#Agartala #Court # Police #Janatar# Mashal

২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ভর আদালত চত্বরে রক্তাক্ত করা হয়েছিল মুহুরী অমিত আচার্যকে।

।।খুন হওয়া মুহুরী অমিত আচার্য।।

খুন হওয়া অমিত আচার্যের স্ত্রীর বক্তব্য, পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবে অভিযুক্তদের বাঁচিয়ে দেওয়ার জন্য তৈরি করেছে ব্লু প্রিন্ট। তাই অভিযুক্তদের সঙ্গে
“চোর – পুলিশে”র খেলা শুরু করেছিলো অনুসন্ধানকারী পুলিশ কর্তারা। অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও তাদেরকে গ্রেফতার করা হয় নি।

ডেস্ক রিপোর্টার,আগরতলা।।
অবশেষে জনতার মশাল- র খবরে জেগে উঠেছে শহরের ঘুম পাড়ানি পুলিশ। শীতের আড়মোড়া কাটিয়ে রাজধানীর পুলিশ গ্রেফতার করেছে মুহুরী অমিত আচার্য হত্যা মামলায় জড়িত নয়ন মজুমদারকে।মঙ্গলবার আগরতলা আদালত চত্বর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।বুধবার তাকে পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করেছে তদন্তকারী পুলিশ।
              ২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ভর আদালত চত্বরে রক্তাক্ত করা হয়েছিল মুহুরী অমিত আচার্যকে।তারপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কলকাতায়।সেখানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছিল।এই ঘটনার পর তার বাবা দিলীপ আচার্য আগরতলা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। অভিযোগের তালিকায় ছিলেন বেশ কয়েকজন আইনজীবী ও মুহুরী। ধাপে ধাপে পুলিশ কয়েকজনকেট গ্রেফতার করে । কিন্তু তারপরও আরো কয়েকজন ছিলো পুলিশের রাডারের বাইরে। পুলিশের দাবি ছিল, অভিযুক্তরা।

আগরতলা আদালত (ছবি – সংগৃহীত)

কিন্তু খুন হওয়া অমিত আচার্যের স্ত্রীর বক্তব্য, পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবে অভিযুক্তদের বাঁচিয়ে দেওয়ার জন্য তৈরি করেছে ব্লু প্রিন্ট। তাই অভিযুক্তদের সঙ্গে
“চোর – পুলিশে”র খেলা শুরু করেছিলো অনুসন্ধানকারী পুলিশ কর্তারা। অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরলেও তাদেরকে গ্রেফতার করা হয় নি।অমিত আচার্যের অসহায় বিধবা স্ত্রী সঞ্চিতা আচার্যের কথায়,  অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য তিনি ঘুরছিলেন পুলিশের দরজায় দরজায়।
             

শেষ পর্যন্ত অমিতা আচার্যের স্ত্রী সঞ্চিতা আচার্য পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে এসেছিলেন রাজ্যের জনপ্রিয় ওয়েব পোর্টাল “জনতার মশাল” – র  সংবাদ ভবনে।তিনি পুলিশ ও অভিযুক্তদের গোপন খেলার বিষয়টি খুলে বলেন। এরপরেই সঞ্চিত আচার্যের বক্তব্য মূলে এক মাত্র ” জনতার মশাল ” এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করে ফলাও করে। এই খবর প্রকাশের পর টনক নড়ে পুলিশের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের। শীর্ষ কর্তাদের নির্দেশে পশ্চিম থানা পুলিশ অমিত হত্যা মামলায় বাদবাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে। এবং জালে তোলে আরো এক অভিযুক্ত নয়ন মজুমদারকে।


৪- জানুয়ারি জনতার মশাল -র প্রকাশিত খবরের অংশ।।

প্রশ্ন উঠছে পুলিশ কেন এতো দিন নয়ন মজুমদারকে গ্রেফতার করেনি?

মঙ্গলবার পুলিশ সরাসরি আগরতলা আদালত চত্বরে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে নয়ন মজুমদারকে।তখন নয়ন ( অ্যাডভোকেট ক্লার্ক) তার কর্ম স্থলে কাজ করছিলো আদালত চত্বরে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার নিয়ে আসে পশ্চিম থানায়। থানার ওসি জানিয়েছেন, বুধবার সকালেই তাকে তোলা হয়েছে আদালতে। তদন্তের স্বার্থে আদালতের কাছে ধৃত নয়ন মজুমদারের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করেছে। প্রশ্ন উঠছে পুলিশ কেন এতো দিন নয়ন মজুমদারকে গ্রেফতার করেনি? নয়ন নিয়মিত আসতো আদালতে। তারপরও পুলিশ হাত গুটিয়ে রেখেছিলো। এই ক্ষেত্রে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকের ভূমিকা যথেষ্ট সন্দেহজনক বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *