এসডিপিও সুব্রত বর্মন এখন মাদক মাফিয়া মান্তনু সাহা – সায়ন্তন দাস ও সৈকত দাসকে বাঁচাতে আদা জল খেয়ে মাঠে নেমেছেন!

পুলিশের একাংশের দাবি খয়েরপুর অঞ্চলের যুবকরা নেশা বিরোধী অভিযানের নামে মাদকের চালান হাইজ্যাক করে বাইপাস সড়ক থেকে। মান্তুনু সাহার ফেনসিডিলও একই কায়দায় হাইজ্যাক করেছিল স্থানীয় যুবকরা। ব্যস, তাহলে খয়েরপুর অঞ্চলের যুবকদের বিরুদ্ধে পুলিশ রুষ্ট হলেও মান্তুনু ও তার দুই শ্যালক সায়ন্তন – সৈকতকের বিরুদ্ধে এতো নমনীয় কেন?
ডেস্ক রিপোর্টার, ৪ মে।।
মাদক মাফিয়াদের দমাতে মুখ্যমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতিকে মলিন কলাপাতা মনে করেই কাজ করছে পুলিশ। তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত খোদ এনসিসি’র এসডিপিও সুব্রত বর্মন। অভিযোগ খোদ রাজধানী পুলিশের অলিন্দে। আর তাতেই এসডিপিও’ র প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে পুলিশ কর্মীদেরই। তার থেকেই প্রমাণিত মাদক কারবারের সঙ্গে কিভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে পুলিশ কর্মীরা।
অভিযোগের ফর্দ অনুযায়ী, এসডিপিও সুব্রত বর্মন এখন মাদক মাফিয়া মান্তনু সাহা – সায়ন্তন দাস ও সৈকত দাসকে বাঁচাতে আদা জল খেয়ে মাঠে নেমেছেন!বিনিময়ে অবশ্যই পেয়েছেন মোটা অঙ্কের কাঞ্চনমূল্য! নয়,তো এসডিপিও কেন নেশা বিরোধী অভিযানে যুক্ত লোকজনকে হয়রানি করছেন? তাহলে তিনি কার হয়ে কাজ করছেন? এটা জলের মতো স্পস্ট। মান্তুনু, সায়ন্তন ও সৈকতকে বাঁচাতে এসডিপিও খয়েরপুরের চার যুবকের মোবাইলে মোবাইলে আড়ি পেতেছেন। অন্তত এমন খবর ভেসে আসছে খোদ বোধজং নগর থানা ও পুরাতন আগরতলার পুলিশ ফাঁড়ি থেকে। এসডিপিও’ র বিরুদ্ধে তাঁর অধস্তন কর্মীরা এই সংক্রান্ত অভিযোগ করাতে গোটা ঘটনার গুরুত্ব আরো কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে।

মাদক সিন্ডিকেটের চাইরা জানিয়েছে, পুলিশ ফেনসিডিল বোঝাই গাড়ি পাঠিয়ে দেয় মাফিয়া মান্তুনু – সায়ন্তন – সৈকতদের ডেরায়।
সম্প্রতি পুরাতন আগরতলা পুলিশ ফাঁড়ি লাগোয়া বাইপাস সড়কে নেশা বিরোধী আন্দোলনে জড়িত থাকা কয়েকজন যুবক মাদক সম্রাট মান্তুনু’র ফেনসিডিল বোঝাই বোরেলো পিকআপ গাড়ি আটকে দিয়েছিল। পরে তারা গাড়িটি সপে দিয়েছিল পুরাতন আগরতলা পুলিশ ফাঁড়িতে। কিন্তু অভিযোগ, গাড়িটি পরে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় খোদ বোধজং নগর থানার ওসি। তার পেছনে ছিলো এসডিপিও বিশ্বস্ত হাত। বলছে মাদক সিন্ডিকেটের চাইরা। পুলিশ ফেনসিডিল বোঝাই গাড়ি পাঠিয়ে দেয় মাদক মাফিয়া মান্তুনু – সায়ন্তন – সৈকতদের ডেরায়।
পোষা গুন্ডারা নেশা বিরোধী অভিযানে জড়িত থাকা গাড়ির চালক তাপস দেবকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এই সময়ের মধ্যেই মান্তুনু – সায়ন্তন – সৈকতদের পোষা গুন্ডারা নেশা বিরোধী অভিযানে জড়িত থাকা গাড়ির চালক তাপস দেবকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহরণ কাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছিল সায়ন্তন দাসের কালো রঙের থা’র গাড়ি। খবর অনুযায়ী, তাপস দেবকে থার গড়তে করে নিয়ে যায় বাংলাদেশ সীমান্তে। পরিস্থিতির ভয়াবহতার আঁচ করে একদিন পর মান্তুনু – সায়ন্তনরা গাড়ির চালক তাপসকে ছেড়ে দেয়। মাদক মাফিয়াদের ভয়ে মুখ খুলছে না অপহৃত চালক তাপস। ঘটনার পর পর মান্তুনু -সায়ন্তন – সৈকতরা কলকাতায় গা ঢাকা দেয়। কিন্তু পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরং পুরো ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মাঠে নামে পুলিশ।

