ডেস্ক রিপোর্টার,৩১মার্চ।।
প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের করুন অবস্থা। দলের সবে ধন নীলমণি কাউন্সিলারকেও ধরে রাখতে পারলোনা ঘাসফুল শিবির। আমবাসা পুর পরিষদে তৃণমূলের একমাত্র কাউন্সিলার সুমন দাসও মমতা-অভিষেককে আলবিদা জানিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সুমন দাস মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের হাত ধরে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এদিন সুমন দাস মহাকরণে আসেন। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব তাকে দলে বরণ করে নেন।সঙ্গে ছিলেন তথ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
রাজনীতিকরা বলছেন, রাজ্যে ফুরিয়ে গেছে তৃণমূল। থমকে গেছে ঘাসফুলের দৌড়।এখন পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি।অথচ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো ২৩-র ভোটের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।দলের মধ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে নেই কোনো মুখ।একমাত্র সুবল কুম্ভ।এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস যে কিছুই করতে পারবেনা এবং রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ যে অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
তৃণমূল কংগ্রেসের বঙ্গ নেতৃত্বের আচমকা গা হেলামি মনোভাবে হতাশা গ্রাস করে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের।তারা এখন বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। তারা কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা ভরসা রাখতে পারছে না নেতৃত্বের উপর।স্বাভাবিক ভাবেই তারাও বিকল্পের খোঁজ শুরু করে দিয়েছে। তার প্রথম দৃষ্টান্ত কাউন্সিলার সুমন দাস।
প্রবল চাপের মুখে আমবাসা পুর পরিষদ নির্বাচনে একটি আসন ছিনিয়ে এনে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস। সুমন দাসকে অনেক ঝামেলাও পোহাতে হয়েছিলো। সুমন বুঝতে পেরেছে তৃণমূলে তাঁর কোনো লাভ নেই।বরং ভবিষ্যৎ ধাবিত হচ্ছে এক অজানা অন্ধকারের দিকে। বঙ্গ নেতৃত্বের হাবভাবও সুবিধা জনক নয়। তারাও হাল ছেড়ে দিয়েছে। এই কারণেই সুবল ভৌমিককে সামনে রেখে দলের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছে রাজ্যে।তৃণমূল কংগ্রেসের এই রণকৌশল বুঝে গিয়েছে দলীয় কর্মীরা।একই অবস্থা ঘাসফুলের একমাত্র প্রতিনিধি সুমন দাস। আগামী কিছুদিনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা তাদের বিকল্প পছন্দের রাজনৈতিক দলে নাম লিখতে চলছে।এমন খবর ঘাসফুল সূত্রে।
তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলার সুমন দাস বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, “রাজ্যের উন্নয়নের ধারা দেখেই আমবাসার কাউন্সিলার তৃণমূল কংগ্রেসকে আলবিদা জানিয়ে দিয়েছেন।তিনিও শরিক হয়েছে বিজেপি সরকারের উন্নয়নের ধারার সঙ্গে”।