ডেস্ক রিপোর্টার,২রা ফেব্রুয়ারি।।
ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রাজ্য রাজনীতিতে ফের সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। গোটা রাজ্যে করবে কর্মসূচি। তার জন্য বৃহস্পতিবার প্রদেশ কমিটি সহ জেলা ও ব্লক স্তরের কমিটি ঘোষণা দেবে তৃণমূল।একই সঙ্গে রাজধানীতে তৃণমূল কংগ্রেস উদ্বোধন করবে স্থায়ী দলীয় কার্যালয়। খবর তৃণমূল সূত্রের।
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাজ্যে এসে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারিতেই প্রদেশ কমিটির ঘোষণা সহ দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করা হবে। সেই অনুযায়ী, প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস তাদের স্থায়ী বাড়ি খোঁজে পেয়েছে বলে দাবি নেতৃত্বের।রাজধানীর রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের কোনো এক জায়গাতে তৃণমূল কংগ্রেস তাদের স্থায়ী তৈরি করবে।এই মুহূর্তে নিরাপত্তার কারণে দলীয় কার্যালয়ের নির্দিষ্ট জায়গাটির নাম গোপন রাখছে দলীয় নেতৃত্ব।তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকার বিনিময়ে রামনগর অঞ্চলে একটি বাড়ি ক্রয় করা হয়েছে।এখন বাড়িটি সাজানোর কাজ চলছে।পুরোপুরি ভাবে বাড়িটি সাজাতে আরো কিছুটা দিন সময় লাগবে।তারপর দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দলের সদর কার্যালয় উদ্বোধন করা হবে। ইতিমধ্যে বাড়িতে মালিককে টাকা পেমেন্ট করে দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গ নেতৃত্বের দাবি, গোয়ার নির্বাচনের পর সর্ব শক্তি নিয়ে ঝাঁপাবে তৃণমূল।তার আগে অবশ্যই প্রদেশ কমিটির নাম ঘোষণা করা হবে।দলের সভাপতির দায়িত্বে থাকবেন সুবল ভৌমিকই। একই সঙ্গে ঘোষণা করা হবে যুব তৃণমূলের প্রদেশ কমিটিও। এই পদের দৌড়ে রয়েছেন বেশ কয়েকজন। এই দুইটি কমিটি গঠনের পর ঘোষণা দেওয়া হবে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি।তারপর ধারাবাহিক ভাবে একে একে জেলা ও ব্লক কমিটির ঘোষণা দেওয়া হবে। কমিটি গঠন নিয়ে চূড়ান্ত কাজ শুরু করে দিয়েছেন বঙ্গ নেতৃত্ব।সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কৌশিলী সংস্থা আই-প্যাক।
নেতৃত্বের দাবি, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই সবকয়টি কমিটির ঘোষণা দেওয়া হবে।তারা আর সময় নষ্ট করতে নারাজ।তারপর গোটা রাজ্যে একসঙ্গে শুরু করবে কর্মসূচি।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি গঠন করবে ঠিকই, কিন্তু রাজ্য রাজনীতিতে তাদের জনপ্রিয়তা আগের মত নেই।পুর ও নগর ভোটে ২৩শতাংশ ভোট পাওয়ার পর যে গতিতে কাজ শুরু করার কথা ছিলো তা হয় নি।তাছাড়া দলের মধ্যে রয়েছে উপযুক্ত নেতৃত্বের অভাব। গোয়ার ভোটের রেজাল্টের উপরও অনেকটা নির্ভর করবে।গোয়াতে ভালো রেজাল্ট করলে ত্রিপুরাতে তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।কিন্তু খারাপ রেজাল্ট হলে পড়বে বিরূপ প্রভাব।এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য রাজনীতিতে কতটা ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারবে তা বলবে সময়েই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *