
ডেক্স রিপোর্টার,৭ সেপ্টেম্বর।।
চোখে মুখে এক রাশ আতঙ্ক নিয়ে এক শিশু বলছে, “দুষ্কৃতীরা বাড়িতে এসে তার দাদুকে কেটে টুকরো টুকরো করার হুমকি দিয়েছে। তার দাদু স্থানীয় ঠিকাদার কুন্তল পাল।তিনি টেন্ডার ড্রপ করে DWS -র দুইটি নির্মাণ কাজ পেয়েছেন।এই কাজগুলি সারেন্ডার করার জন্য কুন্তল পালকে নির্দেশ দিয়েছে বিজেপির তোলাবাজ নেতারা। ঠিকাদার কুন্তলকে বাড়িতে না পেয়ে তার বৃদ্ধ বোন ও পৌত্রকে হত্যা করার বার্তা দিয়েছিলো শাসক দলের তোলাবাজ বাহুবলী নেতারা। ঘটনা দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়া মহকুমার ঋষ্যমুখ মণ্ডলে। ঠিকাদার কুন্তল পালকে হুমকি দেওয়ার পেছনে কারা রয়েছে?

লাল বৃত্তের মধ্যে থাকা ব্যক্তিটির নাম রাজু নাথ ওরফে কেলো রাজু।তিনি বিজেপির দক্ষিন জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক।অবশ্যই স্ত্রী নির্যাতনকারী হিসেবে বিলোনিয়াতে তার বহুল খ্যাতি রয়েছে। রাজু নাথের সঙ্গে থাকা রেড মার্ক করা ব্যক্তিটি ঋষ্যমুখ মণ্ডলের সহ – সভাপতি বাদল ভৌমিক। এরা কিছু লোকজনকে নিয়ে গিয়েছিল কুন্তল পালের বাড়িতে। এবং কুন্তলকে শায়েস্তা করতে। সেখানেই গিয়েই তোলাবাজ নেতা রাজু ও বাদলরা পাল্টা গণরোষের মুখে পড়ে। সঙ্গে ছিলো বাদলের ভাই রঞ্জিত ভৌমিক। সঞ্জু নম:, রাজীব পাল, রাজীব দত্ত,নকুল পাল, বিশ্বজিৎ মিত্র।এরা প্রত্যেকেই তোলাবাজ। এই তোলাবাজদের মুখিয়া বাদল ভৌমিক।

গোটা ঋষ্যমুখ বিধানসভা কেন্দ্রে দীর্ঘ দিন ধরেই মণ্ডলের সহ-সভাপতি বাদল ভৌমিকের নেতৃত্বে চলছে লুঠপাট। তোলাবাজি। এই গুলি এখন কুটির শিল্পের রূপ নিয়েছে। নিগোসিয়েশনের নামে এই অঞ্চলের ঠিকাদারদের পিষে মারছে বাদল – রাজুরা। এই গ্রুপের মধ্যে রয়েছে সঞ্জু নম:, রাজীব পাল, নকুল পাল, বিশ্বজিৎ মিত্র, রঞ্জিত ভৌমিক, রাজীব দত্ত। তাদের হাতের তালুতেই গোটা ঋষ্যমুখ। তাদের নির্দেশেই গোটা ঋষ্যমুখে অবৈধ কারবারের গেরুয়া কার্পেট বিছিয়ে দিয়েছেন বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের দিনও নাকি ফুরিয়ে আসছে। কৃষ্ণনগরের কুশাভাউ ভবনের তথ্য বলছে, দুই কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরই বিলোনিয়া ও ঋষ্যমুখ মন্ডলের তোলাবাজরা চিরতরে খোয়াতে পারেন বিজেপির নেতাগিরির চাকরি।

তোলাবাজ রাজু নাথ ও বাদল ভৌমিক স্থানীয় যুবক তনয় সাহাকে ধমকাচ্ছে, চমকাচ্ছে।কেন?কারণ, তনয় সাহা তোলাবাজদের মুখিয়া বাদল ভৌমিকে কেন গাল মন্দ দিয়েছে? তাই। বা, তোলাবাজ গুরুকে কেউ কিছু বললেই গাত্র দহন শুরু হয় তোলাবাজ শিষ্য রাজু – রঞ্জিতদের। হওয়াটাই স্বাভাবিক।

তথ্য বলছে, বিলোনিয়া, ঋষ্যমুখ অঞ্চলে বাদল, রাজু, রাজীব, সঞ্জু, নকুল, বিশ্বজিৎদের তাবেদারিরর দিন শেষ হয়ে আসছে। তাদের সমান্তরাল ভাবে সংশ্লিষ্ট মন্ডল গুলিতে যুবমোর্চার লোকজন লাঠি নিয়ে দাড়িয়ে গিয়েছে।

তারা স্পস্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, সরকারি দপ্তরগুলিতে কোনো নিগোসিয়েশন হবে না। ঠিকাদাররা টেন্ডার ড্রপ করবেন নিয়ম মেনে। যিনি টেন্ডার করে কাজ পাবেন তিনিই করবেন। কমিশনের জন্য ঠিকাদারদের কোনো জারিজুরি করা হবে না।

ঠিকাদার গোষ্ঠী খুশি মনে যা দেবেন ,এটাই নাকি তারা মেনে নেবে।স্বাভাবিক কারণেই জেলা ও মণ্ডল স্তরের তোলাবাজ নেতাদের পেট ব্যথা শুরু হয়ে গিয়েছে।

তাই বিলোনিয়া, ঋষ্যমুখ মণ্ডলে বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষের আশঙ্কা আরোও প্রকট হয়ে উঠেছে। এবং যে কোনো সময় ঝরতে পারে তাজা রক্তও। এমন এক অশনি সঙ্কেতের বার্তা ভেসে উঠেছে বিলোনিয়ার অপরাধের ক্যানভাসে।