ডেস্ক রিপোর্টার,১৮ আগস্ট।।
ত্রিপুরার হাইকোর্টে ধাক্কা খেলো তৃণমূল কংগ্রেস। টিএমসি নেতা সুবল ভৌমিকের বিরুদ্ধে থাকা মামলার তদন্ত স্থগিত করার আবেদন খারিজ করলো উচ্চ আদালত।
পুলিশকে দুই সপ্তাহের নোটিশ দিয়ে তদন্ত চালিয়ে যেতে নির্দেশ নিয়েছে আদালত।
বুধবার প্রধান বিচারপতি এএ কুরেশি এই নির্দেশ দিয়েছেন। খোয়াই থানায় তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার শুনানি হয়েছিলো এদিন।
গত ৪ আগস্ট তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জী, দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ, সাংসদ দোলা সেন, স্থানীয় নেতা সুবল ভৌমিক খোয়াই থানায় ছুটে গিয়েছিলেন।এর আগেই পুলিশ তৃণমূলের আরো কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে এসেছিলো।মূলত গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা- কর্মীদের ছাড়িয়ে আনতেই খোয়াই থানায় গিয়েছিলেন দলের প্রথম সারির নেতারা।এই সময় খোয়াই থানার অভ্যন্তরে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কর্তব্যরত পুলিশের তুমুল বাক-বিতণ্ডা হয়।পরে খোয়াই থানার পুলিশ টিএমসি নেতা সুবল ভৌমিক সহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিলো।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থ শঙ্কর দে বলেন, এই মামলাটি ছিলো জামিন যোগ্য। তৃণমূল নেতারা থানা থেকেই জামিন নিতে পারতেন।কিন্তু তারা তা করেন নি।রাজনীতির রঙ্গ-মঞ্চে নিজেদের তুলে ধরতে তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক আদালতের কাছে আবেদন করেন,তাঁর বিরুদ্ধে থাকা মামলাটি বাতিল করতে এবং মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে।বুধবার উচ্চ আদালতে এই মামলার শুনানি হয়। উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি এ এ কুরেশি বাদী-বিবাদী দুই পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনেন। শুনানি পর্বের শেষে ত্রিপুরা উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি এ এ কুরেশি তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের আবেদন খারিজ করে দেন।এবং আগামী দুই সপ্তাহের নোটিশ দিয়ে পুলিশকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের বিনা অনুমতিতে মামলার ফাইনাল রিপোর্ট জমা না করার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত খোয়াই থানার কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের কাজে বাধা দানের প্রেক্ষিতেই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলা ছিলো জামিন যোগ্য। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস থানা থেকে জামিন না নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়াতে এই ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক রং দেখছে শাসক দল বিজেপি।এদিন আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট সিদ্ধার্থ লুথরা এবং মিজোরামের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিশ্বজিৎ দেব। রাজ্য সরকারের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছিলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সিদ্ধার্থ শঙ্কর দে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *