কোনো বছরই বাংলাদেশের প্রকাশকদের আগরতলা বইমেলায় অংশ গ্রহণের জন্য আলাদা করে কোনো রকম চিঠি দেওয়া হয় নি।
।।ফাইল ছবি।।
৪৩তম আগরতলা বই মেলার চৌহদ্দিতে থাকবে না বাংলাদেশের বইয়ের স্টল। ত্রিপুরার প্রতিবেশী রাজ্য অসমেও শুরু হয়েছে বই মেলা। এই রাজ্যেও প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৮-১০টি স্টল আসে বই মেলায়। কিন্তু এবারই ব্যতিক্রম। বাংলাদেশের কোনো প্রকাশনী সংস্থা যায় নি অসমের বই মেলায়।
ডেস্ক রিপোর্টার , ২৯ ডিসেম্বর।। আগামী ২ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলছে আগরতলা বই মেলা। চলবে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।কিন্তু ৪৩ তম আগরতলা বইমেলা হবে বাংলাদেশহীন। প্রতি বছর আগরতলা বই মেলায় বাংলাদেশের ১০-১২টি স্টল থেকে। তারা বিক্রি করে প্রচুর বই। ত্রিপুরা তথ্য – সংস্কৃতি দপ্তর বাংলাদেশি প্রকাশকদের জন্য পৃথক স্ট্যান্ড তৈরি করে দেয়। ইউনূসের দেশের অস্থির অবস্থার কারণে ওপারের বই বিক্রেতারা এবার আসছেন না ত্রিপুরায়। সম্ভবত, এবারই প্রথম আগরতলা বইমেলা হবে বাংলাদেশের প্রকাশক ও প্রকাশনা ব্যতীত। ইতিমধ্যে আগরতলা বইমেলার স্টল বন্টন প্রক্রিয়াও শেষ। কিন্তু ওপার থেকে কোনো বই বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান স্টলের জন্য কোনো আবেদন করে নি। সুতরাং, চিত্র পরিষ্কার ৪৩তম আগরতলা বই মেলার চৌহদ্দিতে থাকবে না বাংলাদেশের বইয়ের স্টল। ত্রিপুরার প্রতিবেশী রাজ্য অসমেও শুরু হয়েছে বই মেলা। এই রাজ্যেও প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৮-১০টি স্টল আসে বই মেলায়। কিন্তু এবারই ব্যতিক্রম। বাংলাদেশের কোনো প্রকাশনী সংস্থা যায় নি অসমের বই মেলায়।
সম্ভবত, এবারই প্রথম আগরতলা বইমেলা হবে বাংলাদেশের প্রকাশক ও প্রকাশনা ব্যতীত।
আগরতলা বই মেলায় বাংলাদেশি স্টল না থাকার বিষয়টিকে বিকৃত ভাবে ব্যাখ্যা করছে বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশন অফিস কর্তৃপক্ষ।তাদের বক্তব্য, “প্রতি বছর নাকি ত্রিপুরা সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে চিঠি দেওয়া হয়, আগরতলা বইমেলায় অংশ গ্রহণ সংক্রান্ত বিষয়ে। সহকারী হাই- কমিশনের পক্ষ থেকে এই চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হতো বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সেখান থেকে পাঠানো প্রকাশকদের নামের তালিকা তারা পাঠিয়ে দিতো ত্রিপুরা সরকারের তথ্য – সংস্কৃতি দপ্তরের কাছে। এবার নাকি ত্রিপুরা সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে কোনো চিঠি দেওয়া হয় নি। তাই প্রকাশকরাও এবার আসতে চান নি আগরতলা বইমেলাতে।
রাজ্য তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, “কোনো বছরই বাংলাদেশের প্রকাশকদের আগরতলা বইমেলায় আসার জন্য কোনও চিঠি দেওয়া হয় নি।দপ্তরের পক্ষ বইমেলা ইস্যুতে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এই বিজ্ঞাপন দেখেই বাংলাদেশের প্রকাশকরা যোগাযোগ করতেন।
তথ্য দপ্তরের তথ্য থেকে পরিষ্কার, বাংলাদেশের সহকারী হাই-কমিশন অফিস আগরতলা বইমেলা ইস্যুতে রাজ্যকে নিয়ে নতুন গল্প রচনা শুরু করেছে। এবং এই গল্প গাছে চড়াচ্ছে ।এমনটাই বলছেন, রাজ্যের পুস্তক শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রকাশকরা।