#Tripura #Agartala #Low and #order#Ncc#ps# Janatar#Mashal।
অবশ্যই এই সুন্দর গল্পের স্ক্রিপ্ট লেখার জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কার না হোক, অন্তত ডিজিপি ডিস্ক নিশ্চিত করেছেন এনসিসি থানার ওসি সুশান্ত দেব!
“ছিঃ ছিঃ।এটাই কি রাজ্যের উর্দিওয়ালাদের দায়িত্ব কর্তব্য?প্রশ্ন উঠছে জনমনে। এই ঘটনা থেকে প্রমাণিত কতটা চাপের মুখে কাজ করতে হচ্ছে রাজ্যের পুলিশকে।অথচ মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলছেন, “অপরাধ দমনে পুলিশকে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে”। এই নির্দেশ কি শুধুই কলা পাতা? নাকি পুলিশকে নিয়ে পেছন থেকে কেউ নাড়ছেন কল – কাঠি?
ডেস্ক রিপোর্টার, ৩০ডিসেম্বর। রাতের আগরতলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখন কুলুঙ্গীতে। শহরের এনসিসি থানার নাকের ডগায় পুলিশের সামনেই নেশাগ্রস্থ দুই গোষ্ঠীর যুবক – যুবতীদের সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয় সার্কিট হাউসের হোটেল পোলো টাওয়ারের গেট।ঘটনা গত ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাসের রাতে।এই ভিডিও এখন ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মুখে চাপ চাপ দাড়ি থাকা এক যুবক তার সামনে থাকা যুবতীকে সজোরে একের পর এক ঘুষি দিচ্ছে।যুবকের হাতের। পাচ্ছে যুবতী মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।এরপর উত্তেজিত, নেশাগ্রস্থ যুবক মাটিতে লুটিয়ে পড়া মেয়েটিকে পা দিয়েও একের পর এক লাথি দিতে থাকে। এরপর আক্রান্ত যুবতীর গ্রুপের যুবকরাও পালটা আক্রমণ করে মুখে চাপ চাপ দাড়ি থাকা যুবকটিকে।
এই ঘটনার সময় সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলো এনসিসি থানার করিৎকর্মা পুলিশ। হাস্যকর।পুলিশকে দেখে মনে হচ্ছে, পোলো টাওয়ারের সামনে কোনো “রেসলিং” প্রতিযোগিতা চলছে।আর এই রেসলিং প্রতিযোগিতার আমেজ তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছেন কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা। ছিঃ ছিঃ।এটা পুলিশের জন্য লজ্জার। এই ঘটনা প্রমাণ করে এনসিসি’ র এসডিপিও সুব্রত বর্মন ও থানার ওসি সুকান্ত দেব সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের নিরাপত্তার দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালনে ব্যর্থ।
।।বিজ্ঞাপন।।
পুলিশ এই ঘটনা নিয়ে মুখে তালা দিয়ে রেখেছে। থানা পুলিশ ঝেরে কাশতেও যেনো ভয় পাচ্ছে।
ক্রিসমাসের রাতে হোটেল পোলো টাওয়ারের সামনে সংঘটিত ঘটনায় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিলো।রাতেই তাদেরকে পুলিশ নিয়ে যায় জিবি হাসপাতালে।প্রাথমিক চিকিৎসার পর জিবি কর্তৃপক্ষ তাদেরকে ছেড়ে দেয়।কোনো এক রহস্য জনক কারণে এনসিসি থানার পুলিশ এই ঘটনা নিয়ে মুখে তালা দিয়ে রেখেছে। থানা পুলিশ ঝেরে কাশতেও যেনো ভয় পাচ্ছে। শহরের এনসিসি থানার ওসি সুশান্ত দেব, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, “সংঘর্ষ হয়েছে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। তবে কোনো পক্ষ থানায় মামলা করে নি।”
শুধু কি তাই, এনসিসি থানার ওসি সুশান্ত দেব ঘটনার উল্টো তথ্য প্রদান করেন ” জনতার মশাল”- র কাছে। ওসির কথা অনুযায়ী, “এদিন রাতে সার্কিট হাউস সংলগ্ন একটি ক্লাবে বড়জলা মন্ডলের মন্ডল সভাপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল।তখন ক্লাব চত্বরে বিজেপির স্থানীয় কর্মীরা ছিলো।এমন সময় পাশের রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে মদ্যপান করছিল কয়েকজন যুবক।এই সময় কোনো একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে গাড়িতে থাকা যুবকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় স্থানীয় বিজেপির কর্মীদের।” এনসিসি থানার ওসি সুশান্ত দেব কাকে বাঁচানোর জন্য এই মিথ্যা গল্পের স্ক্রিপ্ট শুনালেন? অবশ্যই এই সুন্দর গল্পের স্ক্রিপ্ট লেখার জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কার না হোক, অন্তত ডিজিপি ডিস্ক নিশ্চিত করেছেন এনসিসি থানার ওসি সুশান্ত দেব। আগামী বছরের ২৬- শে জানুয়ারিতে ওসি সুশান্ত দেব হাতে পেয়ে যাবেন সম্মাননা!
সুশান্ত দেব (ওসি, এনসিসি থানা)
তিনি বলেন, ” দাদা আমি কিছুই জানি না। ছুটিতে আছি। ওসি পুরো ঘটনা জানেন।” এই কথা বলে দায় এড়ালেন এসডিপিও।
পুলিশের সামনেই ক্রিসমাসের রাতের সংঘটিত ঘটনার জন্য “করিৎকর্মা” ওসি সুশান্ত দেব কাউকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার দুঃসাহস করেন নি। উপর ওয়ালাদের ভয়ে ওসির পায়েও কম্পন শুরু হয়েছে যায়।ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য “জনতার মশাল”- র সংবাদ ভবন থেকে ফোন করা হয়েছিল এনসিসি’ র এসডিপিও সুব্রত বর্মনকে। তিনি বলেন, ” দাদা আমি কিছুই জানি না। ছুটিতে আছি। ওসি পুরো ঘটনা জানেন।” এই কথা বলে দায় এড়ালেন এসডিপিও ।
“ছিঃ ছিঃ।এটাই কি রাজ্যের উর্দিওয়ালাদের দায়িত্ব কর্তব্য?প্রশ্ন উঠছে জনমনে। এই ঘটনা থেকে প্রমাণিত কতটা চাপের মুখে কাজ করতে হচ্ছে রাজ্যের পুলিশকে।অথচ মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলছেন, “অপরাধ দমনে পুলিশকে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে”। এই নির্দেশ কি শুধুই কলা পাতা? নাকি, পুলিশ জেনে বুঝে মুখ্যমন্ত্রীকে কালিমালিপ্ত করতে তাঁর দেওয়া নির্দেশকেই মান্যতা দিচ্ছে না। পর্দার আড়ালে কি আছে কোনো কালো হাত?