারাও তুলে দেবে দাবি সনদ।

স্পস্ট ভাবে জানিয়ে দেবে, জনজাতিদের মান্যতা দিতে গিয়ে কোনও ভাবেই যেন বাঙালিদের স্বার্থ ক্ষুন্ন না করা হয়।তাহলে গোটা বাঙালি সমাজ এক সঙ্গে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।

রাজ্যের বাঙালি নেতৃত্বের বক্তব্য, ২৩- র নির্বাচনে বাঙালিরাই বিজেপিকে ভরসা জুগিয়েছিল।বাঙালিরা বিজেপিকে দিয়েছিলো ২৫টি আসন। এডিসি অঞ্চল থেকে আসা ছয়টি আসনে ৪৫ শতাংশ ভোটার ছিল বাঙালি। সুতরাং বাঙালিরাই বিজেপিকে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এনেছে।বামেদেরও মুখ রক্ষা করেছে বাঙালিরাই। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত বাঙালি সম্প্রদায়ের বিপক্ষে গেলে পরিস্থিতি যে ঘোলাটে হয়ে উঠবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।