ডেস্ক রিপোর্টার,২৫ এপ্রিল।।
                  ব্যর্থ রাজ্যের গোটা বাঙালি সমাজ। ব্যর্থ আমরা বাঙালি, বিজেপি – কংগ্রেস – সিপিআইএম- র বাঙালি নেতৃত্বের অসহায় মুখগুলি।অর্থাৎ বাঙালি যা করতে পারলো না, তা করে দেখলো একজন জনজাতি।তাও আবার একজন জনজাতি মহিলা।
তিনি প্রদেশ বিজেপির সহ -সভাপতি পাতাল কন্যা জমাতিয়া।
     ত্রিপুরা মিশ্র সংস্কৃতির রাজ্য। জনসংখ্যার  নিরিখে ৭০ শতাংশ বাঙালি অংশের মানুষের বসবাস। ৩০ শতাংশ জনজাতি। কিন্তু তিপ্রামথার ফাউন্ডার ত্রিপুরার স্ব – ঘোষিত রাজা প্রদ্যুৎ কিশোর বাঙালিদের বেইজ্জত করতে কোনো কার্পণ্য করেন নি। প্রদ্যুৎ কিশোরের বাঙালি বিদ্বেষের বক্তব্যের অসংখ্য তথ্য – প্রমাণ রয়েছে।


বিভিন্ন সময়ে প্রদ্যুৎ তার বক্তব্যের মাধ্যমে উস্কে দিয়েছিলেন রাজ্যের জনজাতিদের। তৈরি হয়েছিল মিনি দাঙ্গার পরিস্থিতি। তারপরও বাঙালি জাতির  কন্ঠ ছিলো নিষ্প্রভ। আমরা বাঙালি থেকে বিজেপি, কংগ্রেস থেকে সিপিআইএম কোনো রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রদ্যুৎকে কিছু বলার সাহস করেন নি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অসহায় বাঙালি নেতাদের মুখগুলি নিজেদের মায়ের অপমানকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেছে। আজও একই অবস্থা।
  রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অসহায় ডাক সাইটের বাঙালি নেতাদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে সৎ সাহস নিয়ে প্রদ্যুৎ কিশোরের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন পাতাল কন্যা জমাতিয়া। পাতাল কন্যা স্পষ্ট ভাবে বলেছেন, প্রদ্যুৎ কিশোর রাজ্যের আসার পর জাতিগত হিংসার রাজনীতি শুরু করেছেন।
    


পাতাল কন্যা দাবি করেছেন, ত্রিপুরাতে কখনো হিংসার রাজনীতি ছিলো না। সম্প্রদায় – সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ ছিলো না। বাঙালি – জনজাতির মধ্যে বিদ্বেষ ছিলো না। প্রদ্যুৎ এই সমস্ত বিষ ইনপুট করেছেন রাজ্যে।পাতালকন্যা জনজাতি হয়েও তার গলায় উঠে এলো প্রদ্যুৎ কিশোরের বাঙালি বিদ্বেষের কথা। কিন্তু রাজ্য রাজনীতির ডাক সাইটের বাঘা বাঘা নেতারা নিজেদের মায়ের অপমান দিনের পর দিন সহ্য করে যাচ্ছেন।শুধু নিজেদের ভোগ বিলাসের স্বার্থে। কখনো কখনো তারা প্রদ্যুৎ কিশোরের পা চাটা হয়ে যান । তাতেও ভ্রুক্ষেপ নেই। অর্থাৎ তারা এতোটা নির্লজ্জ , তাদের মাকে বিক্রি করেও রাজনীতির ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে চাইছে। এতো গেলো বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিআইএমের তাবর ধান্দাবাজ বাঙালি নেতাদের কথা।


আর এই রাজ্যের বুকে যারা সদর্পে নিজেদের  ” আমরা বাঙালি” নামক রাজনৈতিক দলের সৈনিক বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। এই দলের রাজ্য নেতারাও প্রদ্যুৎ সম্পর্কে কথা বলতে ভয় পান।অথচ তারাই নিজেদের বাঙালি ব্র্যান্ড বলে দাবি করে থাকেন। অতীত সময়ের আমরা বাঙালি নেতাদের অনেক আত্মত্যাগের কাহিনী আছে। কিন্তু বর্তমানে রাজধানীর কলেজ রোডের আমরা বাঙালির অফিসে বসে থাকা একাংশ নেতা শাসক দলের সঙ্গে গোপনে মিলে কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ সহ অন্যান্য ব্যবসা করছেন।কেউ বা নিচ্ছেন অন্য সুযোগ সুবিধা। কান পাতলেই শোনা যায় এই সমস্ত খবর।তাই তারা সরাসরি প্রদ্যুৎ কিশোরের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন না।কারণ মুখ খুললেই যে তাদের পড়তে হবে শাসক দলের রক্ত চক্ষুর মুখে। তাই প্রদ্যুৎ কিশোর গোটা বাঙালি জাতিকে নিয়মিত ধর্ষণ করলেও মুখে কুলুপ ডাক সাইটের বাঙালি নেতারা। ছিঃ ছিঃ। এই সমস্ত নেতাদের চোখে আঙুল দিয়ে পাতাল কন্যা বুঝিয়ে দিয়েছেন, আসলে প্রদ্যুৎ কিশোরের মতো একজন তঞ্চক রাজনৈতিক নেতার স্থান কোথায়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *