
ডেস্ক রিপোর্টার,২৫ জানুয়ারি।।
কর্তব্যরত চিকিৎসকের উপর প্রাণঘাতী হামলা মথার প্রার্থীর।ঘটনার নয় দিন পরও বহাল তবিয়তে অভিযুক্ত। তার নাম বীর লাল নোয়াতিয়া।২৩- নির্বাচনে বীর লাল ছিলো মাতা বাড়ি কেন্দ্রের প্রার্থী।অবাক করার মতো ঘটনা থানায় মামলা দায়ের করার পরও বীর পুঙ্গব পুলিশ একবারের জন্যও তিপ্রামথার নেতা বীর লাল নোয়াতিয়াকে থানায় ডেকে পাঠায় নি। পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে হাসির রোল শুরু হয়েছে সর্বত্র। রাজ্যের কর্মরত চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের ভূমিকাও প্রশ্ন চিহ্নের বাইরে নয়। তারাও পুলিশের মতো তিপ্রামথার গুন্ডাবাজ নেতাকে ভয় পাচ্ছেন। তাই তাদের মুখেও কুলুপ।

গত ১৬ জানুয়ারি রাতে তিপ্রামথার নেতা বীর লাল নোয়াতিয়া তার এক অসুস্থ অনুগামীকে গর্জি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে এসেছিল। তখন বীর লাল ছিলো মদ মত্ত। অভিযোগ, হাসপাতালে প্রবেশ করেই কর্তব্যরত চিকিৎসক সপ্তদ্বীপ দাসের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে থাকে বীর লাল। তখনই চিকিৎসক বীর লালকে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। আর তাতেই চটে যায় তিপ্রামথার গুন্ডা নেতা বীর লাল। সঙ্গে সঙ্গেই হাতে থাকা বাইকের চাবি দিয়ে বীর লাল আঘাত করে চিকিৎসক সপ্তদ্বীপ দাসের গলায়। রক্তাক্ত অবস্থায় চিকিৎসক সপ্তদ্বীপ হাসপাতালের মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। চিকিৎসককে সঙ্গে সঙ্গেই ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে।

এই ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গর্জি ফাঁড়িতে একটি মামলা দায়ের করে মথার নেতার বিরুদ্ধে। এতে অবশ্যই চিকিৎসকদের কোনো লাভ হয়নি। তারা পরের দিন রাধা কিশোর পুর থানায়ও পৃথক মামলা দায়ের করেন। কিন্তু তাতেও নির্জীব পুলিশ। কারণ অভিযুক্ত বীর লাল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল তিপ্রামথার নেতা। তার মাথার উপর আছেন প্রদ্যুৎ কিশোর সহ বিজয় রাঙ্খল রঞ্জিত দেববর্মার মত এক ঝাঁক প্রাক্তন রক্ত পিপাসু জঙ্গি নেতা।তাই ভয়ে সিটিয়ে গিয়েছে গোটা গোমতী জেলার পুলিশ প্রশাসন। হাড় হিম হয়ে গিয়েছে জেলার এসপি।কম্পিত পুলিশ মহানিরদেশক অমিতাভ রঞ্জন।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডা মানিক সাহা নিজেও একজন চিকিৎসক। হাসপাতালে হামলা হুজ্জুতি করলে অভিযুক্তদের আইনি জালে আটকাতে রয়েছে নির্দিষ্ট আইন।তারপরও কর্তব্যরত চিকিৎসক সপ্তদ্বীপ দাসের হামলাকারীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন? এই প্রশ্নের উত্তর কি দিতে পারবে রাজ্য পুলিশ?

রাজ্যের চিকিৎসকদের বেশ কয়েকটি সংগঠন রয়েছে।প্রতিটি সংগঠন এই বিষয়ে নিশ্চুপ। পুলিশের মতো চিকিৎসকরাও নাকি এখন ভয় পাচ্ছেন তিপ্রামথার গুন্ডাবাজ নেতা বীর লালকেও।
তাই এখনোও চিকিৎসকদের শিরা – ধমনী ঠান্ডা হয়ে আছে। তারা হারিয়ে ফেলছেন প্রতিবাদের ভাষা। কোথায় আছেন স্বঘোষিত বুবাগ্রা প্রদ্যুৎ কিশোর?

গর্জি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক সপ্তদ্বীপ দাস রক্তাক্ত হওয়ার কথা কি পৌছায় নি জনজাতি নেতা প্রদ্যুৎ কিশোরের কর্ন কুহরে? যদি কোনো অনুপজাতি দুষ্কৃতী দ্বারা কোনো জনজাতি চিকিৎসক আক্রান্ত হতেন, তাহলে প্রদ্যুৎ নিশ্চিত ভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তর্জন গর্জন করতেন। এটা হলফ করে বলা যায়। তবে চিকিৎসকরা জাতপাত ও রাজনীতির ঊর্ধ্বে। তা সত্বেও নিশ্চুপ বুবাগ্রা।