“রাজ্য সভার আসনটি নিয়ে লড়াইয়ের বৃত্তের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য,প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, প্রাক্তন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা।সর্বশেষ নাম দল বদলু নেতা সুবল ভৌমিক। দিল্লির নেতৃত্বের ফোকাসও রয়েছে তাদের উপর। তাদের মধ্যে প্রথম তিন জন দিল্লির লাইন ধরে সমস্ত চেষ্টা শুরু করেছেন।সুবল ভৌমিকের ভরসা খোদ মুখ্যমন্ত্রী। “…

ডেস্ক রিপোর্টার, ৩জুলাই।।
লোকসভা নির্বাচন সাঙ্গ হতেই রাজ্য সভার আসন নিয়ে দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছেন শাসক দলের চার নেতা – নেত্রী। তারা প্রত্যেকেই চাইছেন রাজ্যের রাজ্য সভার একমাত্র আসনটি। নেতা – নেত্রীরা প্রত্যেকেই নিজেদের মত করে লাইন মেন্টেন করে চলছেন। তবে শেষ সময়ে কার ললাটে আসনটি জুটবে? তা অবশ্যই এখন বলা কঠিন।বিজেপির কৃষ্ণনগর বাড়ির খবর অনুযায়ী, রাজ্য সভার আসনটি নিয়ে লড়াইয়ের বৃত্তের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য,প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, প্রাক্তন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা।সর্বশেষ নাম দল বদলু নেতা সুবল ভৌমিক। দিল্লির নেতৃত্বের ফোকাসও রয়েছে তাদের উপর। তাদের মধ্যে প্রথম তিন জন দিল্লির লাইন ধরে সমস্ত চেষ্টা শুরু করেছেন।সুবল ভৌমিকের ভরসা খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তথ্য বলছে, ইতিমধ্যেই রাজ্য সভার আসনের টিকিটের জন্য নেতা – নেত্রীরা দিল্লিতে আসা – যাওয়া শুরু করেছেন। তবে শেষ কথা বলবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

ভারতীয় জনতা পার্টির ঘরোয়া খবর অনুযায়ী, রাজ্য সভার সাংসদের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। তার সঙ্গে সমান ভাবে পাল্লা দিয়ে দৌড়াচ্ছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। তিনিও প্রবল দাবিদার। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে প্রতিমা ভৌমিককে টিকিট দেয় নি দল। এই অবস্থায় নিশ্চিত ভাবে দলীয় নেতৃত্ব এই সিনিয়র নেত্রীকে রাজ্যসভাতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। দৌড়ে আছেন প্রাক্তন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা। তিনিও নিজের মতো করে হাঁটছেন।তাকে শেষ লোকসভা নির্বাচনে টিকিট দেওয়া হয় নি।

“রাজ্য সভার সাংসদের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। তার সঙ্গে সমান ভাবে পাল্লা দিয়ে দৌড়াচ্ছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। তিনিও প্রবল দাবিদার।”

এই খবর পড়ুন
তিনি বিজেপির জনজাতি মুখ।এক্ষেত্রে রেবতী ত্রিপুরার একটি সম্ভাবনাও রয়েছে বলে দাবি করছে বিজেপির কর্মীরা। সম্ভাব্যদের তালিকায় রয়েছেন সুবল ভৌমিকও।তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাকে কতটা গুরুত্ব দেবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এই মুহূর্তে সুবল ভৌমিক মুখ্যমন্ত্রীর লবির। এমন গুঞ্জন বিজেপির অন্দরে।স্বাভাবিক ভাবেই রাজ্য সভার টিকিটের ক্ষেত্রে সুবল ভৌমিকের মূল ভরসা মুখ্যমন্ত্রী।

এটাও বাস্তব ২০১৮ সালে রাজ্যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পেছনে সুবল ভৌমিকের একটা বড় ভূমিকা ছিলো।যদিও তিনি পরবর্তী সময়ে বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।কিন্তু দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যদি তার পুরানো দিনের পারফরমেন্সের কথা মাথায় রাখে তাহলে কপাল খুলতে পারে ভৌমিকের। তার জন্য অবশ্যই গুরুত্ব পূর্ন ভূমিকা পালন করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।

বিজেপি সদর দপ্তরে গুঞ্জন, এই চার নেতা – নেত্রী আপাতত দৌড়ে রয়েছেন।কিন্তু ভাজপার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কার উপর ভরসা রাখবেন, তা বলা কঠিন। এই মুহূর্তে তারা চার জন আছেন।কিন্তু পর্দার আড়াল থেকে কোনো নতুন মুখকে রাজ্য সভায় পাঠিয়ে দিতে পারে বিজেপি। তবে শেষ দেখার জন্য অপেক্ষা তো করতেই হবে।কারণ সামনেই গোটা রাজ্যে শুরু হচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজ্য সভার আসন নিয়ে রাজনীতির পারদ আরো চড়বে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই।