
ডেস্ক রিপোর্টার, ৩ফেব্রুয়ারি।।
বড়মুড়ার আতঙ্ক এখনো পিছু ছাড়ছে না গোমতীর এসপি নমিত পাঠককে। নমিত পশ্চিম জেলার এএসপি থাকাকালীন তিপ্রমথার আন্দোলনস্থলে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এক জনজাতি নারী। কোনো ক্রমে নিজেকে বাঁচিয়ে ছিলেন নমিত। এই আতঙ্কের এখনোও জুবুথুবু আইপিএস পাঠক।বর্তমানে তিনি গোমতী জেলার এসপি। কিন্তু তিপ্রামথার এক নেতা কর্তব্যরত চিকিৎসকের উপর প্রাণঘাতি হামলার পর হাত গুটিয়ে বসে আছেন গোমতীর এসপি নমিত পাঠক। অভিযুক্ত তিপ্রামথার নেতা বীরলাল নোয়াতিয়ার বিরুদ্ধে এসপি নমিত পাঠক কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেন নি। গোমতী জেলা পুলিশের এই ভূমিকায় ছি: ছি: রব উঠেছে সর্বত্র।

গত ১৬ জানুয়ারি রাতে গর্জি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক সপ্তদ্বীপ দাসের উপর হামলা করেছিলো মথার বাহুবলী নেতা বীরলাল। ২৩- র নির্বাচনে বীরলাল মাতাবাড়ি কেন্দ্রে তিপ্রামথার প্রার্থী ছিলেন। ঘটনার দিন বীরলাল নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তার এক অনুগামীকে নিয়ে এসেছিল গর্জি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। হাসপতালে প্রবেশ করেই বীরলাল চিকিৎসকদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে।তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক সপ্তদ্বীপ মথার গুন্ডা নেতা বীর লালকে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তখনই বীরলাল তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে। এবং প্রকাশ্যে হামলা করে চিকিৎসক সপ্তদ্বীপকে। তার হাতে থাকা মোটর বাইকের চাবি দিয়ে চিকিৎসকের গলায় আঘাত করে। চিকিৎসক সপ্তদ্বীপ লুটিয়ে পড়েন মেঝেতে। এরপর তাকে ভর্তি করানো হয়েছিল গোমতী জেলা হাসপাতালে।

এই ঘটনার পর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ইনচার্জ রাধা কিশোর পুর থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ এই মামলার তদন্ত এক চুলও অগ্রসর হতে পারে নি। কারণ তিপ্রামথার জুজুতে ভেঙ্গে পড়েছে গোটা গোমতী জেলার পুলিশ প্রশাসন। খবর অনুযায়ী, জেলার পুলিশ সুপার নমিত পাঠক স্বেচ্ছায় গোটা বিষয়টি ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বীর লাল নোয়াতিয়াকে এক বারের জন্যও থাকায় ডেকে আনার দুঃসাহস দেখাতে পারে নি পুলিশ। খোদ এসপি নমিত পাঠক চাইছেন না বীরলালকে গ্রেফতার করতে।স্বাভাবিক কারণেই থানা পুলিশও হাত গুটিয়ে বসে আছেন।

গোমতী জেলা পুলিশের দাবী, নমিত পাঠক ভয় পাচ্ছেন তিপ্রামথাকে। গত বছর বড়মুড়া সাধুপাড়াতে মথার একটি আন্দোলনে নমিত পাঠকের উপর অন্তর্বাস খুলে এক জনজাতি মহিলা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এই আতঙ্ক এখনোও সিটিয়ে আছেন এসপি। তাই এই মুহূর্তে মথার গুন্ডা নেতা বীরলালকে গ্রেফতার করে ঝামেলায় পড়তে চাইছেন না তিনি। কিন্তু এসপির এই মনোভাবের কারণে সমস্যা আরোও বেড়ে গিয়েছে। মথার নেতা বীর লাল নিজেকে আরোও বড় হনু ভাবতে শুরু করেছে।সর্বপরি আস্কারা পেয়েছে গোটা রাজ্যের তিপ্রামথার নেতা – কর্মী-সমর্থকরা। এবং রাজ্য আরক্ষা দপ্তরও স্থাপন করেছে আরোও একটি দৃষ্টান্ত। গোমতী জেলার এসপির এই আচরণ নিয়ে জনমনে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।