ডেস্ক রিপোর্টার, ৭ফেব্রুয়ারি।।
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্র করে রাজনীতির বড় বিপ্লব ঘটে গেল রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে। দপ্তরের চিকিৎসক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী নগেন্দ্র জমাতিয়ার ছেলে কাহামুনক জমাতিয়ার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিলো। তার দল তিপ্রামথা। ।কিন্তু রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর তাকে এনওসি দেয় নি ।এই কারণে কাহামুনক জমাতিয়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন নি। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন খোদ চিকিৎসকের ঘনিষ্ঠ লোকজন।
খবর অনুযায়ী, কাহামুনক জামাতিয়া দীর্ঘ দিন ধরেই তিপ্রামাথার সঙ্গে জড়িত। মাথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনের সঙ্গেও তার সুসম্পর্ক রয়েছে। সেই সুবাদে ২৩ র বিধানসভা নির্বাচনে মথার টিকিট প্রত্যাশীদের মধ্যে ছিলেন কাহামুনক জামাতিয়া। তিপ্রামথার পক্ষ থেকে চিকিৎসক কাহামুনক জামাতিয়াকে টিকিট দেওয়া হবে বলে গ্রীন সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল।এরপর চিকিৎসক কাহামুনক স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছিলেন তাকে এনওসি দেওয়ার জন্য।তিনি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান বলেও দপ্তরকে জানিয়েছিলো। মূলত তার জন্যই প্রয়োজন নো অবজেকশন সার্টিফিকেট অর্থাৎ এনওসি। কিন্তু কোন এক রহস্যজনক কারণে ম্যাক্সিলোফেসিয়াল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কাহামুনক জমাতিয়াকে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে এনওসি দেওয়া হয়নি। তিনি এনওসি পাওয়ার জন্য দফতরের সমস্ত পদস্থ আধিকারিকদের কাছে দৌড়ঝাঁপ করেছেন। এমনকি রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কাছেও লিখিতভাবে তিনি এনওসির জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কোনো কাজ হয় নি।
চিকিৎসক কাহামুনক জমাতিয়ার ঘনিষ্ঠ লোকজনের বক্তব্য, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর কোনভাবেই তাকে এনওসি দিতে রাজি হয়নি এবং এনওসি না দেওয়ার কারণও তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। শেষ পর্যন্ত কাহামুনক জমাতিয়া দৌরঝাপ করেও নিরাশ হয়ে ফিরে আসেন। অর্থাৎ এই চিকিৎসকের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকেই যায়।
কাহামুনক জমাতিয়াকে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর এনওসি না দেওয়ার কারণে জনজাতি চিকিৎসকদের মধ্যেও একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। কেননা এই মুহূর্তে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক সরাসরি শাসকদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার মধ্যে তিপ্রামথার মত প্রতিদ্বন্দ্বীদের হাতে প্রার্থী হিসেবে চিকিৎসকরা থাকলে নিশ্চিতভাবে যে চাপে থাকবে শাসকদল বিজেপি এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই কারণেই কাহামুনক জামাতিয়াকে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর এনওসি দেয় নি,বলেই মনে করছে জনজাতি চিকিৎসকদের একাংশ।
