ডেস্ক রিপোর্টার, ১৬নভেম্বর।।
    সাঙ্গ হয়েছে দীপাবলি উৎসব। আলোর উৎসব শেষ হতেই বেজে উঠেছে গনতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসবের দামামা। গোটা দেশের সঙ্গে আঁচ লেগেছে রাজ্যেও। বিশেষ ভাবে রাজ্যের শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টির সংসারে। ২৪- র লক্ষ্যে বুধবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে বিকাশ ভারত সংকল্প যাত্রা। মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা রাজধানীর রবীন্দ্র ভবনে বিকাশ ভারত সংকল্প যাত্রার উদ্বোধন করেন। এবং বাজিয়ে দেন ২৪- র জাতীয় ভোটের দামামা।
    লোকসভা নির্বাচনের ঘন্টি  বেজে উঠার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের শাসক দল বিজেপির অন্দরে উকি দিচ্ছে নানান প্রশ্ন। রাজ্যের দুইটি লোকসভা আসন থেকে কে বা কারা প্রার্থী হচ্ছেন? পুরনোরা থাকবেন না, আসবেন নতুন মুখ। তা নিয়েই চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। “জনতার মশাল”র এই প্রতিবেদনে পূর্ব আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম তুলে ধরা হবে।

।।বিজ্ঞাপণ।।

রাজ্যের লোকসভার পূর্ব আসন,উপজাতি সংরক্ষিত। শেষ লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব আসন থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন রেবতী ত্রিপুরা। তিনি জয়ী হয়েছিলেন। গত পাঁচ বছরে স্বজন ভদ্রলোক রেবতী ত্রিপুরা সাংসদ হিসাবে কি কাজ করেছেন, তার খতিয়ান নিশ্চয় আছে কেন্দ্র ও রাজ্যের কাছে।সাংগঠনিক ভাবে রেবতী ত্রিপুরা পাহাড়ে কতটা সফল হয়েছেন? জনজাতিদের মধ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির বীজ কতটা গভীরে বপন করতে পেরেছন? তারও উত্তর রয়েছে দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। সব মিলিয়ে গত পাঁচ বছরে রেবতী ত্রিপুরার কাজের রিপোর্ট কার্ড দেখেই তাকে পুনরায় প্রার্থীর জন্য বিবেচনা করা হবে।


পূর্ব আসনের প্রার্থীর তালিকার উজ্জ্বল নাম রাজ্যের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মণ।২৩- র বিধানসভা নির্বাচনে তিনি দলীয় অন্তর্কোন্দলের কারণে পরাজিত গিয়েছিলেন। এই তথ্য রয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। তিনি পুরনো আরএসএস কর্মী। এর আগেও পূর্ব আসন থেকে বিজেপির টিকিটে তিনি লড়াই করেছিলেন লোকসভা নির্বাচনে। তখন অবশ্যই রাজ্য রাজনীতিতে টিম টিম করতো ভারতীয় জনতা পার্টির বাটি। জিষ্ণু দেববর্মন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্নেহধন্য। ২৩- র বিধানসভা নির্বাচনের পর নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে এসে জিষ্ণু দেববর্মণকে বলেছিলেন “ম্যা আপকে লিয়ে কুচ করোঙ্গা”। নিঃসন্দেহে এটা জিষ্ণু দেববর্মনের বড় প্রাপ্তি। তাছাড়া রাজ পরিবারের সদস্য, তিপ্রামথার নেতা প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মণকে মহাভারতের ভ্রীষ্মের মতো রাজনীতির স্বরসজ্জায় পাঠাতে গেলে বিজেপির একমাত্র তুরুপের তাস জিষ্ণু দেববর্মন। এখন পর্যন্ত বিজেপির অন্যান্য জনজাতি নেতারা নিজেকে সেই পর্যায়ে নিয়ে যেতে  ব্যর্থ হয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রার্থীর ম্যারাথন দৌড়ে রেবতী –  জিষ্ণুর মধ্যে চলছে জোর লড়াই।


পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা আসনে প্রার্থীর দৌড়ে রয়েছেন বর্তমান রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ঝর্না দেববর্মা।তিনি এক সময় ছিলেন রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ছিলেন। তার দিকেও ফোকাস রয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। ঝর্নাকে প্রার্থী করলে রাজ্যে মহিলা স্বশক্তিকরণের উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত রাখতে পারবেন মোদী – শাহ। ১৯- র লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম আসনে প্রতিমা ভৌমিককে প্রার্থী করে একই বার্তা দিয়েছিলো সর্ব ভারতীয় বিজেপি। পরে প্রতিমাকে স্থান দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়ও।


পূর্ব আসনের প্রার্থীর রিলে দৌঁড়ে আছে জনজাতি নেতা বিদ্যুৎ দেববর্মার নামও। বিদ্যুৎ এডিসির মনোনীত এমডিসি।একসময় তিনি ছিলেন জনজাতি মোর্চার হেভীওয়েট নেতা।


কিন্তূ গত এডিসি নির্বাচনের আগে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিলেন তিপ্রামথাতে।নির্বাচনের পর বিদ্যুৎ ফিরে আসেন নিজ নিড়ে।পাহাড়ে বিজেপির সংগঠন বাড়াতে কাজ করছেন নিয়মিত। এই মুহুর্তে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আতশ কাচের নিচে আছেন বিদ্যুৎ- নিজেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *