ডেস্ক রিপোর্টার,২৯ ফেব্রুয়ারি ।।
রোমান হরফ থেকে আমরণ অনশন মঞ্চ। আগেই যেনো সাজানো ছিল স্ক্রিপ্ট। আন্দোলন শুরু হতেই ভোতা হয়ে যায়। মুহূর্তেই সমাধান। গোটা ঘটনা রাজনৈতিক ভাবে রহস্য জনক। মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
পূর্ব নির্ধারিত ঘোষনা অনুযায়ী বুধবার প্রদ্যুৎ কিশোর বড়মুড়াতে (হতাই কতর) অনশন মঞ্চে যান।সেখানে গিয়ে প্রদ্যুৎ জ্বালা মুখী ভাষণ দেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে জনজাতিরাও জড়ো হয় অনশন স্থলে। অচামকা প্রদ্যুৎ কিশোর তার বক্তব্য চলাকালীন ঘোষনা দেন,” দিল্লি থেকে তার কাছে ফোন এসেছে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাকে দিল্লি যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।”
প্রদ্যুৎ কিশোর তার বক্তব্য শেষ করে কিছুক্ষণ পর তিনি চলে আসেন রাজ মহলে।সেখান থেকেই দুপুরে রওনা হন দিল্লির উদ্দেশ্যে। প্রদ্যুৎ রাজভবনে দাঁড়িয়ে বলেন, ” তিপ্রামথা বাঙালি বিরোধী নয়। তারা জনজাতিদের সুরক্ষার জন্য কাজ করছেন। প্রদ্যুৎ কিশোরের দাবী, ” কাউর ঘরে উনুন জ্বললে, তিপ্রাসাদের ঘরেও উনুন জ্বলতে হবে। তারা কাউর উনুন ছিনিয়ে নেওয়ার পক্ষে নয়।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রদ্যুৎ কিশোর বলেন, “আগের জনজাতি দলগুলির মতো ভুল করবে না তিপ্রামথা। তারা কোনো রকম উল্লাস করবে না।লিখিত প্রতিশ্রুতি না পেলে তারা পিছু হটবে না।” আন্দোলনস্থল থেকে প্রদ্যুৎ কিশোরের আচমকা দিল্লির উদ্দেশ্যে পাড়ি দেওয়ার ঘটনাকে রহস্য জনক বলে মনে করছেন রাজনীতিকরা।
রাজনৈতিক প্রাজ্ঞদের প্রশ্ন, পুরো ঘটনা কি “গট আপ”? যদি গট আপ হয় তাহলে কোনো মেরু থেকে? প্রদ্যুৎ নাকি ভারত সরকারের তরফ থেকে। তা নিয়ে চলছে চুল চেরা বিশ্লেষণ। কারণ প্রদ্যুৎ কিশোর স্পষ্ট করে বলেছেন, ভারত সরকারের আধিকারিকরা তাকে ফোন করেছেন।কিন্তু এখন পর্যন্ত ভারত সরকার বা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ্যে অনশন প্রত্যাহার করার জন্য কোনো রকম বার্তা দেওয়া হয়নি। এটাও সাধারণ মানুষের কাছে খটকা লাগছে।
গত বছর আগে ইন্টারলকেটর ইস্যুতে প্রদ্যুৎ আগ বাড়িয়ে বলেছিলেন, ” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাকে আশ্বাস দিয়েছেন ইন্টারলোকেটর সমস্যার সমাধান করবেন”। কিন্তু পরবর্তী সময়ে রাজ্য সরকার পাল্টা নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলো ইন্টারলোকেটর আসবেন না। কয়েকমাস পর ইন্টারলোকেটর রাজ্যে আসলেও রাজ্য সরকার তাকে উত্তর পূর্বাঞ্চলের উপদেষ্টা হিসাবে ঘোষণা দিয়েছিলো। শুধু মাত্র তিপ্রামথার সঙ্গে আলোচনার জন্য ইন্টারলোকেটর একে মিশ্র রাজ্যে আসেন নি। তাই প্রদ্যুৎ কিশোরের অনশনস্থল থেকে দিল্লির বিমানে উঠার বিষয়টির পেছনে গভীর রহস্য সুপ্ত রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনীতিকরা। তবে কথা বলবে সময়েই। তার জন্য করতে হবে অপেক্ষা।