রাজধানীর “ক্রাইম হাব ” বলে খ্যাত ঊষাবাজারের অপরাধ টাইকুনদের এই অডিও বার্তা পৌঁছেছে ‘জনতার মশাল’র কাছে।
।।প্রতীকী ছবি।।
অপরাধীদের অডিও বার্তায় ভেসে উঠা দুই ব্যক্তি রূপম – দীপন দুই ভাই। এরা ঊষা বাজারের স্থানীয় জুরি হোটেলের মালিক। যে অপরাধী রূপম – দীপনকে অপহরনের জন্য ফোনের অপর প্রান্ত থেকে ঠিকা দিয়েছে, তার নাম নাকি সুকান্ত গুপ্ত। সে ভিকি হত্যাকাণ্ডের এক জন অভিযুক্ত। আর ডি দপ্তরের প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার।রাজু বর্মনের সঙ্গী। রাজু বর্মনের জামানায় সুকান্ত গুপ্ত ছিলো তাদের নিগোসিয়েশন গ্রুপের ক্যাশিয়ার।
বর্তমানে পুলিশের রাডারের বাইরে থাকা রাজু বর্মন গোষ্ঠীর সমাজদ্রোহীরা ফের ঊষা বাজার দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে।
” রুপম – দীপনের মধ্যে একটাকে উঠানো যাইবো নি। ঠিক আছে, হয়ে যাবে। দু’য়েক দিনের মধ্যে আমরা আইতাছি।তারপর বইয়া প্ল্যান করুম।”— এই কথোপকথন ঊষা বাজারের অপরাধ জগতের চাইদের মধ্যে। রাজধানীর “ক্রাইম হাব ” বলে খ্যাত ঊষাবাজারের অপরাধ টাইকুনদের এই অডিও বার্তা পৌঁছেছে “জনতার মশাল” প্রতিনিধির কাছে।পুলিশ প্রশাসনের কথিত বজ্র আঁটুনি নিরাপত্তার জাল ভেদ করে অপরাধীরা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অপরাধ।
এসপি’র নেতৃত্বে ঊষা বাজারে পুলিশ (ফাইল ছবি)
চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল শাল বাগানে খুন হয়েছিলেন ঊষা বাজার ভারত রত্ন সংঘের তৎকালীন সম্পাদক দুর্গা প্রসন্ন দেব ওরফে ভিকি। ভিকি হত্যাকাণ্ড নিয়ে জল গড়ায় বহুদূর পর্যন্ত। হত্যাকাণ্ডের শিকড় প্রোথিত ছিল অনেক গভীরে। রাজনীতি ও অপরাধ জগতের দুই হাতের গাঢ় সম্পৃক্ততার যুগল বন্দীতেই খুন হয়েছিলেন ভিকি। সমাজদ্রোহী রাজু বর্মন গোষ্ঠী সংঘটিত করেছিলো ভিকি হত্যাকান্ড। ভিকি খুনের তিন দিন আগেই “জনতার মশাল” খুনের আশঙ্কা করে এই সংক্রান্ত আগাম খবর প্রকাশিত হয়েছিল।তারপরও পুলিশ সাবধান হয় নি। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের।
।।খুন হওয়া দুর্গা প্রসন্ন দেব।।
দুর্গা প্রসন্ন হত্যার পর রাজু বর্মন সহ আরো কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।বাদবাকি আরো কয়েকজন অভিযুক্ত এখনো পলাতক। কিন্তু রহস্য জনক ভাবে বাদবাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশেও কোনো উদ্যোগ নেই। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই বর্তমানে পুলিশের রাডারের বাইরে থাকা রাজু বর্মন গোষ্ঠীর সমাজদ্রোহীরা ফের ঊষা বাজার দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে। এবং তারা ফিরতে চাইছে অপরাধের জংশন ঊষা বাজারে। তার জন্যই পুনরায় শক্তি প্রদর্শন করতে অপহরনের ছক কষছে রাজু গোষ্ঠীর অবশিষ্ট সমাজদ্রোহীরা।
ঊষাবাজার অপরাধ জগতের তথ্য অনুযায়ী, সমাজদ্রোহীদের অডিও বার্তার কথোপকথন অনুযায়ী, রুপম – দীপন নামের দুই ব্যক্তিকে তোলার জন্য প্রাথমিক ভাবে ঠিকা দেওয়া হয়েছে।এবং এই ঠিকা লুফেও নিয়েছে ফিল্ডের অপরাধীরা।
জনতার মশাল – র ক্রাইম ব্যুরো অনুসন্ধান করে জানতে পেরেছে, অপরাধীদের অডিও বার্তায় ভেসে উঠা দুই ব্যক্তি রূপম – দীপন দুই ভাই। এরা ঊষা বাজারের স্থানীয় জুরি হোটেলের মালিক। যে অপরাধী রূপম – দীপনকে অপহরনের জন্য ফোনের অপর প্রান্ত থেকে ঠিকা দিয়েছে, তার নাম নাকি সুকান্ত গুপ্ত। সে ভিকি হত্যাকাণ্ডের এক জন অভিযুক্ত। আর ডি দপ্তরের প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার।রাজু বর্মনের সঙ্গী। রাজু বর্মনের জামানায় সুকান্ত গুপ্ত ছিলো তাদের নিগোসিয়েশন গ্রুপের ক্যাশিয়ার।
।সুকান্ত গুপ্ত।
হঠাৎ করে রূপম – দীপনকে কেন অপহরণ করার ঠিকা দিয়েছে সুকান্ত গুপ্ত?
ঊষাবাজার ক্রাইম হাবের তথ্য, বর্তমানে হোটেল জুরি হলো রাজু বর্মননের বিরোধী সমাজদ্রোহী গোষ্ঠীর বধ্যভূমি। অভিযোগ, এই হোটেলের গোপন ঘর থেকেই নাকি রাজুর অবশিষ্ট সঙ্গীদের বল্ডোজার দিয়ে পিষিয়ে মারার পরিকল্পনা করছে বিপক্ষ গোষ্ঠীর সমাজদ্রোহীরা।