ডেস্ক রিপোর্টার,২৮ নভেম্বর।।
                  ২৪- র আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সেজে উঠেছে কংগ্রেস। প্রদেশ সভাপতি আশীষ কুমার সাহার নেতৃত্বে জেলায় জেলায় হয়েছে সাংগঠনিক বৈঠক। শেষে আগরতলাতেও সুদীপ – আশীষরা বৈঠক করেছেন। কিন্তু কোনো বৈঠকেই দেখা যায় নি দলের দুই বিধায়ক বীরজিত সিনহা ও গোপাল রায়কে। তারা প্রতিটি বৈঠক বয়কট করছেন।  এই পরিস্থিতিতে সুদীপ – আশীষ কংগ্রেসকে কতটা লড়াই করার জায়গাতে নিয়ে আসতে পারবেন?এটাই এখন লক্ষণীয়।


আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস পৃথক ভাবে   প্রার্থী দেবে দুই কেন্দ্রে। এটা নিশ্চিত। আগামী মাসেই কুড়ি তারিখের মধ্যে রাজ্যে আসছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি করবেন জনসভা।মূলত ২৪- র লোকসভা নির্বাচনের প্রচার। তার জন্য গোটা রাজ্য চষে বেড়াচ্ছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলীয় কর্মীদের উজ্জীবিত ও সুসংগঠিত করার জন্য। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেসের এই কর্মসূচী গুলিতে  দূরবীন দিয়েও খোঁজে পাওয়া যায়নি বীরজিত – গোপালদের।আবার সুদীপ – আশীষও দলের দুই  সিনিয়র নেতাকে মান ভাঙানোর চেষ্টা করছেন না। অর্থাৎ এই মুহূর্তে প্রদেশ কংগ্রেস যে দুইটি ভাগে বিভক্ত এটা পরিষ্কার।


সুদীপ –  আশীষ এক দিকে দলের জন্য কাজ করছেন। অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে রেখেন বীরজিত – গোপাল। স্বাভাবিক ভাবেই সংগঠনে এর প্রভাব পড়ছে। এআইসিসি নেতৃত্ব এটা বিলক্ষণ জানেন। তারপরও তারা দুই গোষ্ঠীকে একত্রে করছে না কেন? প্রশ্ন কংগ্রেস কর্মীদের। তবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর রাজ্য সফরের সময় অবশ্যই উপস্থিত থাকবেন দুই সিনিয়র নেতা বীরজিত – গোপাল।কারণ বাণিজ্য ঠিকিয়ে রাখতে হলে “ম্যাডাম” প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে দাড়িয়ে যে ছবি তুলতেই হবে।
                এখন কংগ্রেসের বর্তমান পরিস্থিতিতে সব নেতা এক জোট হয়ে কাজ করলে মনোবল বাড়বে কর্মীদের। কিন্তু তা না করে কংগ্রেস নেতারা আড়াআরি ভাবে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। তারা এখনো অতীতের সংস্কৃতির প্রীতি ছাড়তে পারেন নি। এই পরিস্থিতিতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস কত শতাংশ ভোট পাবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে খোদ কর্মীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *