
ডেস্ক রিপোর্টার,১২মে।।
তিপ্রামথার সুপ্রিমো প্রদ্যুত কিশোর ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন,”তিনি রাজ্যের অ-ত্রিপুরী যুবাদের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন।” প্রদ্যুতের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হয়ে উঠেছে তিপ্রামথার সোশ্যাল মিডিয়া। প্রদ্যুত কিশোরের ছবি দিয়ে এই সংক্রান্ত স্টিকার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু করেছে মথার কর্মীরা।
রাজনীতিকদের ব্যাখ্যা, আটঘাট বেঁধেই প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মন এই উদ্যোগ নিয়েছেন।এই কারণেই তিনি দিয়েছেন আগাম ঘোষণা। তাহলে কি প্রদ্যুত বাঙালী ভোটে থাবা দিচ্ছেন? যদি তাই হয়,তাহলে বিজেপি,সিপিআইএম,কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ভোটের ভাড়ারেই কম বেশি আঘাত লাগার সম্ভাবনা থাকবে। তিপ্রামথার এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, “মহারাজার পাখির চোখ এখন বাঙালী ভোটে।” বড় অংশের বাঙালী নেতা, কর্মী সহ সাধারণ ভোটাররা যোগ দেবে তিপ্রামথাতে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিপ্রামথার এই নেতার বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ নেতাদের(বাঙালী) বড় অংশ যোগ দেবে তিপ্রামথাতে। প্রদ্যুতের সঙ্গে হাত মেলাতে পারেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্র লাল সিংয়ের ছেলে আশীষ লাল সিং। মূলত আশীষের হাত ধরেই তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠি গা ভাসাবে তিপ্রামথায়। ইতিমধ্যে নাকি প্রদ্যুত-আশীষের মধ্যে এই সংক্রান্ত আলোচনাও হয়েছে। তবে আশীষ লালের হাতে থাকা সংগঠন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল প্রদ্যুত কিশোরও।

তিপ্রামথার নেতৃত্বের দাবি, শুধু তৃণমূল নয়,অন্যান্য রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী মানুষও তিপ্রামথাতে যোগ দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। তাদের সিংহ-ভাগ বাঙালী।এই কারণে মহারাজা প্রদ্যুত কিশোর বাঙালী যুবকদের সঙ্গে মত বিনিময় করে সমস্ত “ভুল ব্যাখ্যার” উত্তর দিয়ে দেবেন। বাঙালী যুবাদের বুঝানোর চেষ্টা করবেন তিপ্রামথা বাঙালীদের অধিকার ছিনিয়ে নেবে না। প্রদ্যুত কিশোর শুক্রবার যাবেন দেশের বাইরে। সেখান থেকে ফিরে এসেই তিনি বাঙালী যুবাদের সঙ্গে মত বিনিময় সভার আয়োজন করবেন।
মথার শিবিরের সাফাই, প্রদ্যুত কিশোর কখনো বাঙালী বিদ্বেষী নন,নানান সময়ে তাঁর বক্তব্যের অপ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। প্রদ্যুত কিশোরের দাদু মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মানিক্য এই রাজ্যে বাঙালীদের জায়গা দিয়েছিলেন। বাঙালী সমাজে তাঁর বাবা কিরিট বিক্রমেরও বেশ জনপ্রিয়তা ছিলো। সব মিলিয়ে প্রদ্যুত কিশোর ২৩-র মহারণে জয়ের জন্য বাঙালী ভোট ব্যাংকেও যে নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছেন,তা বলাই বাহুল্য।