
ডেস্ক রিপোর্টার,১লা জুলাই।।
সদ্য সমাপ্ত উপভোটে জঘন্য পারফরম্যান্স করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। উপভোটে ঘাসফুল শিবিরের এই ফলাফলের পর দলের প্রথম সারির নেতারা ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন শিবির ত্যাগের জন্য।আগামী কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যজুড়ে ধ্বস নেমে আসবে তৃণমূল কংগ্রেসে। এমনই খবর প্রদেশ তৃণমূলের অন্দর মহলে।
উপনির্বাচনে রাজ্যের চার কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের ফ্লপ শো প্রমাণ করে দিয়েছে, আগামী দিনে ঘাসফুলের ভবিষ্যৎ কি হবে রাজ্য রাজনীতিতে? দলের একাংশ নেতা তৃণমূল কংগ্রেসের ভাগ্য আকাশে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। এই কারণেই তারা এখন ঘাসফুলের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। তারা বুঝতে পেরেছেন ঘাসফুলকে আকড়ে ধরে তাদের রাজনৈতিক জীবন দীর্ঘায়িত করা যাবে না। স্বাভাবিক ভাবেই প্রদেশ তৃণমূলের সৈনিকদের একাংশ বিকল্প চিন্তা ভাবনা করতে শুরু করেছে।
প্রদেশ তৃণমূলের গর্ভ গৃহের খবর বলছে, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে ঘাসফুলে। খুব শীঘ্রই প্রদেশ তৃণমূলে সাধারণ সম্পাদক বাপটু চক্রবর্তী যোগ দেবেন কংগ্রেসে। ইতিমধ্যেই প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বাপটু চক্রবর্তীর নাকি প্রাথমিক আলোচনাও হয়েছে। অর্থাৎ বাপটু ফের ফিরে যেতে চাইছেন নিজ ঘরে। রাজ্যে আচমকা যখন তৃণমূল কংগ্রেস মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল তখন বাপটু চক্রবর্তী কংগ্রেসকে আলবিদা জানিয়ে গিয়েছিলেন ঘাসফুলের ঘরে। আশা ছিল ঘাসফুলকে কেন্দ্র করে তৈরি করবেন নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ।

পুর ভোটে বাপ্টু চক্রবর্তী আগরতলা পুর নিগম থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করেছিলেন। কিন্তু তিনি সুবিধা করতে পারেননি। তার জন্য অবশ্যই শাসক শিবিরের সন্ত্রাসও অনেকাংশে দায়ী। উপভোটে বাপ্টু চক্রবর্তী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের সমর্থনে জোর প্রচার করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের ব্যর্থতায় ভেঙে পড়েন তিনি। বাপ্টু সহ দলের একাংশ নেতা বিলক্ষণ বুঝতে পেরেছেন তৃণমূল কংগ্রেস দিয়ে এই রাজ্যে তাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার তৈরি করা সম্ভব হবে না। তৃণমূল কংগ্রেস আর খুব বেশি দূর অগ্রসর হতে পারবে না।এটা জলের মত পরিষ্কার। তাই বাপ্টু চক্রবর্তী সহ কয়েকজন তৃণমূল নেতা ইতিমধ্যেই পোস্ট অফিস চৌমুহনীতে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের প্রতিবাদে রাজধানীতে মৌন অবস্থানে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই কর্মসূচিতে দেখা যায়নি বাপটুকে। সুবল ভৌমিকের সঙ্গে ছিলেন তার ছায়ার সঙ্গী প্রকাশ দাস। কংগ্রেস সূত্রের দাবি, বাপ্টু চক্রবর্তী, প্রকাশ দাস খুব শীঘ্রই তাদের সীমিত অনুগামীদের নিয়ে যোগ দেবে কংগ্রেসে। কংগ্রেস তাদের বরণ করে নেবে।
এমনই খবর ঘুরপাক খাচ্ছে শহরের লাল বাহাদুর চৌমুহনী ও পোস্ট অফিস চৌমুহীতে।