ডেস্ক রিপোর্টার,১২মে।।
রাজ্যে মাথাচাড়া দিচ্ছে আম আদমি পার্টি। কিন্তু শুরুতেই আপের নেতা শক্তি দেবকে নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে খোদ দলের অন্দরে। আপের পুরানো নেতাদের দূরে সরিয়ে শক্তি দেকে কেন এগিয়ে দিচ্ছে দলের একাংশ? তা নিয়ে খোদ প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য আপের পুরানো নেতা-কর্মীরা।
আপের স্ব-ঘোষিত নেতা শক্তি দে পশ্চিম বঙ্গের বাসিন্দা। সে নিজে ফার্টিলাইজার কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টিটিভ। বেশ কিছুদিন ধরেই শক্তি ত্রিপুরাতে অবস্থান করছেন। সেই সুবাদে কিছু লোকজন সংগ্রহ করেছে।এবং শুরু করেছে কাজ। বুধবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে আপের দুই কেন্দ্রীয় নেতারা সামনে আলোচনা সভায় শক্তিকে ভাপাচ্যাপ খেতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী সভায় প্রত্যেকেই নিজেদের পরিচয় দেন।পরিচয় পর্বের সময় নাম, ঠিকানা, জেলা সবই বলেন।কিন্তু শক্তি দেব তার নাম বলেই আটকে যায়। সে ,যে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা তাও গোপন রাখে। তখন সভায় উপস্থিত অপর এক কর্মী শক্তির কাছে তার পরিচয় জানতে চান।তখন অবশ্যই শক্তির লোকজন এই যুবককে বসিয়ে দেয়।
আম আদমি পার্টি সূত্রের খবর, পশ্চিম বঙ্গের বাসিন্দা শক্তি দে আপের পুরানো কর্মীদের ব্রাত্য করে সমাজের কিছু নেশা কারবারী, সার পাচারকারীদের সঙ্গে নিয়ে একটি টিম করে নিয়েছে।তাদেরকে নিয়েই বাড়ি বাড়ি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আদর্শের বুলি আওড়াতে শুরু করেছেন শক্তি দে।শক্তি দে’র এই সংক্রান্ত কার্যকলাপ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল দলের পুরানো কর্মীরা।তারা শক্তি দের বিরুদ্ধে নালিশও জানিয়েছেন দিল্লিতে।
ত্রিপুরা আপের অন্দর মহলের খবর, শক্তি দে দলের উত্তর-পূর্বের ইনচার্জ রাজেশ শর্মাকে ম্যানেজ করেই দলের মধ্যে বিভাজন তৈরি করেছে। এবং নিজের হাতে ক্ষমতা রাখার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছেন। রাজ্যে আপের মূল নেতা ছিলেন প্রয়াত চিকিৎসক সলিল সাহা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সেনাবাহিনীর প্রাক্তন মেজর ব্রজলাল দেবনাথ, প্রাক্তন বিএসএফ কর্মীরা অশোক দেব, চিকিৎসক দিলীপ দাস(বর্তমান বিজেপি’র বিধায়ক) সহ সমাজের নানান স্তরের প্রথম সারির লোকজন। কিন্তু সলিল সাহার মৃত্যুর পর রাজ্যে থমকে যায় আপের সংগঠন।তবে ব্রজলাল দেবনাথ, অশোক দেবরা অফিস তৈরি করে তৃণমূল স্তরে আপের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
বছর খানেক আগেই কর্মসূত্রে রাজ্যে আসে পশ্চিম বঙ্গের যুবক শক্তি দে। অশোক দেবের হাত ধরেই শক্তি আপের সভ্য পদ গ্রহণ করেছিলেন। এবং যান দিল্লীতেও। তখন থেকেই আপের শক্তির হাতে খড়ি। আজকে এই শক্তিই নাকি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আদর্শকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে রাজ্যে।গুঞ্জন আপের অন্দরে।আপের পুরানো কর্মীরা সবাই একজোটে বসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে দলের পুরানো নেতাদের ডায়াসেও জায়গা দেয় নি শক্তি দে ও বে-আইনি ব্যবসার(!) সঙ্গে জড়িত তার অনুগামীরা।
এদিন আগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা রাজেশ শর্মা ও মনিশ কৌশিকের উপস্থিতিতে হয় কর্মী সভা। এই সভা থেকে সদস্য পদ অভিযানের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় আপ।তার জন্য প্রতিটি জেলাতে দায়িত্ব দেওয়া হয়।তার মধ্যে বঙ্গের রহস্য জনক যুবক শক্তি দেকে গোটা পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়।তানিয়েও দলের পুরানো কর্মীরা উষ্মা প্রকাশ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *