আগরতলা,১৭জুন।।
বিজেপি সরকারকে কড়া আক্রমণ সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের। ত্রিপুরা ও অসমের একাধিক জেলায় বন্যার প্রাদুর্ভাবে সাধারণ মানুষের জীবন দূর্বিষহ। দলের কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ জানানোর পর ৩৬ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
ত্রিপুরার দায়িত্বে থাকা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, “জাতীয় নির্বাচন কমিশন এবং ধলাই জেলার এসপিকে জানিয়েও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বিজেপির হিংসা থামানো যায়নি। এমনকী বৃহস্পতিবার রাতেও অভয়নগর বাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা,ফেস্টুন ছিড়ে ফেলা হয়েছে। আমরা শনিবার ফের কমিশন কর্তাদের সঙ্গে দেখা করার কথা পরিকল্পনা করেছি।”
প্রাক্তন সাংসদ রিপুন বোরা তথা অসম তৃণমূলের সভাপতি বলেছেন, “কমপক্ষে অসমের ২৫ টি জেলা বন্যার তোড়ে ভেসে গিয়েছে। প্রায় ১২ লক্ষ মানুষ অসমে ঘরছাড়া। গত এক বছর ধরে বন্যা নিয়ন্ত্রণে বিজেপি কোনও পদক্ষেপ করেনি। অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতি চতুর্দিকে। কিন্তু, বিজেপি নেতারা অসম ছেড়ে ত্রিপুরাতে এসে উপনির্বাচনের জন্য প্রচার করছেন।”

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মাও ত্রিপুরাতে প্রচারে আসেন শনিবার। দুর্গতদের পাশে না থেকে কেন ত্রিপুরায় প্রচার, প্রশ্ন তোলেন বোরা। পাশাপাশি তাঁর আরও মন্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর আমলাদের উচিত দুর্গতদের জন্য কাজ করা। কিন্তু, দুর্গতদের পাশে তাঁদের কাউকে দেখা যায়নি। তাঁরা সকলেই নিজ নিজ প্রচারে ব্যস্ত।”

রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবের অভিযোগ, মিথ্যা কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। তাঁর মন্তব্য, “কোভিডের সময় হেমন্ত বিশ্ব শর্মা ও তাঁর স্ত্রী পিপিই কিটের ব্যবসা করেছিলেন। তিনি তখনও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াননি। এখনও তিনি পাশে নেই। যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারে এলেন তখন তাঁর বাড়িতে সিবিআই পাঠানো হল। আমি প্রশ্ন করতে চাই, কেবল বিরোধী নেতাদের জন্যই কি ইডি সিবিআই?”

তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ভিডিয়ো ক্লিপ শেয়ার করেছেন। যেখানে স্পষ্ট জল জমে সাধারণ মানুষের কী দুরবস্থা হয়েছে! “এই কি স্মার্ট সিটির নমুনা যা বিজেপি নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন? রাস্তার জল ঘরে গিয়ে ঢুকছে। কেন ত্রিপুরার মানুষ এই নেতাদের জন্য ভোট দেবে?” মন্তব্য রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশ্নের মুখেও হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। ১৮-র নির্বাচনের আগের জনমুখী প্রচারে যে মিথ্যা প্রতিশ্রুতিগুলি তিনি দিয়েছিলেন তা আদৌ পূরণ হয়নি! ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুবল ভৌমিকের মন্তব্য, ” হিমন্ত বিশ্ব শর্মা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সরকার ১০,৩২৩ জন নিয়োজিত শিক্ষকদের সমস্যাটি সমাধান করবেন। বিপ্লব দেবের অপসারিত করার পরেও মানিক সাহাকে বসানো হলেও আদৌ কোনও পরিবর্তন হয়েছে কি? উল্টে বিপ্লব দেবকে তারকা প্রচারক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *