ডেস্ক রিপোর্টার,২৩ মার্চ।।
  রাজ্যের ধনী ক্রীড়া সংস্থা ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (টিসিএ)।টিসিএ’র মধুর ভান্ড নিয়ে ফের টানাটানি শুরু।মধুর ভান্ড দখল নিতেই দুই গোষ্ঠীর লড়াই বিদ্যমান। লড়াই – লড়াইয়ে এখন রসাতলে রাজ্য ক্রিকেট। দুর্নীতির অক্টোপাসে রাজ্যের ক্রিকেট অভিভাবক সংস্থা।
   টিসিএ’র শেষ নির্বাচনে লড়াইয়ে নেমে ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। দুই নেতা – নেত্রীর লড়াই ক্রিকেট মহলে ওপেন সিক্রেট।নির্বাচনে দুই গোষ্ঠীর তীব্র  লড়াইয়ের জল গড়িয়ে ছিলো অনেক দূর। মোট ১৬টি আসনে মধ্যে ভোটাভুটির পর ১৫টি আসন দখল করেছিলো প্রতিমা গোষ্ঠী।একটি আসন গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহার গোষ্ঠীর দখলে। সভাপতি ব্যতীত বাদবাকি সব কয়টি আসন দখল করেছিলো কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিকের লবি। শুধু মাত্র সভাপতি পদটি মুখ্যমন্ত্রীর লবি নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছিলো। এরপরও চিত্র পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল টিসিএর বর্তমান কমিটির কাজ কর্ম নিয়ে অচিরেই ঝামেলা শুরু হবে।কারণ সভাপতি তপন লোধের পক্ষে কাজ করা অসম্ভব হয়ে উঠবে। বাস্তবে তাই হচ্ছে। সভাপতি এখন কলা পাতা। টিসিএ’ র প্রতিমা গোষ্ঠীর সদস্যরা সঠিক ভাবে কাজ করতে দিচ্ছেন না সভাপতি তপন লোধকে।বকলমে একথা নিজেই জানিয়েছেন টিসিএর সভাপতি।


এবার ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সীমাহীন দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটারদের একাংশ।তারা বাধ্য হয়ে সভাপতি তপন লোধের কাছে ডেপুটেশন দিয়েছেন।ডেপুটেশনকারী দলের নেতৃত্বে ছিলেন,প্রাক্তন রঞ্জি ক্রিকেটার রাজেশ বণিক। রাজেশের অভিযোগ, টিসিএতে দুর্নীতি চলছে। মাঠে ভালো পারফরমেন্স করেও রাজ্য দলে চান্স পাচ্ছেন না অনেকে।তিনটি ক্লাব ছরি ঘুরাচ্ছে টি সি এ তে। অসুস্থ প্লেয়ারদের খেলিয়ে দিচ্ছে রাজ্য দলে।চলছে দেদার অর্থিক দুর্নীতি।


রাজেশ বণিকের অভিযোগ, মহিলা প্রিমিয়ার লিগে খেলা ১১০জন ক্রিকেটারদের কোনো পারিশ্রমিক দেয় নি টি সি এ। তাছাড়া ক্রিকেটের সঙ্গে যোগাযোগ নেই এমন মেয়েদেরও মাঠে নামিয়ে দিয়েছিলো।
প্রাক্তন রঞ্জি অধিনায়ক রাজেশ বণিকের কথায়, টিসিএ – গভর্নিং বডির বৈঠক ছাড়াই মহিলা প্রিমিয়ার লিগের দলগুলির মালিক ঠিক করা হয়েছে।এই লিগেও ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ। এমবিবি স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইট কেলেঙ্কারি নিয়েও সরব রাজেশ।
আক্ষরিক অর্থে রাজ্য ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থায় এখন বস্তু ঘুঘুর বাসা।যারা জীবনে কোনো দিন ক্রিকেট বল ধরে নি, তারাই এখন টি সি এ পরিচালনা করছেন। তারা মুলত রাজ্য ক্রিকেটার উন্নয়ন চায় নি।তারা চায় রাজ্য ক্রিকেটকে সামনে রেখে নিজেদের পকেট ভর্তি করতে। সুযোগ পেলে তারা ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের  বিল্ডিংও বিক্রি করে দিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলেই মনে করছে ক্রিকেট প্রেমীরা।কারণ এই সমস্ত লোকজন অন্তরে নেই কোনো ক্রিকেট প্রেম।শুধু ক্রিকেটকে হাতিয়ার করে অর্থ রোজগারই মূল উদ্দেশ্য। এই সমস্ত ধান্দাবাজদের দিয়ে ত্রিপুরার ক্রিকেটের কি উন্নয়ন হবে? জনমনে উকি দিচ্ছে এই প্রশ্ন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *