ডেস্ক রিপোর্টার, ৮ডিসেম্বর।।
      তিন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের বিপর্যয়ে হতাশ হয়েছিলো বিরোধী শিবির। অর্থাৎ ইণ্ডিয়া জোট। কিন্তু সংসদ থেকে বাংলার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কারের ঘটনার মধ্য দিয়ে অতিরিক্ত অক্সিজেন পেলো বিজেপি বিরোধী জোট। সমস্ত বিরোধী দল কথা বলছে এক সুরে। মহুয়ার বহিষ্কারের পর সংসদের ভিতরে,বাইরে মহুয়ার হয়ে ব্যাটন ধরেছে কংগ্রেস। সাংবাদিক বৈঠক করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস ও তৃণমূল একেই সুরে বিধেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ভারতী়য় জনতা পার্টিকে।রাজনীতিকরা বলছেন, তিন রাজ্যের পরাজয়ের পর কংগ্রেস সহ ইণ্ডিয়া জোট ফের ঘুরে মঞ্চ হয়ে উঠেছে বাংলার মেয়ে মহুয়া মৈত্রর বহিষ্কারের ঘটনা।


দুবাইয়ের ব্যবসায়ী হিরানন্দানির কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন
সাংসদ  মহুয়া মৈত্র।এই অপরাধে শুক্রবার তৃণমূল সাংসদ  মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ খারিজ হয়।
তাও আবার ধ্বনি ভোটে।তবে ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন কাণ্ডের তদন্ত চলার সময় থেকেই মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কংগ্রেস সহ বিরোধী দলের সাংসদরা৷ এদিনও ব্যতিক্রম ছিল না।


সংসদে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ হওয়ার পরেই  মহুয়ার হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন বিরোধী দল নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সুর চড়ান কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি সহ অন্যান্যরা। প্রতিবাদে বিরোধী সাংসদরা সংসদ ভবন থেকে করেন ওয়াক আউট। এই দলে ছিলেন সনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধি।
সংসদের ভিতরে ঘটে যাওয়া এই লজ্জাস্কর ঘটনায় বিরোধীরা পাশে থাকায় প্রত্যেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
    মমতা সংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “আমরা একসঙ্গে আছি৷ আমরা একসঙ্গেই লড়ব৷ এই ঘটনা আমাদের চোখ খুলে দিল, যে বিজেপি কতটা প্রতিহিংসা পরায়ণ৷”


ভারতীয় জনতা পার্টি ও প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে লোকসভার বিরোধী দল নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “বাংলার একজন মেয়েকে বিচার না করে ফাঁসি দিয়ে দেওয়া হল৷ কেন, কারণ তাঁর প্রশ্ন তাঁদের পছন্দ নয়৷ অথচ প্রধানমন্ত্রী সবসময় মহিলাদের নিয়ে এত বড় বড় কথা বলছেন৷”
  সম্প্রতি তিন রাজ্যে বিজেপি-র বড় জয়ের পরই কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলেছিল ইণ্ডিয়া জোটের অন্যান্য দল গুলি। ব্যতিক্রম ছিল না তৃণমূল। ইন্ডিয়া জোটের ডাকা বৈঠক বয়কট করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনীতিকরা বলছেন, মহুয়া মৈত্রের ঘটনার পর কংগ্রেস – তৃণমূল যেমন আবারও পাশাপাশি চলে আসবে, ঠিক তেমনই ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য দল গুলির সঙ্গেও কংগ্রেসের সম্পর্ক আরো সুঠাম হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *