রাজ্যে ফের উগ্রপন্থা সৃষ্টি হলে কেউ রেয়াত পাবে না: মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা স্পষ্ট ভাবেই বলেন, এবার রাজ্যে উগ্রপন্থা সৃষ্টি করলে কেউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। কু-চক্রীদের দমন করতে সর্ব শক্তি প্রয়োগ করা হবে। সঙ্গে আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।সর্বোপরি রাজ্যের সাধারণ মানুষ।
ডেস্ক রিপোর্টার,১২ ফেব্রুয়ারি।। “রাজ্যে ফের উগ্রপন্থা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে।খবর রয়েছে সরকারের কাছে।এবার শান্ত ত্রিপুরাকে অশান্ত করলে কেউ ছাড় পাবে না।”- বক্তা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।বুধবার জিরানিয়াতে পরিবহন দপ্তরের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এই হুশিয়ারি দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বলেন, বিরোধী দলগুলো ফের রাজ্যে উগ্রপন্থা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে।রাজনীতিকরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর এই বার্তার মাধ্যমে কি শুধু বিরোধী দলগুলোকেই চরম হুশিয়ারি দিয়েছেন? নাকি তাঁর টার্গেটে রয়েছেন সরকারের শরিক বন্ধুরাও। কেন না, সম্প্রতি তিপ্রামথার প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যুৎ কিশোর সমাজ মাধ্যমে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেছিলেন, ” তিপ্রাসা চুক্তি পূরণ না হলে আগামী দিয়ে রাজ্যের বুকে ফের উগ্রবাদী সৃষ্টি হলে তার দায় ভার কি নেবে সরকার?” নিঃসন্দেহে প্রদ্যুৎ কিশোরের এই বক্তব্য, রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যে পূর্ণ। কেন,না প্রদ্যুৎ কিশোরের তিপ্রামথার আলিন্দেই বসে আছে প্রাক্তন জঙ্গি নেতারা। তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী এক ঢিলে দুই পাখি শিকার করলেন?
এবার রাজ্যে উগ্রপন্থা সৃষ্টি করলে কেউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। কু-চক্রীদের দমন করতে সর্ব শক্তি প্রয়োগ করা হবে। সঙ্গে আছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ।সর্বোপরি রাজ্যের সাধারণ মানুষ।
প্রসঙ্গ ক্রমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ার জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে উজ্জয়ন্ত প্রাসাদকে হেরিটেজ হোটেল তৈরি করবে টাটা গ্রুপ। এই বিষয়ে টাটা গ্রুপের সঙ্গে প্রায় সমস্ত কার্যকলাপেই শেষ।শুধু বাকি রয়েছে মৌ সাক্ষর।
তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী এক ঢিলে দুই পাখি শিকার করলেন?
হেরিটেজ হোটেল তৈরি করতে রাজ্য সরকার খরচ করেছে ১৭ কোটি টাকা। আর ২৫০ কোটি টাকা খরচ করবে টাটা গ্রুপ। হেরিটেজ হোটেল হলে দেশের অন্যান্য প্রান্ত সহ বহির্বিশ্বের কাছে ত্রিপুরার পরিচিতি আরো বাড়বে। মানুষ জানতে পারবে ত্রিপুরার রাজাদের রাজত্ব কাল সম্পর্কে।হেরিটেজ হোটেলে মোট রুম সংখ্যা থাকবে ১০০টি। তার মধ্যে কিছু রুম থাকবে বিশেষ সুবিধা যুক্ত। প্রতিটি রুমের ভাড়া দিনে আড়াই লক্ষ টাকা।
প্রসঙ্গত, উজ্জয়ন্ত প্রাসাদকে টাটা গ্রুপের কাছে দেওয়ার বিষয়েও তীব্র আপত্তি প্রদ্যুৎ কিশোরের। এই বিষয় নিয়ে প্রদ্যুৎ কিশোর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তিপ্রামথার বিভিন্ন সংগঠনকে কাজে লাগিয়ে প্রদ্যুৎ প্রতিবাদের একটা মহল তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন । প্রদ্যুৎ তাঁর কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজের স্ট্যান্ড পয়েন্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন। প্রদ্যুৎ কিশোরের এই আচরণ অবশ্যই রাজ্য সরকার ভালো ভাবে নেয় নি। তা মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি। তিনি বলেন, তাদের অবস্থা ‘তোমার খুশিতে আমি দুঃখী’। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী বুঝাতে চেয়েছেন বিজেপির খুশিতে, বিরোধীরা নিজেরদের এখন দুঃখী মনে করছে।