তিন মাদক মাফিয়া মান্তনু, সায়ন্তন – সৈকতকে আগলে রেখে কয়েকজন নিরীহ যুবককে হয়রানি করছে।
নেশা বিরোধী অভিযানে জড়িত খয়েরপুর অঞ্চলের মানুষের বক্তব্য, তিন মাদক মাফিয়া মান্তনু, সায়ন্তন – সৈকতকে আগলে রেখে কয়েকজন নিরীহ যুবককে হয়রানি করছে। এই সমস্ত যুবকদের মোবাইলে আড়ি পেতেছে পুলিশ। তবে সবটাই নাকি হয়েছে খোদ এনসিসির এসডিপিও সুব্রত বর্মনের নির্দেশে। অবশ্যই পুলিশের গোটা নেটওয়ার্ককে জড়িয়ে রয়েছেন পদস্থ পুলিশ কর্তারাও। তিন মাদক মাফিয়া ও পুলিশের এই রসায়নের নেপথ্য রয়েছে মোটা অঙ্কের মাসোয়ারা। পুলিশকে টাকার মোটা বান্ডিল দিয়েই মান্তুনু – সায়ন্তনরা নির্ভয়ে গাঁজা ফেনসিডিল ও ব্রাউন সুগারের ব্যবসা করে থাকে। তাই মাদক মাফিয়া ভগ্নিপতি ও শ্যালকদের আগলে রেখে প্রতিবাদী যুবকদের উপর স্টিমরোল চালিয়ে দিয়েছে।খয়েরপুর অঞ্চলের মানুষের বক্তব্য, গোটা ঘটনার প্রেক্ষিতে তারা বিষয়টি জানাবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহাকে। এসডিপিও সহ বোধজং নগর থানার ওসি বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করবে।

পুলিশের একাংশের দাবি খয়েরপুর অঞ্চলের যুবকরা নেশা বিরোধী অভিযানের নামে মাদকের চালান হাইজ্যাক করে বাইপাস সড়ক থেকে। মান্তুনু সাহার ফেনসিডিলও একই কায়দায় হাইজ্যাক করেছিল স্থানীয় যুবকরা। ব্যস, তাহলে খয়েরপুর অঞ্চলের যুবকদের বিরুদ্ধে পুলিশ রুষ্ট হলেও মান্তুনু ও তার দুই শ্যালক সায়ন্তন – সৈকতকের বিরুদ্ধে এতো নমনীয় কেন?
স্ত্রী নির্যাতনকারী সায়ন্তনের চরিত্র কেমন? কোথায় কোথায় ডু দেয় নিয়মিত?
মাদক কারবারী সায়ন্তনের উপস্থিতিতে কবে কোথায় ফেনসিডিল আনলোড করা হয়? স্ত্রী নির্যাতনকারী সায়ন্তনের চরিত্র কেমন? কোথায় কোথায় ডু দেয় নিয়মিত? জিএসটির টেক্স কিভাবে ফাঁকি দিচ্ছে? সৈকত কিভাবে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বিজেপির সঙ্গে করছে প্রতারণা? সমস্ত উপাখ্যান তুলে ধরা হবে পরবর্তী প্রতিবেদনে।
#Tripura #Drugs # Business# Police #JM