ডেস্ক রিপোর্টার,২৪ মার্চ।।

                        যৌন বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না শাসক দল বিজেপিকে। বিজেপির বিধায়ক থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের নেতারা আটকে যাচ্ছেন নারী সংক্রান্ত ঘটনায়। এবার যৌন বিতর্কের মাধ্যমে প্রচারের আলোতে চলে এলো বক্সনগরের বিজেপি বিধায়ক তফাজল হোসেনের ঘনিষ্ঠ রবিউল ইসলাম। সে স্থানীয়

কলসীমুড়া গ্রামের  শাসক দলের তাবড় নেতা।রবিবার রাতে স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে ফষ্টিনষ্টির সময় রবিউল ইসলামকে আটক করে।এবং দেয় উত্তম – মাধ্যম।রাতেই এই ঘটনা কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। গ্রামবাসীরা নেতা রবিউল ইসলামের উপর চড়াও হয়। মুহূর্তেই পরিস্থিতি হয়ে উঠে ভয়ঙ্কর। শেষ পর্যন্ত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কলমচৌড়া থানার পুলিশ।এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

   স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য, কলসীমুড়া গ্রামের বিজেপি নেতা রবিউল ইসলাম। সে নিজেকে বিধায়ক তফাজ্জল হোসেনের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচয় দিয়ে থাকে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় নানান তোলাবাজির অভিযোগও রয়েছে। সম্প্রতি স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে রবিউলের সম্পর্ক হয়। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে প্রায় রাতেই রবিউল পৌঁছে যেতো মহিলার বাড়িতে।কিছুদিন ধরে বিষয়টি নজর রাখছিল গ্রামের লোকজন। শেষ পর্যন্ত রবিবার রাতে রবিউল মহিলার বাড়িতে আসার পর তাকে আটক করে গ্রামবাসীরা। এটা থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত।

         সাম্প্রতিক কালে বিজেপির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের বিরুদ্ধে যৌন কেলেংকারীর অভিযোগ উঠছে।২০২৩ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর বিধানসভায় বসে মোবাইলে পর্নো ভিডিও দেখছিলেন খোদ যুবরাজ নগরের বিধায়ক যাদব নাথ। তবে যাদব একসময় ছিলেন বাম নেতা। রাজ্যের কমিউনিস্ট নেতাদের কথায়, বাম শিবিরে থাকাকালীনও যাদব নাথের বিরুদ্ধে মহিলার সঙ্গে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল।এরপর তাকে দল থেকে বহিস্কার করে দিয়েছিল যাদব নাথকে। পরবর্তীতে যাদব বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।

      সম্প্রতি তেলিয়ামুড়ার মাইগঙ্গার  মহিলা পঞ্চায়েতের প্রধানের যৌন সম্পর্কের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছিলো। তার আগে আগরতলা পুর নিগমের মহিলা কর্পোরেটরের যৌন মিলনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছয়লাপ হয়ে গিয়েছিলো। উদয়পুরের বিজেপির যুব নেতার যৌন সম্পর্কের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিলো।ইদানিং সালেমা ব্লকের মহিলা চেয়ারম্যান নগ্ন ভিডিও চলে আসে জন সন্মুখে।এখন সর্বশেষ সংযোজন বক্সনগর বিধানসভার কলসীমুড়া গ্রামের ঘটনা।

                এই সমস্ত ঘটনার সঙ্গে অবশ্যই কোনো রাজনৈতিক বিষয় থাকে না। প্রত্যেকেই নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ কায়েম করতেই যৌন সংক্রান্ত ঘটনায় জড়িয়ে যাচ্ছে। তার জন্য রাজনৈতিক দল বা শীর্ষ নেতাদের দায়ী করা যায় না। তবে নেতাদের নামে এই যৌন কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত বিষয়গুলি সামনে এলে তাদের বিরুদ্ধে দলের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

#Tripura #Politics #Bjp #Boxanagar# JM

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *