সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের পূর্ব ডলুছড়া, জয়ন্তী বাজার সহ আশপাশ এলাকায় শাসক দলীয় দুষ্কৃতীরা আস্ফালন শুরু করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেছে বেছে বাম কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে শুরু করেছে হামলা। শুধু তাই নয়, প্রতিবাদী বিজেপির কর্মী – সমর্থকদেরও ছাড় দিচ্ছে না দুষ্কৃতীরা। রাতের আঁধারে সংঘবদ্ধভাবে দুষ্কৃতীরা শুরু করে হামলা।
হঠাৎ করেই রাজ্যে মাথাচারা দিচ্ছে রাজনৈতিক সন্ত্রাস। অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরে রাজনৈতিক সন্ত্রাসে তপ্ত ধলাই জেলার সুরমা বিধানসভা কেন্দ্র। দুষ্কৃতীরা ধারাবাহিকভাবে স্বদলীয় (বিজেপি ) ও বিরোধী বাম কর্মী – সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা শুরু করেছে। থানায় দায়ের হচ্ছে মামলা। তারপরও দুষ্কৃতীদের লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না।কারণ তাদের গ্রেফতার করার কোনো ক্ষমতা নেই স্থানীয় থানা – পুলিশের।
শুধু তাই নয়, প্রতিবাদী বিজেপির কর্মী – সমর্থকদেরও ছাড় দিচ্ছে না দুষ্কৃতীরা।
খবর অনুযায়ী, সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের পূর্ব ডলুছড়া, জয়ন্তী বাজার সহ আশপাশ এলাকায় শাসক দলীয় দুষ্কৃতীরা আস্ফালন শুরু করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেছে বেছে বাম কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে শুরু করেছে হামলা। শুধু তাই নয়, প্রতিবাদী বিজেপির কর্মী – সমর্থকদেরও ছাড় দিচ্ছে না দুষ্কৃতীরা। রাতের আঁধারে সংঘবদ্ধভাবে দুষ্কৃতীরা শুরু করে হামলা। তাতে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে বিরাজ করছে আতঙ্কের পরিবেশ।
রাজ্যে রাজনৈতিক পদ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপির কর্মীদের হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল শৈলেশ দেবনাথকে।
গ্রামবাসীদের বক্তব্য, রবিবার রাতে পূর্ব ডলুছড়ার বাসিন্দা তথা বাম সমর্থক শৈলেশ দেবনাথের বাড়িতে হামলা করে দুষ্কৃতীরা। তার বাড়ি ঘরে নির্বিচারে ভাঙচুর করে। শৈলেশ দেবনাথ সহ তার পরিবারের লোকজনকে মারধর করে। তবে এটা নতুন নয়, রাজ্যে রাজনৈতিক পদ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই বিজেপির কর্মীদের হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল শৈলেশ দেবনাথকে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল তার বাড়ি ঘর। তবে এখনো এই ধারা অব্যাহত। গ্রামের বিজেপির কর্মীদের বাড়িঘরে শুরু করেছে হামলা।
।প্রতীকী ছবি।
গত কয়েকদিনে দুষ্কৃতীরা বিরোধী ও স্বদলীয় ২০ থেকে ২৫টি বাড়িতে হামলা করেছে।
স্থানীয় বিজেপির কর্মীদের বক্তব্য, বিজেপি নামধারী দুষ্কৃতীদের এই তান্ডব কোনভাবেই মেনে নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের নিষ্ঠাবান বিজেপির কর্মী- সমর্থকরা। তারা প্রতিবাদ করলেই তেলে বেগুনের মত জ্বলে উঠে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে স্বদলীয় কর্মী সমর্থকদেরও ছাড় দেয়নি অসৃঙ্খল রাম ভক্তরা। বিজেপির কর্মীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকদিনে দুষ্কৃতীরা বিরোধী ও স্বদলীয় ২০ থেকে ২৫টি বাড়িতে হামলা করেছে। অথচ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয় নি।
এই দুষ্কৃতীরাই বিধায়িকার সিন্ডিকেট পরিচালনা করে।
স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য, এরা প্রত্যেকেই স্থানীয় বিধায়িকার স্বপ্না দাস পালের লোকজন। এই দুষ্কৃতীরাই বিধায়িকার সিন্ডিকেট পরিচালনা করে। স্বাভাবিক ভাবেই বিধায়িকার ছত্রছায়ায় থাকা দুষ্কৃতীদের পুলিশ কেশাঘ্রও স্পর্শ করতে পারছে না। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে সুরমা কেন্দ্রে পূর্ব – পশ্চিম ডলুছড়া ও জয়ন্তী বাজার এলাকায় বিজেপি নামধারী গুন্ডাবাহিনী প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে সন্ত্রাসের নগ্নরূপ।