!#Tripura #Ushabazar #CPWD #Negotiation#Jamatar#Mashal
প্রতিটি কাজ থেকে দেবু ও তার ঠিকাদাররা ৬ শতাংশ টাকা ছিটিয়ে দিচ্ছে।তিন শতাংশ কৃষ্ণনগর। দুই শতাংশ স্থানীয় ক্লাব ও এক শতাংশ মন্ডল।

“গোটা চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কৃষ্ণনগরের দূতরা। ” হট লাইনের” মাধ্যমে দেবু – বাবুলরা নিগোসিয়েশনের টাকার কল থেকে প্রসব হওয়া “নোট” পৌঁছে দেন কৃষ্ণনগরের দূতদের হাতে। তারাও মোটা অঙ্কের অর্থ পেয়ে ঘুর পথে দেবু’র রাস্তা সুগম করে দিয়েছে। কৃষ্ণনগরের এজেন্টরা নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী পেয়ে যাচ্ছেন নোট।”
ডেস্ক রিপোর্টার ,২৩ ফেব্রুয়ারি।
রাম জামানাতেও ঊষা বাজার সিপিডব্লিউডি দেবু’র দখলেই । বকলমে বাম ক্যাডার দেবু’র অঙ্গুলির নির্দেশেই চলছে সিপিডব্লিউডি’র নিগোসিয়েশন। তার প্রমাণ সাম্প্রতিক কালেই সিপিডব্লিউডি’র কাজের খতিয়ান। খবর অনুযায়ী, গত ছয় মাসে দেবু সিপিডব্লিউডি থেকে ৯৬ কোটি টাকার কাজ হাতিয়ে নিয়েছে।অর্থাৎ দেবু বুঝিয়ে দিয়েছেন, রাম জমানাতেও তিনিই সিপিডব্লিউডি’ র শেষ কথা। বিনিময়ে অবশ্যই কমিশনের মোটা বান্ডিল ছিটিয়ে দিয়েছেন। তার সঙ্গে আছে বাবুল ওরফে ডেব্রা বাবুল। সিপিডব্লিউডি’ র নিগোসিয়েশন পর্বের সামনের সারিতে কলকাতা থেকে আগত চন্দন থাকলেও তাদের মূলত পরিচালনা করেন বাম ক্যাডার দেবু – বাবুলরা।তাদের সঙ্গে রয়েছে দেবুর পুরানো দিনের সমস্ত বাম ক্যাডাররা। এই মুহূর্তে গোটা উষাবাজার দখল নিয়েছে দেবু বাহিনীই। অবশ্যই কৌশলগত কারণে দেবুর লোকজন লাল সালু ফেলে গায়ে লাগিয়ে নিয়েছে গেরুয়া বসন। আর তাদের হাত ধরেই সিপিডব্লুডির নিগোসিয়েশন চালিয়ে যাচ্ছে চন্দনের নেতৃত্বাধীন টিম। তাতে অবশ্যই সায় আছে ঊষাবাজারে থাকা কৃষ্ণনগরের এজেন্টরা।

মাঝখান থেকে গোটা প্রক্রিয়াকে জিইয়ে রাখতে এজেন্ট হয়ে কাজ করছে চন্দন ও তার সাঙ্গোপঙ্গোরা।
তথ্য বলছে, গোটা চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কৃষ্ণনগরের দূতরা। ” হট লাইনের” মাধ্যমে দেবু – বাবুলরা নিগোসিয়েশনের টাকার কল থেকে প্রসব হওয়া “নোট” পৌঁছে দেন কৃষ্ণনগরের দূতদের হাতে। তারাও মোটা অঙ্কের অর্থ পেয়ে ঘুর পথে দেবু’র রাস্তা সুগম করে দিয়েছে। কৃষ্ণনগরের এজেন্টরা নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী পেয়ে যাচ্ছেন নোট। দেবু ও তার তালিকা ভুক্ত ঠিকাদাররা দুই হাত ভরে পেয়ে যাচ্ছেন কাজ। মাঝখান থেকে গোটা প্রক্রিয়াকে জিইয়ে রাখতে এজেন্ট হয়ে কাজ করছে চন্দন ও তার সাঙ্গোপঙ্গোরা। চন্দনের বর্তমান লোকজন সবাই দেবুর এজেন্ট।এরা প্রত্যেকের শরীরেই বইছে বামেদের রক্তবীজ( প্রতিবেদনের সঙ্গে সেটে দেওয়া ছবির লাল বৃত্তের মধ্যে থাকা লোকজন)।বক্তব্য, স্থানীয় বিজেপির কর্মীদের।

আরো খবর পড়ুন
প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলেই মার্কেটিংয়ের মূল এজেন্টদের খালাস করতেই দ্বিধাবোধ করে না চক্রের প্রাণ ভোমরারা।
সিপিডব্লিউডি’র নিগোসিয়েশনের অন্দর মহলের তথ্য বলছে,প্রতিটি কাজ থেকে দেবু ও তার ঠিকাদাররা ৬ শতাংশ টাকা ছিটিয়ে দিচ্ছে।তার মধ্যে তিন শতাংশ যাচ্ছে কৃষ্ণনগরে এজেন্টদের কাছে। বাদবাকি তিন শতাংশের মধ্যে স্থানীয় ক্লাবকে ঢাল করে দুই শতাংশ নিয়ে যাচ্ছে চন্দনরা। আর এক শতাংশ যাচ্ছে স্থানীয় মন্ডল নেতৃত্বের পকেটে। অর্থাৎ সব কয়টি চেইন টাকার মূহে আচ্ছন্ন। তাই প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলেই মার্কেটিংয়ের মূল এজেন্টদের খালাস করতেই দ্বিধাবোধ করে না চক্রের প্রাণ ভোমরারা। তার উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত দূর্গা প্রসন্ন ওরফে ভিকি।এবং রাজু বর্মন। ভিকিকে সরিয়ে দেওয়া হলো পৃথিবী থেকে। আর রাজুকে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো জেলের পিঞ্জুরার মধ্যে।ব্যাস, এখন ময়দান খালি। প্রয়োজন বোধে “পিন কিং”রা সরিয়ে দিতে পারে বর্তমান বিশ্বস্ত এজেন্টদেরও।