ত্রিপুরার তিন দিকে থাকা সীমান্ত অঞ্চলগুলি এখন অতি স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে। উন্মুখ সীমান্ত গুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।
।।সাব্রুমে যৌথ টহলে বিএসএফ – টিএসআর।।
টিএসআরের কমান্ডো প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত জওয়ানদের সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে। তারা বিএসএফের সঙ্গে প্রতিদিন বের হচ্ছে যৌথ টহলে। নিঃসন্দেহ বিএসএফ – টিএসআরের এই রসায়নে সীমান্ত এলাকায় শক্তি বেড়েছে দ্বিগুণ।
ডেস্ক রিপোর্টার,১৭ ডিসেম্বর।। দিনের পর দিন ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দিল্লি – ঢাকার সম্পর্ক এখন তেলে বেগুনের মতো। ওপার বাংলায় বাড়ছে জঙ্গিদের আস্ফালন।প্রকাশ্যে ঘুরছে এক কে সিরিজ রাইফেল নিয়ে। এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার তিন দিকে থাকা বাংলাদেশ সীমান্তে বৃদ্ধি করা হয়েছে নিরাপত্তা। ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মেজর স্ট্রাইকিং ফোর্স টিএসআর’কে। রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা গুলিতে বিএসএফের সঙ্গে যৌথভাবে টহল দিচ্ছে টিএসআর।সম্প্রতি সাব্রুম সীমান্তে দেখা গিয়েছে এই দৃশ্য।
রাজ্য পুলিশের সদর দপ্তরের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ত্রিপুরার তিন দিকে থাকা সীমান্ত অঞ্চলগুলি এখন অতি স্পর্শকাতর হয়ে উঠেছে। উন্মুখ সীমান্ত গুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।বাংলাদেশে ভারত বিরোধী শক্তি ক্রমশ হয়ে উঠছে শক্তিশালী। এখন বাংলাদেশের রাজপথে হামেশাই পতপত করে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের পতাকা। এই সমস্ত জঙ্গি সংগঠন গুলির পতাকা ছেয়ে গিয়েছে বাংলাদেশে।
বিজ্ঞাপন(ICA/C-2940/24)
ইউনুসের দেশে “হিন্দু নির্যাতন ” ইসলামিক জঙ্গিদের কাছে রোজ দিনের রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আবহে এপারেও ঝুঁকি বাড়ছে নিরাপত্তার। তাই সীমান্তে শক্তি বাড়ানোর স্বার্থে বিএসএফের সঙ্গে টিএসআরকে ব্যবহার করা হচ্ছে।অর্থাৎ বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় দ্বি-স্তরীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
এনইসির বৈঠক কেন্দ্র করে আগরতলা সহ গোটা রাজ্যে থাকবে বজ্র আঁটুনি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
পুলিশের দাবি, টিএসআরের কমান্ডো প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত জওয়ানদের সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে। তারা বিএসএফের সঙ্গে প্রতিদিন বের হচ্ছে যৌথ টহলে। নিঃসন্দেহ বিএসএফ – টিএসআরের এই রসায়নে সীমান্ত এলাকায় শক্তি বেড়েছে দ্বিগুণ। আগামী ১৯ ডিসেম্বর রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।তিনি নর্থ ইস্ট কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দেবেন। সঙ্গে আসছেন ডোনার মন্ত্রী জ্যোতিরা দিত্য সিন্ধিয়া। থাকবেন উত্তর – পূর্বাঞ্চলের সাত রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী।স্বাভাবিক ভাবেই এনইসির বৈঠক কেন্দ্র করে আগরতলা সহ গোটা রাজ্যে থাকবে বজ্র আঁটুনি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
নর্থ ইস্ট কাউন্সিলের বৈঠক চলাকালে সীমান্ত এলাকায়ও উচ্চ সতর্কতা জারি সহ থাকবে নিরাপত্তার বলয়। এই কারণেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই সীমান্তের নিরাপত্তাকে জোরদার করতে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সঙ্গে টিএসআরকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে যেন মাছি গলার জো না থাকে, তার জন্যই টিএসআরকেও পাঠানো হয়েছে সীমান্তে।