ঘটনার সময় পুলিশের সামনেই সংহার চালিয়ে ছিলো সম্প্রদায়িক দুষ্কৃতীরা। তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করছিলেন এসডিপিও।
‘জতুগৃহ’ গন্ডাছড়ার বাঙালি গ্রাম (ফাইল ছবি)
অঘোষিতভাবে সাম্প্রদায়িক আগুনের সলতে পাকানো এসডিপি বাপী দেববর্মাকে পুরস্কৃত করেছেন পুলিশ মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন। একই দোষের কারণে উওর জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তীকে ক্লোজ করেছিলো আরক্ষা প্রশাসন। দোষ ছিল কদমতলা ও পানিসাগরের সাম্প্রদায়িক ঘটনা রুখতে ব্যর্থ হয়েছিলেন এসপি ভানুপদ চক্রবর্তী। এই কারণেই তাকে বদলি করা হয়েছিলো।অথচ একই দোষ করা সত্ত্বেও বাপী দেববর্মাকে করা হলো পুরস্কৃত।
ডেস্ক রিপোর্টার ,২০ জানুয়ারি।। ২৪- র ১২ জুলাই রাতে সাম্প্রদায়িক দুষ্কৃতীদের আগুনে জ্বলে গিয়েছিলো একের পর এক বাঙালি অধ্যুষিত গ্রাম। হয়েছিল বাড়িঘরে নির্বিচারে ভাঙচুর, লুটপাট। আগুনের কুন্ডুলিতে পড়ে প্রাণ দিয়েছিলো অবোলা ১৪টি গো – মাতা। সাম্প্রদায়িক আগুনে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া লোকজনকে শেষ পর্যন্ত আশ্রয় নিতে হয়েছিলো শরণার্থী ক্যাম্পে। গণ্ডাছড়ার এই বীভৎস ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল গোটা রাজ্য। ঘটনার রাতে পুলিশের ব্যর্থতার জন্যই একের পর এক বাঙালি বাড়ি ঘর ঝলসে গিয়েছিলো। ঘটনার সময় পুলিশের সামনেই সংহার চালিয়েছিল সম্প্রদায়িক দুষ্কৃতীরা। এদিন রাতে গণ্ডাছড়াতে দুষ্কৃতীদের আটকাতে পুরোপুরি ভাবে ব্যর্থ হয়েছিলো পুলিশ প্রশাসন। তৎকালীন সময়ে গণ্ডাছড়ার এসডিপিও ছিলেন বাপী দেববর্মা। তার বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলেছিল ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীরা। অথচ এই বাপী দেববর্মার হাতেই আরক্ষা প্রশাসন তুলে দিয়েছে “ডিজিপি ডিস্ক”। অর্থাৎ ব্যর্থতার পরও বাপী দেববর্মাকে কেন এই সন্মান দিয়েছে? এটা কি বাঙালি সংহারের স্বীকৃতি?এই প্রশ্ন উঠছে জনমনে।
১২ জুলাইয়ের ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেও গোয়েন্দার পক্ষ থেকে এসডিপিও বাপী দেববর্মাকে সতর্ক করা হয়েছিল।
১২ জুলাইয়ের ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেও গোয়েন্দার পক্ষ থেকে এসডিপিও বাপী দেববর্মাকে সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরও বাপী দেববর্মা কোনো এক রহস্য জনক কারণে ঘটনা প্রতিরোধ করেন নি। স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশের দুর্বলতার কারণে দুষ্কৃতীরা ছিল বাঁধন হারা। সাম্প্রদায়িক দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে কোনো রকমে মানুষ নিজেদের প্রাণ রক্ষা করেছিল। স্থানীয় বাঙালি অংশের লোকজন প্রশাসনের কাছে বাপী দেববর্মাকে বদলির জন্য দাবি তুলেছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষের এই দাবীকে মান্যতা দেয় নি আরক্ষা প্রশাসন। ঘুরিয়ে বললে গণ্ডাছড়ার ১২ জুলাইয়ের ঘটনার “ভিলেন” বলা যায় এসডিপিও বাপী দেববর্মাকে। তারপরও কার নির্দেশে বাপীকে এই পুরস্কার?
এক যাত্রায় পৃথক ফল।এসপি – এসডিপিও’র।বাঙালি বলেই কি অপরাধ?
গণ্ডাছড়ার ১২- জুলাইয়ের ঘটনার পর তৎকালীন সময়ে থাকা গণ্ডাছড়া থানার ওসি সহ কয়েকজন গোয়েন্দা কর্মীকে বদলী করে দেওয়া হয়।অথচ বাপী দেববর্মার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নেই আরক্ষা প্রশাসন। বরং অঘোষিতভাবে সাম্প্রদায়িক আগুনের সলতে পাকানো এসডিপি বাপী দেববর্মাকে পুরস্কৃত করেছেন পুলিশ মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন। একই দোষের কারণে উওর জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তীকে ক্লোজ করেছিলো আরক্ষা প্রশাসন। দোষ ছিল কদমতলা ও পানিসাগরের সাম্প্রদায়িক ঘটনা রুখতে ব্যর্থ হয়েছিলেন এসপি ভানুপদ চক্রবর্তী। এই কারণেই তাকে বদলি করা হয়েছিলো।অথচ একই দোষ করা সত্ত্বেও বাপী দেববর্মাকে করা হলো পুরস্কৃত।
।।’ ক্লোজ ‘ করার নামে ভানুপদ চক্রবর্তীকে শাস্তি।।
এই রাজ্যে যারাই বাঙালিকে নিঃস্ব করেছে তাদের হাতেই বারবার উঠেছে পুরস্কার।
বাস্তবে এটা নতুন কিছু নয়। এই রাজ্যে যারাই বাঙালিকে নিঃস্ব করেছে তাদের হাতেই বারবার উঠেছে পুরস্কার। কংগ্রেস , সিপিআইএম,বিজেপি সব সরকারের জামানায় একই চিত্র। আরক্ষা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বাঙালি লোকজন ভালো চোখে দেখছে না। বাঙালি কি যথা সময়ে কথা বলতে পারবে? নাকি কয়েকদিন পরেই সব গুলিয়ে খাবে।আপাতত এই প্রশ্ন তোলা থাক কুলুঙ্গিতে।
