ডেস্ক রিপোর্টার, ৬ফেব্রুয়ারি।।


                    বাধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের অবৈধ মধুর ভান্ড’র সংখ্যা নেহাত কম নয়। তার মধ্যে এখন নতুন সংযোজন নিশ্চিন্তপুর রেল ইয়ার্ড। এই রেল ইয়ার্ড কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে অবৈধ বাণিজ্যের নতুন উৎস। তাই নিশ্চিন্তপুর রেল ইয়ার্ড- র মধুর ভান্ড দখল নিয়ে নতুন করে শুরু হচ্ছে সংঘাতের আশঙ্কা। রেল ইয়ার্ড দখল নিতে বেশ কয়েকটি গ্রুপ তৈরী হয়েছে। প্রতিটি গ্রুপের সদস্যরাই শাসক দলীয়। কেউ বর্তমান বিধায়িকা মীনা সরকারের অনুগামী।আবার কেউ প্রাক্তন বিধায়িকা মিমি মজুমদারের গ্রুপ। শুধু তাই নয়, বিধায়িকা মীনা সরকারের গ্রুপের মধ্যেও তৈরী হয়েছে উপ দল। সব মিলিয়ে বাধারঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের অবৈধ টাকার দখল নিতে মরিয়া নিগোসিয়েশনকারীরা।


নিশ্চিন্তপুর রেল ইয়ার্ডের দখল নিতে প্রথম ব্যাটিং শুরু করেছে রতি রঞ্জন রায়। তিনি আবার বিধায়িকা মীনা সরকারের আপ্ত সহায়ক। এই বাড়িতেই কাটান দিনের অর্ধেক সময়। আবার মীনা সরকারের ভাই তথা কংগ্রেস নেতা রাজকুমার সরকারেরও ফরমাইশ কেটে থাকেন রতি। অর্থাৎ সরকার পরিবারের ঘরের লোক তিনি। তিনিই এখন রেল ইয়ার্ড দখল নিতে নতুন গ্রুপ তৈরি করেছেন।



                    রতি রঞ্জনের এই পরিকল্পনা জানতেই মাঠে নেমেছে সিদ্ধি আশ্রম এলাকার ইন্দ্র। শুনা যায় ইন্দ্র নাকি সরকার বাড়ির নেত্রীর ফিন্যান্সার। ইতি মধ্যে ইন্দ্র দখল নিয়েছে ওএনজিসি, আগরতলা রেল স্টেশন, দূরদর্শন, এফসিআই সহ বাধারঘাটের অর্থের অধিকাংশ সোর্স।  এখন ইন্দ্র টেক্কা দিতে চাইছে মীনার আপ্ত সহায়ক রতিকে। তাই তারাও নিশিম্তপুর রেল ইয়ার্ড দখল তৈরি করছে নতুন গ্রুপ।


মীনা সরকারের দুই গ্রুপের এই রেল ইয়ার্ড দখলের পরিকল্পনা জেনে হাত নিশপিশ করছিল প্রাক্তন বিধায়িকা মিমি মজুমদারের গোষ্ঠী। তারাও চাইছে নিশিম্তপুর রেল ইয়ার্ড দখল নিতে।
এই জন্য তারাও নতুন গ্রুপ তৈরি করেছে। তারাও জমি পূনরায় দখল করতে চাইছে।


সব মিলিয়ে রেল ইয়ার্ড দখল নিয়ে পরিস্থিতি এমন এক জায়গাতে গিয়ে পৌঁছেছে, যেকোনো সময় একে অপরের বিরুদ্ধে হামলা, পাল্টা হামলা শুরু করবে। ঝরতে পারে রক্তও।


তারপরও কেন নিশ্চুপ স্থানীয় বিধায়িকা মীনা সরকার? তিনি কি ভাজা মাছও উল্টে খেতেও পারেন না। প্রশ্ন তুলছেন, বাধারঘাটের সাধারন ভোটারা।
                   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *