ডেস্ক রিপোর্টার, ১০ফেব্রুয়ারি।।
রেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল এক বন্য দাঁতাল হাতির! হাতির মৃত্যুর পর আচমকাই উধাও একটি বহুমূল্যবান দাঁত! ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য। ঘটনাস্থল তেলিয়ামুড়া মহকুমা’র অন্তর্গত ডিএম পাড়া রেল লাইন সংলগ্ন এলাকায়। মৃত হাতিকেও ছাড়তে নারাজ বনদস্যুরা।
তেলিয়ামুড়া মহকুমায় বন্য দাঁতাল হাতির সমস্যা নতুন ইস্যু নয়। বন্য হাতির সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরেই মহকুমা’র বিভিন্ন হাতি প্রবণ এলাকার লোকজন রীতিমতো তিতিবিরক্ত। আর বন্যহাতি’কে বাগে আনতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ তেলিয়ামুড়া বন দপ্তর। ফিকে হয়ে গিয়েছে মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মার আশ্বাস বাণী।
আজ থেকে প্রায় তিন চার দিন পূর্বে বন্য হাতির সমস্যা থেকে খোয়াই জেলার মানুষকে মুক্তি দিতে জেলাশাসকের পৌরহিত্যে তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসকের কনফারেন্স হলে “হাতির তাড়াও অভিযান”- শীর্ষক একটি গুরুত্বপূর্ন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর কয়েকদিন যেতে না যেতেই এক দৈত্যাকার বন্যহাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয় তেলিয়ামুড়া ডি.এম পাড়ার রেললাইন সংলগ্ন এলাকা থেকে।
যদিও এই দৈত্যাকার বন্য হাতির মৃতদেহটি থেকে রহস্যজনক ভাবে উধাও মূল্যবান একটি দাঁতও।
এই প্রসঙ্গে তেলিয়ামুড়া বন দপ্তরের এক আধিকারিকের নিকট জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,প্রাথমিক অনুমান শুক্রবার গভীর রাতে নতুবা শনিবার ভোররাতে রেলের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে হাতিটির।
তিনি ঘটনাস্থলে এসেই নাকি দেখেন মৃত হাতির একটি দাঁত নেই। সঙ্গে সঙ্গেই বন কর্মীরা খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু দাঁতের হদিস পান নি।
মৃত বন্য দাঁতাল হাতির মৃতদেহ দাঁত উধাওয়ের বিষয়টি নিয়ে সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয় বন দপ্তরের কর্মীরা।এই বিষয়টায় কিন্তু বনদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন চিহ্ন।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে তবে কি স্থানীয়দের বক্তব্য,বন কর্মীদের সঙ্গে গোপন সমঝোতার করে চোরা চালানকারীরা মৃত হাতির মুখ থেকে মূল্যবান দাঁত কেটে নিয়ে গিয়েছে। সঠিক তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে মূল রহস্য।