ডেস্ক রিপোর্টার,১৫ আগস্ট:
এ যেন স্বাধীনতার স্বর্গ সুখ(!) স্বাধীনতা দিবসে দলীয় পতাকা উত্তোলন করতে গিয়ে আক্রান্ত রাজ্যে আসা তৃণমূল কংগ্রেসের দুই সাংসদ সহ বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক।দুষ্কৃতিদের রোষানল থেকে বাদ যায়নি পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যাওয়া সাংবাদিকরাও।তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ,বিজেপি আশ্রিত গুন্ডারা এই আক্রমণ সংঘটিত করেছে। তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন ও অপরূপা পোদ্দার সহ আহত তৃণমূল কর্মীদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে।ঘটনা রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ।ঘটনাস্থল সাব্রুমের থাইবুং বাজার।বিজেপি’র দক্ষিণ জেলা কমিটির নেতৃত্বের বক্তব্য, তৃণমূল সাংসদ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনো যোগসূত্র নেই।এটা তৃণমূলের ইনার ফাইট।
তৃণমূল নেতৃত্ব জানান,পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সাব্রুমের সাব্রুমের থাইবুং বাজারের দলীয় কার্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের জন্য রবিবার সকালে গিয়েছিলেন দুই মহিলা সাংসদ দোলা সেন ও অপরূপা পোদ্দার।সঙ্গে ছিলেন তপন দত্ত,প্রেমতোষ দেবনাথ তৃণমূলের দুই নেতা।এসময় উপস্থিত ছিলো বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ,আচমকা এক দল দুষ্কৃতি তাদের কার্যালয়ের সামনে চলে আসে।তাদের হাতে ছিলো লোহার রড,কাঠের তক্তা সহ ধারালো অস্ত্র।দুষ্কৃতিদের একাংশ তৃনমূল নেতাদের গাড়িতে ভাঙচুর চালায়।অপর অংশের দুষ্কৃতিরা তৃণমূলের দুই মহিলা সাংসদ দোলা সেন ও অপরূপা পোদ্দারকে আক্রমণ করে।একই ভাবে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদেরও মারধর করে।এই সময় ঘটনাস্থলে খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিক সুকান্ত দাস,ত্রিদিপ পাল ও বিজন চক্রবর্তীকে দুষ্কৃতিরা আক্রমণ করে।ভয়ে ঘটনাস্থলে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়।একই অবস্থা তৃণমূলের দুই সাংসদ সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীদের।সাংবাদিকরা ভয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। পেশাগত কাজে দুষ্কৃতিরা বাধা দেয় বলেও অভিযোগ আক্রান্ত সাংবাদিকদের। এই ঘটনা কেন্দ্র করে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে সাব্রুম মহকুমাতে।তৃণমূলের অভিযোগ,পুলিশের সামনেই দুস্কৃতিরা এই ঘটনা সংঘটিত করেছে।কিন্তু পুলিশ দুস্কৃতিদের আটকানোর চেষ্টা করে নি।
এদিন এই ঘটনার আগে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই মহিলা সাংসদ দোলা সেন ও অপরুপা পোদ্দার দক্ষিণ ত্রিপুরার সাব্রুমের “নন্দীগ্রাম”র দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তৃণমূলের পতাকা উত্তোলন করেন। এবং কর্মীদের সাথে দেখা করে তাদের হাতে ফুটবল তুলে দেন।