তিন দফা দাবির ভিত্তিতে এডিসি বনধের ডাক দিয়েছিলো আইপিএফটি।তবে আইপিএফটি’র ডাকা বনধ তেমন ফেলতে পারেনি।দুয়েকটি জায়গা ব্যতীত সব মহকুমাতে জনজীবন ছিল স্বাভাবিক। ব ন ধের এই চেহারা থেকে স্পস্ট পাহাড়ে জন ভীত হারাচ্ছে আইপিএফটি।সদ্য সমাপ্ত এডিসি নির্বাচনেও তারই ঝলক দেখা গিয়েছে।নির্বাচনের পর ফলাফল থেকেই তা স্পষ্ট।

করোনাকালে আইপিএফটি’র ডাকা এই বন ধ ভালো ভাবে নেয় নি বড় শরিক বিজেপি।কেননা, আইপিএফটি’র ডাকা বনধ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব,সরাসরি বলেছেন,বিজেপি বনধের সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না।তার আগে রাজ্যের অপর হেভিওয়েট মন্ত্রী রতন লাল নাথও প্রায় একই সুরে বলেছেন,বিজেপি বনধের পক্ষে নয়।বড় শরীকের দুই হেভিওয়েট মন্ত্রীর বক্তব্য থেকে স্পস্ট আইপিএফটি’র ডাকা বনধ তারা সামর্থন করেনি।এবং নেয়নি ভালো চোখে।
রাজনৈতিক বিশারদদের মতে,তাহলে কি এখন বিজেপি থেকে মোহ ভঙ্গ হচ্ছে বিজেপির? আসলে সদ্য সমাপ্ত এডিসি নির্বাচনে আইপিএফটি প্রত্যাশিত ফলাফল করতে না পারাতেই এখন বিজেপি ট্যাক্কাল শিবিরকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছে না। এই কারণেই এক সঙ্গে সংসার করলেও আইপিএফটি’র ডাকা বনধকে মান্যতা দিতে চাইছে না বিজেপি।কিন্তু ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে আগে আইপিএফটি যখন টানা ১৪দিন চম্পক নগরের সাধু টিলাতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল, তখন কিন্তু বিজেপি সমর্থন জানিয়েছিল। তাহলে এখন কেন সমর্থন করবে না বিজেপি?এই প্রশ্ন তুলেছে আইপিএফটি নেতৃত্ব।
আইপিএফটি’র থিঙ্ক ট্যাংক বলছে, এই মুহূর্তে সদ্য সমাপ্ত এডিসি নির্বাচনে দল খারাপ ফলাফল করেছে।তার মানে এই নয়,সব শেষ হয়ে গেছে। দল আবার ঘুরে দাঁড়াবে। দলের খারাপ সময়ে যদি বিজেপি নিজেদের দূরে সরিয়ে নেয়,তাহলে এটা কোনো ভাবেই কাম্য নয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপি বুঝে গেছে এই মুহূর্তে পাহাড় রাজনীতিতে তিপ্রামথাই শক্তিশালী।এই কারণে ঘুরিয়ে হলেও তিপ্রমথার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াচ্ছে বিজেপি।তাই বাধ্য বাধকতার জন্য সম্পর্ক রাখছে আইপিএফটি’র সঙ্গে।তবে এডিসি নির্বাচনের আগে আইপিএফটিও নানান কৌশলে বিজেপিকে চাপে রাখার চেষ্টা করেছিলো।শেষ পর্যন্ত আইপিএফটি’র কাছে নতি স্বীকার করে বিজেপি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *