
ডেস্ক রিপোর্টার,২৫ জানুয়ারি।।
অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে প্রকারান্তে লোকসভা নির্বাচনে দামাম বাজিয়ে দিয়েছে দেশের শাসক দল বিজেপি।ইতিমধ্যে নির্বাচন নিয়ে তোর জোড় শুরু করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। খবর অনুযায়ী,আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা হতে পারে জাতীয় নির্বাচনে দিনক্ষণ। গোটা দেশে নির্বাচন হতে পারে সাত দফায়। স্বাভাবিক ভাবেই দেশের সব কয়টি রাজনৈতিক দলে এর মধ্যেই খোলস ছেড়ে যে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়বে তা, বলার অপেক্ষা রাখেনা।

জাতীয় কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে সব কয়টি দেশের রাজ্যের প্রশাসনকে এই বার্তা দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রাজ্যেও পৌঁছেতে বার্তা। নির্বাচনকে সামনে রেখে সমস্ত প্রশাসনিক কাজকর্ম শেষ করতে রাজ্য প্রশাসনেও শুরু হয়েছে দৌঁড় ঝাঁপ। রাজ্যের আট জেলার জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার সহ এসডিএম, বিডিওদের এই সংক্রান্ত খবর জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। তবে ত্রিপুরার দুটি আসনের ভোট গ্রহন একই দিনে হবে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।

রাজ্য পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জেলা পুলিশ ও প্রতিটি থানাকে ভোট সংক্রান্ত খবর জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রস্তুতি শুরু করেছে আরক্ষা দপ্তর। রাজ্যের থানা গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই মুহূর্তে তিপ্রামথার বিরুদ্ধে ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করতে। তারা কোনও ঘটনা সংঘঠিত করলেও তা যেন সফট ভাবে হ্যান্ডেল করা হয়। তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে পুলিশের কার্য কলাপে।সম্প্রতি গর্জি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক সপ্তদ্বীপ দাসের উপর প্রাণঘাতী হামলা করেছিল তিপ্রামথার প্রার্থী। অবাক করার মতো বিষয় পুলিশ মথার অভিযুক্ত প্রার্থী বীরলাল নোয়াতিয়ার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয় নি।

একই ভাবে কৃষ্ণপুর বিধানসভা এলাকায় গ্রেফতার হওয়া এক বনদস্যু হেমন্ত রিয়াংকে পুলিশের সামনেই বন দপ্তরের গাড়ী থেকে ছিনতাই করে নিয়ে যায় গ্রামবাসীরা। কিন্তু পুলিশ কিছুই করে নি। এই সমস্ত ঘটনা থেকে তিপ্রামথা ও জনজাতিদের প্রতি পুলিশের নরম মনোভাব জলের মত স্পস্ট। কারণ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি ও তিপ্রামথার রাজনৈতিক কেমিস্ট্রি কি হচ্ছে? এখনোও স্পস্ট নয়। তবে দুই দলই নিজেদের রক্ষার্থে নাকি কাছাকাছি আসতে চলছে। এমন খবর রাজনৈতিক মহলে। তাই তিপ্রামথার কর্মী – সমর্থকদের বিরুদ্ধে নরম মনোভাব দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।