#Tripura #politics #Bjp #Cpim #Janatar Mashal
শেষ পর্যন্ত নির্বাচন না করে কিছু দুর্নীতিবাজদের প্যারাসুট দিয়ে নামিয়ে দিয়েছে মন্ডলে মন্ডল।

রাজ্যের শাসক দল বিজেপিকে কটাক্ষ করে জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি এখন হয়েছে কমিশন পার্টি। কমিশন ব্যতীত নেতারা কিছুই বুঝেন না। এই কমিশন বাণিজ্য চলছে পঞ্চায়েত থেকে মহাকরণ পর্যন্ত। ৭ থেকে ৮ শতাংশ কমিশন এখন পোশাকী রূপ নিয়েছে। নেতাদের কমিশন বাণিজ্যের কারণে সাধারণ মানুষের উঠছে নাভি: শ্বাস।
ডেস্ক রিপোর্টার, ১১ফেব্রুয়ারি।।
রাজ্যের শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টি ও যদু বংশের মধ্যে সাদৃশ্য খুঁজে পেলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ” যদু বংশের লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। পতন অবসম্ভাবী।” মেলারমাঠে লাল বাড়িতে বসে সাংবাদিকদের কাছে জিতেন্দ্র’র সটান বক্তব্য, প্রতিদিন ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা কর্মীদের মধ্যে চলছে সংঘাত। মাথা ফাটাফাটি।ধর্মনগর থেকে বিশালগড়, সোনামুড়া সর্বত্র একই অবস্থা। আর দলের নিষ্ঠাবান কর্মীরা হতাশ।এখন দলে তাদের জায়গা নেই।বিজেপি এখন দখল নিয়েছে মুনাফাখোর, কমিশনখোর, মাফিয়ারা।যাদের টাকা আছে, তারাই ক্ষমতা দেখাতে পারে।
রাজ্যের শাসক দল বিজেপিকে কটাক্ষ করে জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি এখন হয়েছে কমিশন পার্টি। কমিশন ব্যতীত নেতারা কিছুই বুঝেন না। এই কমিশন বাণিজ্য চলছে পঞ্চায়েত থেকে মহাকরণ পর্যন্ত। ৭ থেকে ৮ শতাংশ কমিশন এখন পোশাকী রূপ নিয়েছে। নেতাদের কমিশন বাণিজ্যের কারণে সাধারণ মানুষের উঠছে নাভি: শ্বাস।
আরো খবর পড়ুন
জিতেন্দ্র চৌধুরী বিজেপির মন্ডল সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়েও কটাক্ষ করেন।তিনি বলেন, ঘটা করে বিজেপি মন্ডল সভাপতি নির্বাচনের ঘোষনা দিয়েছিল।শেষ পর্যন্ত নির্বাচন না করে কিছু দুর্নীতিবাজদের প্যারাসুট দিয়ে নামিয়ে দিয়েছে।এবং তাদেরকেই মন্ডল সভাপতি হিসাবে ঘোষণা দিয়েছে। সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদকের বক্তব্য, বিজেপি এখন মিছিল মিটিংয়ে লোক পাচ্ছে না। তারা বাধ্য হয়ে রেগা ও টুয়েপের শ্রমিকদের দিয়ে মিছিল,মিটিং করছে। বিজেপির মিছিল – সমাবেশ গুলিতে নেতা – কর্মী – সমর্থকের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা বেশি। থাকে।
কংগ্রেস ও আপের ভোট কাটাকাটির জন্য দিল্লির ১৪ টি আসনে জয়ী হয় ভারতীয় জনতা পার্টি।
এদিন সাংবাদিকদের কাছে দিল্লি নির্বাচন ইস্যুতেও মুখ খোলেন জিতেন্দ্র চৌধুরী।তিনি বলেন, দিল্লিতে ভালো কাজ করেছিল আপ সরকার।বিজেপির দমন – পীড়ন নীতির কারণে মানুষ ভয় পেয়ে গিয়েছিল।তাছাড়া বিজেপিকে সুযোগ করে দিয়েছিল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও আপ জোট হয়ে লড়াই করেছিল কিন্তু এবার উভয় দল পৃথকভাবে লড়াই করে। ফলে ভোট কাটাকাটির সমীকরণে বিজেপি বেরিয়ে যায়। একটি তথ্য তুলে ধরে জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, কংগ্রেস ও আপের ভোট কাটাকাটির জন্য দিল্লির ১৪ টি আসনে জয়ী হয় ভারতীয় জনতা পার্টি।স্বাভাবিক ভাবে কংগ্রেস – আপ এক হলে বিজেপিকে আটকানো যেতো।