ডেস্ক রিপোর্টার, আগরতলা।।
         রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভিলেজ ভোটের দামামা বাজিয়ে দিতেই পাহাড়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে তিপ্রামথা। দলের পক্ষ থেকে প্রতিটি ভিলেজ কমিটিতে নেতাদের ভোটের বার্তা দেওয়া হয়েছে। এবং ভোট কেন্দ্র করে সাধারণ জনজাতিদের কাছে পৌঁছার নির্দেশ দিয়েছেন মথার সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর।
প্রদ্যুৎ কিশোর আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন ভিলেজ কমিটির নির্বাচন হলে প্রতিটি ভিলেজে জয় পাবে মথা। অন্য কোন রাজনৈতিক দল ভিলেজ কমিটির নির্বাচনে দাঁত বসাতে পারবে না ।সেই জন্যই প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন তার দলের নেতা,কর্মী, সমর্থকদের লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন। এবং শেষ গ্রামটিও জয়ের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রদ্যুৎ।
প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন দীর্ঘদিন ধরেই ভিলেজ ভোটের জন্য গলা ফাটালেও রাজ্য সরকার তাতে কোন সায় দেয়নি। নিশ্চুপ ছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শেষ পর্যন্ত মথার পক্ষ থেকে ত্রিপুরা উচ্চ আদালতে ভিলেজ কমিটির নির্বাচনের জন্য জনস্বার্থে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলার প্রেক্ষিতে আদালত রায় দিয়ে জানিয়ে দেয় আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই সম্পন্ন করতে হবে ভিলেজ ভোট। এরপরই নড়েচড়ে বসে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শেষ পর্যন্ত কমিশন নিয়ম অনুযায়ী ভিলেজ ভোটের প্রস্তুতি শুরু করে । নিয়োগ করে ইলেকট্রোল রেজিস্ট্রেশন অফিসার। এডিসি এলাকার প্রতিটি ব্লকের বিডিওদের ইলেকট্রোল রেজিস্ট্রেশন অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা হয়।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভোট প্রস্তুতির সঙ্গে সঙ্গে এডিসির শাসক দল তিপ্রামথা নিজেদের ঘর গুছানোর কাজ শুরু করে দেয়। বুধবার রাজ্যের বেশ কিছু ভিলেজ কমিটিতে তিপ্রামথা নেতাকর্মীরা বৈঠক করেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই মথার কর্মীরা পৌঁছে যাবে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে।তারা বোঝানোর চেষ্টা করবে জনজাতিদের স্বার্থ নিয়ে একমাত্র মথায় কাজ করছে। এর আগে কোন আঞ্চলিক দল বা জাতীয় দল জনজাতিদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করেনি।তারা শুধু ভোটের বাজার ধরে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিই করেছে।
তিপ্রামাথার নেতৃত্ব স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, ভিলেজে কমিটির কমিটির নির্বাচনে জয় জয়কার হবে মথার। বিজেপি বা সিপিএম এইবারের ভিলেজ ভোটে কোন ফ্যাক্টর হবে না। সাধারন জনজাতিরা মথাকেই ভোট দেবে। দীর্ঘদিন পাহাড়ের ক্ষমতাই ছিল বামেরা।কিন্তু তারা জনজাতিদের জন্য কিছুই করিনি। ২০১৮ সালে রাজ্যের ক্ষমতায় আসে বিজেপি। তারাও রাজ্যের জনজাতিদেরস্বার্থে এখন পর্যন্ত কোন কাজ করেনি। তাই তিপ্রামথা ব্যতীত জনজাতিদের কাছে বিকল্প কোন পছন্দের রাজনৈতিক দল নেই। এই কারণেই আসন্ন ভিলেজ কমিটির নির্বাচনে মথাই শেষ হাসি হাসবে বলে দাবি আনারস বাগানের সেনানীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *