ডেস্ক রিপোর্টার,২৬এপ্রিল।।
বিগত দিনের ন্যায় এক দলীয় পরিচালনাধীন সরকারের বদলে বর্তমানে রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত জনতার সরকার দ্বারা অন্তিম ব্যক্তির পর্যন্ত সমস্ত অধিকার সুনিশ্চিত হয়েছে । পূর্বের রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক সংকীর্ণ ভাবনা মুক্ত হয়ে, মোদীর আন্তরিক দৃষ্টি ও রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, উন্নত সড়ক, সমস্ত অংশের মানুষের আর্থ সামাজিক জীবনমানের সার্বিক কল্যাণে গতি সঞ্চারিত হয়েছে ।বক্তা মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। মঙ্গলবার ছাওমনুতে আয়োজিত জন আশীর্বাদ যাত্রা শীর্ষক জনসভায় একথা বলেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রেগার শ্রমদিবসে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি মহিলা সহ প্রত্যেকের আত্ম সম্মান সুনিশ্চিত হয়েছে l সময় এসেছে, বর্তমান উন্নয়ন ধারার সাথে তুলনা টেনে বিভ্রান্তকারীদের সামনে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া। বিগত দিনে তারা রাজ্যের কল্যাণে কি করেছেন? প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর।সমগ্র দেশের সাথে ত্রিপুরাতেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে চলছে বিকাশের অভূতপূর্ব কর্মযজ্ঞ। আর এই কর্মযজ্ঞ দেখে অনুপ্রানিত হয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থকরা তাদের দল ত্যাগ করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে সামিল হচ্ছেন। দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।মঙ্গলবার ছাওমনুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বহু ভোটার বিজেপিতে যোগদান করেন। নবাগতদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন,ছাওমনুতে আয়োজিত জন আশীর্বাদ রেলীতে হাজারো সংখ্যায় জনজাতি অংশের মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে যে তাদের পূর্ণ ভরসা ও সমর্থন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি রয়েছে। আমাদের সরকার সবকা সাথ, সবকা বিকাশ -এর নীতি নিয়ে কাজ করে সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে।

এদিন ছামনুতে হেলিপ্যাডে নামার পর মাঠের চারপাশে ও রাস্তার দুধারে উপস্থিত অসংখ্য জনতাকে দেখে থমকে যান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি গাড়ি রেখে পায়ে হেঁটেই সভাস্থলে যান। সেখানে যাওয়ার সময় রাস্তার দুধারে জনতার অফুরান ভালোবাসা পান তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে বলেছেন, “সাধারনের মধ্যে মিশে থাকাতেই পরম প্রাপ্তি । আমার উপস্থিতি সম্পর্কে অপ্রস্তুত, এই প্রাইওরিটি কার্ড হোল্ডার বোন ইন্দ্রা বড়ুয়া। তাঁর ঘরে মধ্যাহ্ন আহার গ্রহণের আবেদনের প্রতি সম্মাননা স্বরূপ, নিজের হাতেই তাঁর প্রস্তুত করা খাবার গ্রহণ করি ।তাঁর পরিবারের অকৃত্রিম আতিথেয়তায় আমি আপ্লুত ।মঙ্গলবার ছাওমনুতে নির্ধারিত কর্মসূচির মাঝেই, জন কল্যাণে গৃহীত পরিষেবার বাস্তবিক রূপায়ন সম্পর্কে সম্যক অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে আচমকাই ইন্দ্রা বড়ুয়ার বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলাম।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *