ডেস্ক রিপোর্টার ,২৫ জানুয়ারি।। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব আসনের প্রার্থী বাছাই নিয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারে নি ভারতীয় জনতা পার্টি। এখন পর্যন্ত খবর, ইতিমধ্যে পশ্চিম আসন নিয়ে স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছে বিজেপির থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। এই আসনে পুনরায় টিকিট পাচ্ছেন প্রতিমা ভৌমিকই। কিন্তু পূর্ব আসনে বর্তমান  সাংসদ রেবতী ত্রিপুরার সঙ্গে লড়াই শুরু হয়েছে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মনের। পূর্ব আসন ইস্যুতে  বিজেপির এক লবি দাঁড়িয়েছে রেবতী ত্রিপুরার পাশে।  অন্য লবি চাইছে  জিষ্ণু দেববর্মনকে। স্বাভাবিকভাবেই পূর্ব ত্রিপুরা আসনে প্রার্থী ইস্যুতে মহাসংকটে  ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে শীঘ্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কারণ আগামী ১০ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিতে পারে নির্বাচনের দিনক্ষন।


বিজেপির অন্দর মহলের খবর, দলীয় নেতৃত্ব অনেক প্রত্যাশা নিয়েই ১৯- র জাতীয় নির্বাচনে রেবতী ত্রিপুরাকে পূর্ব আসন থেকে প্রার্থী করেছিলো। নির্বাচনে জয়ের পর রেবতীকে পাহাড়ে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু তিনি তিপ্রামথার নেতা প্রদ্যুৎ কিশোরকে বিট করতে পারেন নি। বা পাহাড়ে বিজেপির সংগঠনকে মাথা তুলে দাঁড় করাতে পারেন নি। এটা অবশ্যই রেবতী ত্রিপুরার রাজনৈতিক ব্যর্থতা! এমনটাই মনে করছেন রাজনীতিকরা।


রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথায়, এবারে নির্বাচনে এই বিষয়টিই  নাকি রেবতী ত্রিপুরার জন্য নেগেটিভ পয়েন্ট হয়ে দাড়িয়ে। এর খেসারত এখনোও দিতে হচ্ছে বিজেপিকে। কারণ পাহাড় রাজনীতিতে এখনোও বিজেপির মেরুদণ্ড সোজা হয় নি। এটাও বাস্তব, তার জন্য রেবতী ত্রিপুরাকে একা দায়ী করলে হবে না। পাহাড় রাজনীতি নিয়ে রেবতী ত্রিপুরার অনেক পরামর্শকে বিভিন্ন সময়ে উপেক্ষা করেছিলো রাজ্য বিজেপির থিঙ্ক ট্যাঙ্ক।


অন্যদিকে, জিষ্ণু দেববর্মন দলের সিনিয়র নেতা। তিনি এক সময়ে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত ছিলেন আরএসএস’র সঙ্গে। অতীতে জিষ্ণু লড়াই করেছিলেন পূর্ব ত্রিপুরা আসন থেকেও। তখন অবশ্যই বিজেপি এই রাজ্যে ছিলো সাইন বোর্ড সর্বস্ব। ২৩-র বিধানসভা নির্বাচনে  জিষ্ণু দেববর্মন বৈতরণী পার হতে পারেননি। কিন্তু তার মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিককে ব্যবহার করতে চাইছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। খবর অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও সুসম্পর্ক জিষ্ণু বর্মনের। প্রধানমন্ত্রীর সফট কর্নার রয়েছে তার উপর। পাশাপাশি রাজ পরিবারের সদস্য তথা তিপ্রামাথার নেতা প্রদ্যুৎ কিশোরকে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ফেলার ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন  জিষ্ণু দেববর্মন।


ইতিমধ্যে তিনি তার প্রমাণও দিয়েছেন। প্রদ্যুৎ কিশোরের নানান বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জিষ্ণু দেববর্মন তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে  সঠিক ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। এই মুহূর্তে জিষ্ণু দেববর্মনকে রাজ্য মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই জিষ্ণুকে পূর্ব আসন থেকে পাশ করিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়ও স্থান দেওয়ার কথাও নাকি ভাবছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এবং আগামী দিনে জিষ্ণুকে সামনে রেখেই বিজেপি পাহাড়ে মাটি শক্ত করার একটা সু নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েছে বলেও খবর কুশাভাউ ভবনের অন্দরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *