ডেস্ক রিপোর্টার,২৭ এপ্রিল।।
ভোট আবহের মধ্যেই রাজ্যের মাদক কারবারীদের বিরূদ্ধে আরোও কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। পুলিশের তালিকাভূক্ত দুই মাদক কারবারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশ অনেক চেষ্টা করেও তাদেরকে জালে তুলতে ব্যর্থ। এরা এখন অবস্থান করছে দেশের বাইরে। মাঝে মধ্যে কলকাতা – গুয়াহাটি ও ব্যাঙ্গালোরে আসা যাওয়া করে। মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের কাছে রেড কর্নার নোটিশ জারি করার ঘটনা রাজ্যে এই প্রথম। পুলিশ এর আগে রাজ্যের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করেছিলো। এখন ১০- ১২ জন জঙ্গির বিরুদ্ধে জারি রয়েছে রেড কর্নার নোটিশ। তাছাড়া ২০১৩ সালে রাজধানীর দূর্গা চৌমুহনীতে ঠিকাদার দিলীপ ঘোষ হত্যাকাণ্ডে জড়িত মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছিল রেড কর্নার নোটিশ।
রাজ্য পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের খবর অনুযায়ী, রাজ্যের দুই মাদক ব্যবসায়ীর দীপঙ্কর সাহা ওরফে রামু এবং তপন লস্কর ওরফে লিটু উভয়ের বিরুদ্ধেই ইন্টারপোলের কাছে রেড কর্নার নোটিশ জারি করা হয়েছে।দুইজনের আদি বাড়ি মেলাঘরে। তবে আগরতলাতে তাদের প্রচুর বিষয় সম্পত্তি রয়েছে। কলকাতা, গুয়াহাটিতে তাদের নামে – বেনামে সম্পত্তি রয়েছে। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাস থেকেই এরা পলাতক।তাদের বিরুদ্ধে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। দীপঙ্কর ওরফে রামু ও তপন ওরফে লিটুকে গ্রেফতারের জন্য রাজ্য পুলিশ কয়েকবার করে কলকাতা ও গুয়াহাটিতে অভিযান চালিয়ে ছিলো। হানা দিয়েছিলো তাদের ঠেকে।কিন্তু পুলিশের উপস্থিতির আঁচ তারা আগেই পেয়ে যায়।এবং তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ক্রাইম ব্রাঞ্চের দাবি, দীপঙ্কর ও তপন এখন দেশের বাইরে অবস্থান করছে। সেখান থেকেই তারা নিজেদের মাদক কারবার পরিচালনা করছে। তাদের নেট ওয়ার্ক এখন দেশ ছড়িয়ে বিদেশে । দীপঙ্কর ও তপন বাংলাদেশ, নেপাল ভুটান সহ মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলিতেও নিয়মিত আসা যাওয়া করে। ব্যাঙ্গালুরুতে তাদের গোপন আস্তানা রয়েছে।
মাসের মধ্যে ২৫ দিনই থাকে বিদেশে। কখনো কখনো একদিন,দুইদিনের জন্য এরা গুয়াহাটি, কলকাতা বা ব্যাঙ্গালুরুতে আসে। পুলিশ বহু চেষ্টা করেও তাদেরকে ধরতে পারছে না।দেশের নারকোটিক্স ব্যুরোর রাডারের মধ্যেও রয়েছে তারা। তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকেও চাপ রয়েছে।স্বাভাবিক কারণেই দীপঙ্কর ওরফে রামু ও তপন ওরফে লিটুকে গ্রেফতারের জন্য ব্যতি ব্যস্ত হয়ে উঠেছে পুলিশ। তাই বাধ্য হয়ে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে টিকির নাগাল পেতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য আরক্ষা দপ্তর।