ডেস্ক রিপোর্টার,৮নভেম্বর।।
“পূজো বলো,বিয়ে বলো,পার্টি বলো,কাষ্ঠ বলো একটু গোলাপি নেশা হওয়া চাই”——সুপারহিট এই গানের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই নিজের মতো করে জম্পেশ পার্টি করে চলছেন নিগম ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বাপটু চক্রবর্তী। পার্টিরত অবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বাপটু চক্রবর্তীর একটি ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।এই ভিডিও দেখে খোদ লজ্জায় পড়ে গেছেন প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। নেটিজেনরা ঝর তুলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
প্রদেশ কংগ্রেস নেতা বাপটু চক্রবর্তী গত কয়েকমাস আগে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন।তাকে প্রদেশ যুব তৃণমূল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। বাপটু চক্রবর্তী বর্তমানে আগরতলা পুর নিগমের ৯নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন। তারমধ্যেই মদের আসরে থাকা বাপটু চক্রবর্তীর এক ভিডিও কে বা কারা সোস্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল করে দেয়।
তৃণমূল নেতার এই ভিডিও হাতে পেয়ে রীতিমত গর্জন করছে বিজেপি।গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্ব বলছে, বাপটু চক্রবর্তীর মতো নেতারা যুব সমাজকে কি শিক্ষা দেবে?বাপটু নিজেই ডুবে থাকেন লাল জলের গোলাপি নেশায়।বাস্তব অর্থে বাপটুর মত নেতা কি বার্তা দেবে সমাজকে? স্বাভাবিক ভাবেই বাপটুদের মত নেতাদের দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ত্রিপুরা জয়ের স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। বলছেন রাজনীতিকরা।
অভিযোগ, বাপটু চক্রবর্তী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েই তোলা আদায়ে নেমে পড়েছেন।কংগ্রেসে থাকা কালীন তার বাজার না থাকায় অর্থ রোজগার করতে পারেনি।এবার তৃণমূল কংগ্রেসের বাজার কংগ্রেস থেকে কিছুটা ভালো।তাই রোজগার বেড়েছে বাপটুর।অতিরিক্ত রোজগার করতে গেলে তো মাঝে মধ্যে পার্টি করতেই হয়।তাই বাপটু চক্রবর্তী অতিরিক্ত রোজগারের ধান্ধায় মদের আসরে বসে ভোটের বাজারে তোলা আদায়ের পরিকল্পনা করছিলেন।অভিযোগ খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের।তখনই তার অনুগামীরা বিডিও করে নেয়।এবং তারাই এই ভিডিও সোস্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল করে দেয়।তাতে মুখ পুড়ে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।সর্বপরি তৃণমূল কংগ্রেসের। আর অঙ্কুরে তৃণমূল কংগ্রেস সম্পর্কে এক ভুল বার্তা পৌঁছায় ভোটারদের মধ্যে।দলের কর্মী-সমর্থকরাও বাপটুর জন্য লজ্জায় মাথা তুলতে পারছে না।সব মিলিয়ে বাপটু চক্রবর্তীর ভাইরাল হওয়া ভিডিও ভোটের মুখে তৃণমূলকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে বলে দলের কর্মী-সামর্থকদের দাবি।তবে বাপটু চক্রবর্তীর এই ভিডিও বিজেপি’র লোকজনের তুলনায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি করে ছড়িয়ে দিয়েছে বলে ঘাসফুল শিবিরের কর্মী-সমর্থকদের দাবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *